রবিবার দুপুরে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মৃত আফেল আলী (৩৫) সাহারবাটি বাজার পাড়ার আব্দুল মতিনের ছেলে। তিনি পেশায় মৌসুমি ফল ও সবজী ব্যবসায়ী ছিলেন।
মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. নাসির উদ্দীন বলেন, ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে আফেল আলীকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।’
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল আলম জানান, আফেল আলীকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে গাংনী হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যায়। শ্বাসকষ্ট ও সর্দি জ্বর থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আফেল আলীর ছোট ভাই কফেল আলী জানান, তার ভাইয়ের শ্বাসকষ্ট, সর্দিজ্বর ও হার্টের সমস্যা ছিল। সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা নেয়ার পথে গাংনী উপজেলার গাড়াডোব বাজার এলাকা পার হওয়ার সময় শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। পরে গাংনী হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে। নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট পেলে জানা যাবে তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা।
এদিকে, জেলায় এ পর্যন্ত ১৫৪৬টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে মোট ৪২ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ জন, মারা গেছেন চারজন এবং আক্রান্ত ১৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।