শুক্রবার বুড়িমারী ইমিগ্রেশনকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় ভারতীয় চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ নার্জিনারী। চিঠিতে বলা হয়, বিকাল ৫টার পর থেকে কোনো যাত্রী গ্রহণ করবে না ভারত।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন জানান, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভারত সরকার তাদের দেশে প্রবেশ ঠেকাতে প্রায় সব ধরনের ভিসা বন্ধ করেছে। সম্প্রতি ভারতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে দেশটির সরকার। তবে ভারতীয় কোনো নাগরিক তার দেশে প্রবেশ করতে চাইলে তারা যেতে পারবেন। তবে অন্যদেশের কোনো নাগরিককে চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন গ্রহণ করবে না বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।
জরুরি কাজে ভারত যেতে চাইলে অবশ্যই শুক্রবার বিকাল ৫টার মধ্যে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বুড়িমারী চেকপোস্ট হয়ে কেউ ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে ভারতে থাকা বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা এ পথ হয়ে দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানান তিনি।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে তাদের চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন ভারতীয় ছাড়া অন্য কোনো পাসপোর্টধারীকে গ্রহণ করবে না বলে বুড়িমারী ইমিগ্রেশনকে জানিয়েছে।
‘তারা গ্রহণ না করলে শুক্রবার বিকাল ৫টার পর থেকে আমরা ভারতীয় ছাড়া অন্য পাসপোর্টের যাত্রী পাঠাবো না,’ বলেন তিনি।