মৃত হাসান আলী (২০) ঝাউডাঙ্গা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ওই গ্রামের বাহারুল ইসলামের ছেলে।
কলেজছাত্রের মা রোজিনা খাতুন জানান, কয়েকদিন ধরে গায়ে জ্বর থাকায় তার ছেলের শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছিল। স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের ওষুধ তাকে খাওয়ানো হয়, তবে এতে কোনো উন্নতি হয়নি। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসানের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত, মোট আক্রান্ত ৬১
বল্লী ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইরাদ আলী জানান, গত ৬-৭দিন ধরে হাসান জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। তার মৃত্যুর খবরে এলাকা জুড়ে করোনা আতংক বিরাজ করছে। ওই বাড়ির আশেপাশেও এখন কেউ আসছেন না। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ দিয়ে বাড়িটি পাহারায় রাখা হয়েছে।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত জানান, কলেজছাত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর একটি মেডিকেল দল সেখানে পাঠানো হয়েছিল। তারা তার শরীরে করোনার ভাইরাসের কোনো লক্ষন পাননি।
তিনি আরও জানান, পরিবারের সদস্যরা রাজী থাকলে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য হাসানের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) কাছে পাঠানো হবে।
এদিকে সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিদেশফেরত আরও ৪৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২ হাজার ৮৯৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে আরও ৬৯৬ জনকে।