নিহত রুবেল সদর উপজেলার আইউবপুর গ্রামের আবুল কাশেম ভান্ডারির ছেলে। পুলিশের দাবি, তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মাদক আইনে ১৬টি মামলা রয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদারের ভাষ্য, গোপন খবরের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার পূর্ব মহদুরীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ইব্রাহিম খলিল ওরফে ভান্ডারি রুবেলকে গ্রেপ্তার করে। এরপর রুবেলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে বের হয় পুলিশ। এ সময় পশ্চিম মহদুরীপুর গ্রামে সাফা মিয়ার বাগান বাড়ির কাছে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
ওসির দাবি, উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ১৫ মিনিট গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে ডিবির ওসি কামরুজ্জামান সিকদার, এসআই সাঈদ মিয়া, এসআাই ওমর ফারুক, এএসআই মাসুদ আলম ও কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন আহত হন।
এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে রুবেলসহ আহত পুলিশ সদস্যদেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনালের হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক রুবেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, একটি পাইপগান, ছয়টি কার্তুজ ও ১০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধারের কথাও জানান তিনি।