হাসপাতালে চিটকিৎসাধীন রিনা বেগম জানান, তার স্বামী ইলিয়াস জুয়া খেলেন। কোনো কাজ করেন না। এসবের প্রতিবাদ করায় প্রায়ই তাকে মারপিট করা হতো। ১৫ দিন আগে ইলিয়াস তাকে তালাকও দেন।
রিনা বেগম বলেন, ‘মেয়েকে নিয়ে আমি ঝিকরগাছার লাউজানি এলাকায় খোরশেদের ধানের চাতালে কাজ করি। গত শনিবার রাতে চাতালের একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত আড়াইটার দিকে ইলিয়াস আমার শরীরে অ্যাসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক কামরুজ্জামান জানান, ওই নারীর হাত, মুখ, বুক, পিঠ মিলিয়ে শরীরের ৫০ ভাগ পুড়ে গেছে। অবস্থা খুব খারাপ। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। তবে আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় ঢাকায় নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ওই নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে তিনি জেনেছেন। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। কাউকে আটকও করা হয়নি।