ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকায় অন্তত ২০ ফিট চওড়া রাস্তা নির্মাণের জন্য জনগণকে জায়গা ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (০৪ অক্টোবর) সকালে ডিএনসিসি মেয়র ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন মিরপুর, শেওড়াপাড়া এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় মেয়র নাগরবাসীর সুযোগ-সুবিধা ও সমস্যার কথা সরাসরি শোনেন এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, শুধু প্রধান সড়ক প্রশস্ত হলে হবে না। প্রধান সড়কের পাশাপাশি টারশিয়ারি রোড প্রশস্ত করা হলে যানজট কমে যাবে। তবে ন্যূনতম ২০ ফিট রাস্তা নির্মাণের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। জনগণ জায়গা ছাড়লে আমরা রাস্তা নির্মাণ করে দেব। রাস্তা চওড়া হলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, এম্বুলেন্স সহজে দ্রুত সময়ে যাওয়া আসা করতে পারবে।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাণে কোড অমান্য হলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
জনগণ সম্পৃক্ত হলে সব কাজ বাস্তবায়ন সহজ হয়ে যায় উল্লেখ করে মেয়র বলেন, রাস্তা চওড়া করার জন্য আমি কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে উচ্ছেদ করলে অনেকে অসন্তুষ্ট হন। কিন্তু রাস্তা চওড়া হলে এই সুবিধা মেয়র ও কাউন্সিলররা পাবে না। বরং সর্বস্তরের জনগণ এই সুবিধা ভোগ করবে। অতএব জনগণের স্বার্থে আমরা আমাদের কাজ করে যাব।
আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরের উন্নয়নে জনগণের সহযোগিতার বিকল্প নেই। জনগণ ঠিকমতো নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করলে উন্নয়ন কাজ করার জন্য সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ট্যাক্স পরিশোধ করতে এখন আর সিটি করপোরেশনে যেতে হয় না। অনলাইনে ঘরে বসে ট্যাক্স দিন। দ্রুত অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্সও দেওয়া হবে। পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের কাজ চলছে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ড্রেন বা নর্দমার পানিতে কিন্তু এডিস মশার জন্ম হয় না। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতেই এডিসের লার্ভা জন্মায়। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, বাসা-বাড়ির পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ ড্রেনে বা খালে দেয়া যাবে না। নিজেদের বাসা বাড়িতে নিজস্ব ব্যবস্থায় পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। খালগুলোকে বাঁচাতে হবে। জলাশয়গুলোকে বাঁচাতে হবে। সবাইকে অনুরোধ করছি দয়া করে কেউ খালে ময়লা ফেলবেন না।
এসময় স্থানীয় জনগণ মেয়রের কাছে তাদের বিভিন্ন দাবিগুলো তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীরা মাঠের দাবি জানালে মেয়র বলেন, এই এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব জমি নেই খেলার মাঠ নির্মাণের জন্য। আমরা বিভিন্ন সংস্থার কাছে জমি চেয়েছি। তারা যদি হস্তান্তর করে তাহলে আমরা খেলার মাঠ নির্মাণ করে দিব। বিভিন্ন এলাকায় খাস জমি রয়েছে। অনেক খাস জমি বেদখল হয়ে গেছে। এগুলো খুঁজে বের করে খেলার মাঠ নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ