তিনি বলেন, ‘মদিনায় কোনো ভাস্কর্য নেই। এদেশেও কোনো ভাস্কর্য থাকতে পারে না।’
চট্টগ্রামের হাটহাজারী সরকারি পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আল আমিন সংস্থা আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের শেষদিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাবুনগরী।
তিনি বলেন, আমি কোনো নেতার বা দলের নাম বলব না। আমি শরীয়তের কথা বলব। শরীয়তে কোনো ভার্স্কযের অনুমতি নাই। আমাদের নবীর কোনো ভাস্কর্য কোথাও নেই। নবীর চাইতে তো বেশি আমরা কাউকে ভালোবাসি না। তাহলে অন্য কারও ভাস্কর্য থাকবে কেন প্রশ্ন করেন হেফাজতের আমির।
‘যে দলেরই নেতা বা ব্যক্তির ভাস্কর্য বসানো হোক না কেন, এমনকি আমার বাবার ভাস্কর্য বসালেও সেটা টেনেহেঁচড়ি ফেলে দেবো,’ বলেন তিনি।
হেফাজত আমির বলেন, ‘আমরাও চাই এ দেশ মদিনার সনদ অনুযায়ী চলুক। এদেশ রাশিয়ার সনদে চলবে না, চীনের সনদে চলবে না, ভারতের সনদে চলবে না, আমেরিকার সনদে চলবে না। মদিনার সনদ অনুযায়ী চলবে।’
মদিনার সনদকে শান্তির সনদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ সনদে দেশ চলার কথা কেবল ঘোষণার মাধ্যমে নয় বাস্তবায়নও করতে হবে। মদিনার সনদে দেশ চললে এদেশে কোনো ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ চলার কথা নয়। তবুও ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ চলছে।’
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, ‘এদেশে ইসলামের কথা বলার কারণে, সত্য কথা বলার কারণে অনেককেই গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হচ্ছে। রাসুল (সা.) এর আমলেও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার কারণে এরকম গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হত। যতই গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হোক আমরা সত্য কথা বলা বন্ধ করব না। ইসলামের কথা বলা বন্ধ করব না।’
জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমরা আপনাকে ভালোবাসি। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসি। আমরা আপনার দুশমন নই। আমাদের দুশমন মনে করবেন না। আপনার পেছনে যে নাস্তিক মুরতাদ ঘাপটি মেরে বসে আছে তারাই আপনার দুশমন।’
কাদিয়ানীদের অমুসলমান ঘোষণার দাবি জানিয়ে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, কাদিয়ানীরা নবীর শত্রু, নবীর দুশমন। কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলমান ঘোষণা করতে হবে। কাদিয়ানীরা মুসলমান নয়। তাদের সাথে মুসলমানদের বিয়ে হতে পারে না। তাদেরকে মুসলমানদের কবরে দাফন করা যাবে না। তাদেরকে মুসলমানদের মতো ভিসা দিয়ে মক্কা মদিনায় যেতে দেয়া যাবে না।
ইসকনের কার্যকলাপ বন্ধের দাবি জানিয়ে বাবুনগরী বলেন, ‘বর্তমান মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইসকন। সরকারের কাছে দাবি ইসকনের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।’
এসময় ফ্রান্স সম্পর্কে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, ‘যতক্ষণ ফ্রান্সের ম্যাক্রো সকল মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাইবে না ততক্ষণ পর্যন্ত এদেশে ফ্রান্সের দূতাবাস থাকতে পারবে না। দূতাবাস বন্ধ করে দিতে হবে ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করতে হবে। এছাড়া জাতীয় সংসদে ম্যাক্রোর বিরুদ্ধে ও ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করতে হবে।’