জোয়ারের পানি ঠেকাতে এলাকাবাসীর প্রাণপণ এই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরার লেবুবুনিয়া, কাশিমাড়ির কোলা ও বুড়িগোয়ালিনীর দাতিনাখালি বাদে সব পয়েন্টের বেড়িবাঁধগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় স্থানীয় জনতা রিংবাঁধ দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সংস্কার করছেন।
গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে ঝড়ো বাতাস বইছে। এর সাথে নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যেই স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর আওতাধীন আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৩টি পয়েন্টে স্থানীয় জনতা স্বেচ্ছাশ্রমে রিংবাঁধ দিলেও বাকী ৫টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ এখনও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন।
তবে, স্থানীয় শত শত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে এ সব বেঁড়িবাধ সংস্কারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের দাবি, ‘ত্রাণ চাই না, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।’
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় স্থানীয় জনতা বেড়িবাঁধগুলো রিংবাঁধ দিয়ে সংস্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি পয়েন্টে রিংবাঁধ সম্পন্ন হয়েছে। খুব দ্রুতই বাকী পয়েন্টগুলোর বেড়িবাঁধ রিংবাঁধের মাধ্যমে সংস্কার সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া ভাঙন কবলিত এলাকায় যারা স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন তাদের জন্য ইতোমধ্যে ৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানান।