কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে বারিক শাহ নামে এক পল্লী চিকিৎসক গ্রেপ্তার হয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ মে) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক বারিক শাহ (৫৫) জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকালে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার ২
জানা গেছে, বারিক শাহ কাজের কথা বলে সপ্তম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে বাড়িতে ডেকে কলার সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ পল্লী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে আজ (শুক্রবার) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মাদরাসায় পড়া মেয়েটি বাড়ি ফিরে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে সে অভিভাবকদের ঘটনাটি জানালে তারা কুমারখালী থানায় অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ জানান, পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়। এরপর তাকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।