আটকদের একজন মনিরুল ইসলাম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের ওহিদুলের ছেলে। বর্তমানে তিনি যশোর সদর উপজেলার রামনগর ধোপাপাড়ার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী এলাকার ওই তরুণী বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ি ফেরার জন্য রাজশাহী থেকে এমকে পরিবহনের বাসে ওঠেন এবং রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরে নেমে পূর্ব পরিচিত মনিরুলকে ফোন দেন। রাত গভীর হয়ে যাওয়ায় ওই তরুণী বাড়িতে যেতে না পেরে মনিরুলের সাথে শহরের কোল্ড স্টোরে সামনে এমকে পরিবহনের ভেতরে অবস্থান নেন। রাত দেড়টার দিকে তাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মনিরুলকে আটক ও ওই তরুণীকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, মনিরুল রাতে তাকে পানীয় খেতে দেয়। পরে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। গভীর রাতে চেতনা ফিরে আসলে তিনি ধর্ষণের বিষয়টি বুঝতে পারেন। তার দাবি, বাসের চালক ও সহকারী মনিরুল তাকে ধর্ষণ করেছেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে ভর্তি হওয়া তরুণীর অবস্থা এখন ভালো। পরীক্ষার পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় পরিবহন শ্রমিককে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।