সমাহিত
মায়ের পাশে সমাহিত হবেন হিমু
অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মারা যান। জানা গিয়েছিল এই তারকা আত্মহত্যা করেছেন। তবে সেটি নিয়ে তদন্ত চলছে।
প্রয়াত এই তারকার জানাজা শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বাদ জুমা চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন নাট্যাঙ্গন ও চলচ্চিত্রের নির্তামারা।
আরও পড়ুন: পরিচালনায় অরুণা বিশ্বাসের অভিষেক, মুক্তি পেল ‘অসম্ভব’
এদিকে জানাজা শেষে হিমুর লাশ নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর রওনা দেন স্বজনরা।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি ও অভিনেতা আহসান হাবিব নাসিম গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, লক্ষ্মীপুরে মায়ের কবরের পাশে হিমুকে সমাহিত করা হবে।
উল্লেখ্য, হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার বন্ধু মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রাফিকে আটক করেছে র্যাব-১।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে রাফিকে আটক করা হয় বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন র্যাবের এক কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: হুমায়রা হিমুর মৃত্যু: ঢাকার বংশাল থেকে একজনকে আটক করেছে র্যাব
অভিনেত্রী হিমু আর নেই
১ বছর আগে
ঢাবি’র অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক রওশন জাহান সমাহিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রওশন জাহানকে শুক্রবার (৭ জুলাই) বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ও নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: মায়ের কবরের পাশে সমাহিত হবেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার
ড. জাহান ১৯৪১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ সালে ঢাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করে তিনি আরেকটি মাস্টার্স করার জন্য ইংল্যান্ড যান।
তিনি ঢাবি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি মনোবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করেন।
অবসর গ্রহণের পর তিনি একজন লেখালেখি শুরু করেন এবং মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পাঠ্যবই এবং মনোবিজ্ঞানের একটি অভিধানসহ অনেক বই প্রকাশ করেন। এছাড়াও তার ৩৫টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত হলেন সিরাজুল আলম খান
খন্দকার মাহবুব আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত
১ বছর আগে
মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত হলেন সিরাজুল আলম খান
বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান।
শুক্রবার (১০ জুন) বিকালে দ্বিতীয় জানাযা শেষে বেগমগঞ্জের আলিপুর গ্রামে সাহেব বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যদায় মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুনের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
প্রথমে বায়তুল মোকাররম মসজিদে ও বাদ আসর বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান আর নেই
এরপর তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের শাড়িতে মুড়িয়ে মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলমের দাফনের আগে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
শুক্রবার দুপুরে পৈতৃক ভিটায় সিরাজুল আলমের লাশ আনা হয়। সেখানে এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেয়। এ সময় প্রিয় নেতার লাশ দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘দাদাভাই’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন সিরাজুল আলম খান।
১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক হন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠিত হয় তার উদ্যোগে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সংসদ সদস্য আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
১ বছর আগে
খন্দকার মাহবুব আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে সোমবার রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বাদ জোহর খিলগাঁও চৌধুরী পাড়া জামে মসজিদে (মাটির মসজিদ) পঞ্চম নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুবকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে
চারবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হওয়া মাহবুব ৮৪ বছর বয়সে শনিবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তার প্রথম জানাজা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মসজিদে, দ্বিতীয় জানাজা মিরপুরের খন্দকার মাহবুব হোসেন চক্ষু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে, তৃতীয় জানাজা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং চতুর্থ জানাজা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে মাহবুবের মরদেহ আনার পর বিএনপির নেতাকর্মী, আইনজীবী, বিচারক ও আদালতের কর্মকর্তারা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
গত ২৬ ডিসেম্বর মাহবুবকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে তার নিউমোনিয়া ও ফুসফুসে পানি জমে যায়।
প্রখ্যাত এই আইনজীবীকে একদিন পরে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল এবং তার কিডনি কাজ না করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
মাহবুব ১৯৬৭ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হন এবং তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি হন।
তিনি ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের একজন ছিলেন।
মাহবুব ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনার একটি আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব মারা গেছেন
১ বছর আগে
মায়ের কবরের পাশে সমাহিত হবেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার
কিংবদন্তি গীতিকার, পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার গতকাল (৪ সেপ্টেম্বর) মারা গেছেন। আজ (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় তাকে নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়। পরবর্তী সর্বস্তরের মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
গতকাল রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছিল গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃতদেহ। তার মেয়ে দিঠি আনোয়ারের জন্য অপেক্ষার আজ ‘সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটে’র উদ্যোগে শহীদ মিনারে প্রয়াত কিংবদন্তিকে আনা হয়।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মরদেহ নেয়া হয় বিএফডিসির প্রাঙ্গণে। সেখানে বাদ জোহর গাজী মাজহারুলের প্রথম জানানজা পড়ানো হয়। এতে দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের দ্বিতীয় জানাজা বাদ আসর অনুষ্ঠিত হবে গুলশানের আজাদ মসজিদে। জানা যায়, এরপর তাকে বনানী কবরস্থানে মা খোদেজা বেগমের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।
এর আগে রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) অসুস্থ হয়ে পড়লে সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয় গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে। এরপর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, গাজী মাজহারুল আনোয়ার এদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পথিকৃৎ। প্রায় ২০ হাজারের মতো গান লিখেছেন তিনি। বিবিসি বাংলার জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় স্থান পেয়েছে তার লেখা তিনটি গান। এই কিংবদন্তির ছিল একাধিক প্রতিভা। শুধু গান লেখা নয়, তিনি একাধারে একজন সফল সুরকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।
আরও পড়ুন:কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার মারা গেছেন
পাঁচবার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ পেয়েছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ২০০২ সালে গাজী মাজহারুল আনোয়ার ‘একুশে পদক’ পান। ২০২১ সালে সংস্কৃতিতে অর্জন করেন ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বাধীন দেশের সর্বপ্রথম পুরস্কার ‘বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড’ পান এই কিংবদন্তি।
আরও পড়ুন:গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তাফা
চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তাফা । শুক্রবার সকালে নিজ গৃহে ৮১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এই গুণী স্থিরচিত্রগ্রাহক।
গোলাম মোস্তাফা ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদকে ভূষিত হন।
তিনি ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের যাত্রার শুরু থেকে সম্মুখসারীর চিত্রগ্রাহক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন । তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর বিটিভির সাথে ছিলেন এবং অবসরে যাওয়ার আগে প্রায় ৪২জন চিত্রগ্রাহক ধারণের মত অবকাঠামো তৈরি করে রেখে যান।
আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার
গোলাম মোস্তাফা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশনে পরিচালক, স্থিরচিত্রগ্রাহক এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচারাল বিভাগে গেস্ট লেকচারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, দুই নাতি এবং তিন বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
ঢাকার আজিমপুর গোরস্থানে (নতুন) তাঁকে সমাহিত করা হবে।
৩ বছর আগে