বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমানের আদালতে অভিযোগের শুনানি শেষে এ অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলায় আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ করবে আদালত।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মোস্তফিজুর রহমান বলেন, ‘১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এ সময় জামিনে থাকা প্রিন্স মোল্লাসহ সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।’
অভিযুক্ত বাকি আসামিরা হলো- রাশিদুল হাসান রিশান ওরফে রিশান ফরাজী, রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, আবু আবদুল্লাহ ওরফে রায়হান, ওলিউল্লাহ ওরফে অলি, জয় চন্দ্র সরকার ওরফে চন্দন, মো. নাইম, তানভীর হোসেন, নাজমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিবুল্লাহ, মারুফ মল্লিক, রাতুল শিকদার জয় ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ।
এদিকে, একই মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার প্রথম দিনে নিহত রিফাত শরীফের বাবা মামলার বাদী দুলাল শরীফ সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ সময় রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৯ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতক আছেন আসামি মো. মুসা।
অপরদিকে, মামলার সাক্ষী জাকারিয়া বাবু ও হারুনকে ভয়ভীতি দেখানোর কারণে মিন্নির হাইকোর্টে পাওয়া জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সঞ্জীব দাস বলেন, ‘৪ জানুয়ারি মিন্নিসহ পাঁচজন সাক্ষী জাকারিয়া বাবু ও হারুনের বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাক্ষ্য না দেয়ার জন্য বলে আসেন।’
গত ২ সেপ্টেম্বর আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির। এদের মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক।
গত ২৬ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে রিফাতকে ওইদিনই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।