মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বসত ঘরের চালে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত শিশু সোনিয়াও মারা গেছে। তার আগে একই ঘটনায় তার পরিবারের ৫ জনই মারা যান।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে জেলার জুড়ী উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে রহমত আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সোনিয়া মারা যায়।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৬
নিহত ৫ জন হলেন- ফয়জুর রহমান, স্ত্রী শিরি বেগম, মেয়ে সামিয়া বেগম, মেয়ে সাবিনা বেগম ও ছেলে সায়েম মিয়া। এদের মধ্যে মেয়ে সামিয়া বেগম নবম শ্রেণির ও সাবিনা বেগম সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
এদিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী। অন্যান্য সদস্যরা হলেন- মো. ফজলুর রহমান, পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী ও দীপংকর ঘোষ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল)।
গঠিত তদন্ত কমিটি সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ২টা থেকে এই এলাকায় অনেক ঝড়-তুফান হয়। এ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। পেশায় ঠেলা চালক ফয়জুর রহমানের বসত ঘরের ছাউনির টিনের উপর হাই ভোল্টের পল্লী বিদ্যুতের একটি তার ছিড়ে পড়েছিল।
রাত সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ আসলে তাদের ঘরে শর্টসার্কিটে সবাই বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস খবর দিলে একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করে।
জুড়ি উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি সড়কের এক পাশে টিনের চালা ও বেড়ার তৈরি ঘরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকতেন ঠেলা চালক ফয়জুর রহমান। তার ঘরের উপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন টানানো। নিজের জমি না থাকায় রহমত আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির পতিত জমিতে বাস করেছিলেন ফয়জুর।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
মৌলভীবাজারে মাস শেষের আগেই ফুরিয়ে যায় গ্যাস, ভোগান্তিতে গাড়িচালক-যাত্রীরা