তারা হলেন- ভুয়া ডিবি’র দারোগা পরিচয়দানকারী জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার নাপিতেরচর গ্রামের নান্ডা সেখের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩২) ও তার সহযোগী শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের গাগলাজানী গ্রামের মৃত করিম পাগলার ছেলে আব্দুল কাইয়ুম (৪০)।
শেরপুর শহরের সজবরখিলা এলাকা থেকে নজরুল ইসলামকে সোমবার রাতে এবং আব্দুল কাইয়ুমকে মঙ্গলবার দুপুরে শহরের শেখহাটি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শেরপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মো. মোখলেছুর রহমান জানান, নজরুল ইসলাম ঢাকায় বসুন্ধরা গ্রুপে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করত। পরে সে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে আসে। সে আত্মীয়তার সুবাদে নালিতাবাড়ী উপজেলার গাগলাজানী গ্রামের আ. কাইয়ুম ও তার খালাতো বোন নূরুন্নাহারের সাথে মিলে এক প্রতারণার সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। একপর্যায়ে ভুয়া ডিবি পুলিশের দারোগা সেজে নজরুল তার ওই দুই সহযোগীকে নিয়ে শেরপুর সদর ও নালিতাবাড়ী উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষের কাছে চাকরি, বয়স্ক ভাতা পাইয়ে দেয়াসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমকে বাসাবাড়ির বিভিন্ন সামগ্রী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ভুয়া ডিবি পুলিশের দারোগা পরিচয়দানকারী নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় গত ১৬ নভেম্বর ফেরদৌসী বেগম শেরপুর জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাহেরুল ইসলাম ও এসআই মো. জুবায়ের খালিদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ সোমবার রাতে শহরের সজবরখিলা মহল্লায় অভিযান চালিয়ে মো. নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেন। মঙ্গলবার দুপুরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতারক চক্রের অপর সহযোগী আ. কাইয়ুমকে শহরের শেখহাটি মহল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ১৭ নভেম্বর প্রতারক চক্রের অপর সদস্য আ. কাইয়ুমের খালাতো বোন নূরুন্নাহার বেগমকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে নজরুল ইসলাম সহযোগীদের নিয়ে নানাভাবে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়।