নিহত বাসিমং মারমা (৩২) গবছড়া পাড়ার ক্যাসিংপ্রু মারমার ছেলে।
চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আশরাফ উদ্দিন জানান, দুপুরে রাইখালী ও বাঙ্গালহালিয়ার সীমান্তবর্তী গবাছড়া এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত বাসিমং মারমা বাঙ্গালহালিয়া বাজার স্কুল মার্কেটে চায়ের দোকানদার ও মোটরসাইকেল চালক। দোকানটি তার স্ত্রী চালান এবং সংসারের অভাব অনটনের কারণে তিনি মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালিয়ে সংসারে সহযোগিতা করেন।
ওসি জানান, বাঙ্গালহালিয়া বাজার থেকে গবছড়া পাড়া কারবারি সুইএচিং মারমাকে নিয়ে চাচাত ভাই বাসিমং মারমা মোটরসাইকেলযোগে এক অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। রাইখালী ও বাঙ্গালহালিয়া সীমানা নাইক্যছড়া দেবতা ছড়া এলাকায় পৌঁছালে কার্বারিকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। গুলি বাসিমং মারমার গায়ে লাগলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ভাগ্যক্রমে সুইএচিং মারমা বেঁচে যান।
সুইএচিং মারমা বলেন, পাড়ার প্রধান হিসেবে পাড়াবাসির অনুরোধে নবনির্মিত বৌদ্ধ বিহার উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় যোগ দিতে বেলা দেড়টার দিকে বাঙ্গালহালিয়া বাজার থেকে রওনা হই।
‘পথে জেএসএস এর অস্ত্রধারী ৮-১০ জন সন্ত্রাসী আমাকে লক্ষ্য করে পাহাড়ের ওপর থেকে গুলি ছুঁড়লে প্রথমেই ২-৩টি গুলি বাসিমংয়ের গায়ে লেগে গাড়িটিসহ আমরা মাটিতে পড়ে যায়। এসময় আমাকে লক্ষ্য করে আবারো ২০-৩০টি গুলি ছুঁড়েছে সন্ত্রাসীরা। আমি সন্ত্রাসীদের দেখে জীবন বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে পাহাড়ের এক পাশে লুকিয়ে সেনাবাহিনীকে মোবাইল করলে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে দ্রুত গিয়ে আমাকে উদ্ধার করেন,’ বলেন তিনি।
সুইএচিং আরও বলেন, ‘জেএসএস এর লোকজন আমাকে আগেও প্রাণে মেরে ফেলতে হুমকি দিয়েছি।’