রবিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে ওই যুবক মারা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ত ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ।
মৃত সাদ্দাম হোসেন (২৬) মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার উকিয়ারা গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে।
ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ বলেন, ‘ওই যুবক জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। কিন্তু যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে ভর্তির ১৫ মিনিটের মাথায়ই তার মৃত্যু হয়।
তিনি করোনায় আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হতে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউশনে পাঠানো হবে।
এ নিয়ে জেলায় করোনা উপসর্গ (জ্বর ও শ্বাসকষ্ট) নিয়ে মারা গেলেন ১৫ জন। মৃতদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও একজন কিশোর রয়েছে।
এছাড়া জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে দুইজন সিংগাইর উপজেলায় এবং অন্যজন হরিরামপুর উপজেলায়।
এদিকে, মানিকগঞ্জে নতুন করে আরও ২৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ৩০৫ জন।
রবিবার সকালে মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুন নাহার বন্যা বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে সাটুরিয়া উপজেলায় ৯ জন, মানিকগঞ্জ সদর ও সিংগাইর উপজেলায় ছয়জন করে, দৌলতপুর উপজেলায় তিনজন ও ঘিওর উপজেলায় রয়েছেন দুজন।
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত মোট তিন হাজার ২৪৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে দুই হাজার ৯১০টির রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যাতে ৩০৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮৪ জন, সাটুরিয়া উপজেলায় ৬৭ জন, সিংগাইর উপজেলায় ৬০ জন, ঘিওর উপজেলায় ৪৫ জন, হরিরামপুর উপজেলায় ২৮ জন, শিবালয় উপজেলায় ২২ জন ও দৌলতপুর উপজেলায় রয়েছেন ৯ জন। তাদের মধ্যে ২২ জন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ২১৫ জন নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। জেলায় এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮৭ জন।