মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সেকেন্দার আবু জাফর। এর আগে গত বছর ৩০ ডিসেম্বর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন- যশোর শহরের ঘোপ এলাকার সাইফুর রহমানের ছেলে রানা হাসান, সদর উপজেলার সুড়া গ্রামের সাধন সিংহের ছেলে বিপোদ সিংহ, কুমারেশ সিংহের ছেলে সুজল সিংহ, নরসিংহকাঠি গ্রামের অজিত কুমার বিশ্বাসের ছেলে অমিত কুমার বিশ্বাস, আন্দলপোতা গ্রামের বাশারত হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান, বাঘারপাড়া উপজেলার সাইটখালি গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে বাপ্পী মাহমুদ, চৌগাছা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে মনিরুজ্জামান ও গৌরীনাথপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে আলিম উদ্দিন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর যশোর পুলিশ লাইন মাঠে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অভিযুক্তরা কনস্টেবল পদে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। ৬ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বিভিন্ন কর্মস্থলে যোগদান করানো হয়। এরপর তাদের দেয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাইয়ে ওই ৮ জনের দেয়া মুক্তিযোদ্ধার সর্টিফিকেট ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়।
এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর ওই ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন যশোর পুলিশ রিজার্ভ অফিসের আরওআই পরিদর্শক মশিউর রহমান।
এ মামলার তদন্ত শেষে মুক্তিযুদ্ধের সনদ জালিয়াতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালতে এই চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
চার্জশিটে অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান ও আশিকুর রহমান বাদে অন্যদের পলাতক দেখানো হয়েছে।