তিনি বলেন, ‘বুধবার এই গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলা হয়েছে সেটি খুব দুঃখজনক। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের কেউ ছাড় পাবে না। তাদের খুঁজে বের করে পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে যারাই দোষী তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশ শান্তির দেশ। এই শান্তির দেশে যদি কেউ অশান্তি সৃষ্টি করে তাহলে তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: মুরাদনগরে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন, আটক আরও ৭
শাল্লায় ফেসবুকে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে কটাক্ষ করে পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই গ্রামের নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এসময় তিনি ধর্মীয় সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ত্যাগ করে সব ধর্মের প্রতি উদার হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ৫ জনের কারাদণ্ড
তার সাথে সুনামগঞ্জ র্যাব-৯ এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মুসা মো. শরীফুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ফিঞ্চন আহমেদ, এএসপি মো.আব্দুল্লা প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উলেখ্য, বুধবার সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে আল্লামা মামুনুল হককে ফেসবুকে কটাক্ষ করায় তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু বাড়িঘরসহ মন্দিরে ভাঙচুর লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। নোয়াপাড়া গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামের এক যুবকের ফেসবুক আইডি থেকে মামুনুল হককে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দেয়ার পর রাতে এলাকাবাসী তাকে ধরে নিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। এরপর বুধবার সকাল থেকে দিরাই শাল্লা উপজেলার হাজারো মানুষ গ্রামটি ঘেরাও করে রাখে। পরে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি বাড়িঘরসহ মন্দিরে হামলা করা হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
আরও পড়ুন: সম্পত্তিতে হিন্দু-বৌদ্ধ নারীদের সমান অধিকার নিশ্চিতে আইন প্রণয়নের দাবি