তবে শনাক্তকরণ পরীক্ষা সিলেটে হলেও প্রাপ্ত ফল এখান থেকে দেয়া হবে না। পরীক্ষার ফল পাঠানো হবে ঢাকার জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) এবং তারা প্রতিদিনের সংবাদ সম্মেলনে এগুলো প্রকাশ করবে।
প্রবাসীবহুল সিলেট অঞ্চল করোনা সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হলেও এখানে ভাইরাসটি শনাক্তে পরীক্ষার সুযোগ ছিল না। এতে ক্ষোভ ছিল এ অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে। এ অবস্থায় ১ এপ্রিল সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলজি ল্যাবে পিসিআরসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনা হয়।
মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, এখানে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে। ল্যাবে চারজন অধ্যাপক ও ১০ জন টেকনিশিয়ান প্রতিদিন কাজ করবেন। এ পরীক্ষা করাতে কোনো ফি দেয়া লাগবে না।
তবে পরীক্ষা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। চিকিৎসকরা যাদের পরীক্ষার প্রয়োজন মনে করবেন এবং সিলেট বিভাগের চারটি জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে যে নমুনাগুলো আসবে সেগুলো এখানে পরীক্ষা করা হবে।
ওসমানী মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ল্যাবের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। যদি মেশিন কার্যকর হয়ে যায় তবে মঙ্গলবার থেকেই শনাক্ত কার্যক্রম শুরু হবে।’
একদিনে কতটি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে তা প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে, মেশিনের একটি সিঙ্গেল সাইকেলে প্রতিদিন ৯৪টি নমুনা শনাক্ত করা যায়।’
এদিকে, ৫ এপ্রিল সিলেটে প্রথম কোনো ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। পেশায় চিকিৎসক ওই ব্যক্তি ওসমানী হাসপাতালেই কর্মরত ছিলেন।