শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর বাজারে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলায় যুবদল নেতা এমদাদ হাওলাদার (৫০) নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৯ জুন) সকালে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ভোজেশ্বর বাজারে হামলায় নিহত হন।
নিহত এমদাদ হাওলাদার জপসা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি জপসা গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল শিকদারের ছোট ভাই তুহিন সিকদারের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন এমদাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় তার বড় ছেলে রাজিব হাওলাদারও গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক এমদাদ হাওলাদারকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ছেলে রাজিব বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতের ছোট বোন ফিনসি বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ভাই কারো ক্ষতি করেনি। রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকতে পারে, তাই বলে এভাবে প্রাণ নিতে হবে? আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল শিকদার বা তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
নড়িয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সুরুজ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, ‘ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত চলছে। থানায় এজাহার দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান। এজাহারের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’