সন্ধ্যা নামলে পথঘাট, হাট-বাজার জনশূন্য হয়ে পড়ে। রাতে তাপমাত্রা আরও কমে যায়। এতে স্বাভাবিক কাজকর্ম বাধাগ্রস্থ হওয়ায় দিন এনে দিন খাওয়া কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। অনেকেই খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। নিম্ন আয়ের মানুষরা গরম কাপড়ের জন্য ফুটপাথের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন।
আরও পড়ুন: শীতের শুষ্কতায় উপকারী বন্ধু তেল
সোমবার সকালে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, একটু উষ্ণতার জন্য বয়স্করা কাঁথা বা কম্বল জড়িয়ে গুটিসুঁটি হয়ে বসে আছেন। গবাদি পশুর গায়ে চট জড়িয়ে রেখেছেন। তাদের গরম পানি খাওয়াতে দেখা গেছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে অধিকাংশই আমাশয়, নিউমোনিয়া, ডায়ারিয়া ও সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: শীতের সবজিতে সয়লাব নওগাঁর হাট-বাজার
এদিকে আজ সোমবার সকাল থেকে সুর্যের মুখ দেখা যায়নি। দিনের বেলায় ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে আছে পুরো জেলা। সন্ধ্যার পর পরেই কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাস বেশি অনুভূত হয়। এছাড়াও দিনের বেলায় দুর-পাল্লাসহ সকল প্রকার যানবাহন হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
নওগাঁর বদলগাছি আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, সোমবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টানা কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় নাকাল হয়ে পড়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার স্বাভাবিক জীবনযাপন।
আরও পড়ুন: শীতে পা ফাটার সমস্যা দূর করবেন যেভাবে
এদিকে, কুয়াশার প্রভাব কমতে শুরু করার সাথে সাথে দিনাজপুরসহ দেশের উত্তর জনপদেশীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে।
অপর দিকে, দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যতিক্রমী আবহাওয়া বিরাজ করেছিল। দিনে গরম আর রাতে শীত অনুভূত হয়েছিল। কিন্তু গত দু’দিন ধরে এখানে ঘন কুয়াশার স্থায়ীত্ব বেড়েছে। সকাল গড়িয়ে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়ছে গোটা জেলা। তবে দুপুরের পর রোদের ঝিলিক নিয়ে সূর্য দেখা যাচ্ছে।
এছাড়া, পৌষ আসার আগেই দিনভর কুয়াশার চাদরের সাথে উত্তরের হাওয়া। দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের অনুভূতিও বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসিন্দারের শীতেও ঘাম ঝরাচ্ছে সবজির দাম
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে জেঁকে বসবে শীত। তখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কোথাও কোথাও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসতে পারে।