শুক্রবার সন্ধ্যায় দিকে ওই ব্যক্তি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ।
তত্ত্বাবধায়ক বলেন, মৃত ব্যক্তি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। চাকরি সূত্রে তিনি মানিকগঞ্জে পরিবার নিয়ে থাকতেন। করোনা উপসর্গ থাকায় গত ৪ জুন তিনি জেলা হাসপাতালে আসেন। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে, পরীক্ষার জন্য ওই দিনই পাঠানো হয়। গত ৭ জুন সকালে তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওই দিন বিকেলেই তিনি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
কিন্তু শুক্রবার বিকা ৫টার দিকে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে, তাকে দ্রুত ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হয়। মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল থেকে সিংগাইর সড়ক হয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে সিংগাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি মারা যান।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত জেলার মোট চার হাজার ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে তিন হাজার ৭১৬ টির রিপোর্ট পাওয়া গেছে। করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৮৭ জনের।
আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩২ জন এবং নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন ২৪৮ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১০৪ জন এবং মারা গেছেন চার জন।
গত শুক্রবার পর্যন্ত দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন একদিনে সর্বোচ্চ তিন হাজার ৪৭১ জন। সেই সাথে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৬ জন।
এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনার শিকার হয়েছেন ৮১ হাজার ৫২৩ জন। আর মোট মারা গেছেন এক হাজার ৯৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা শুক্রবার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫৯টি ল্যাবে মোট ১৬ হাজার ৯৫০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৯০টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩২২টি। শনাক্তের হার ২১.৭১।