উদ্বোধনের পর প্রথম দিনই জমে উঠেছে চট্টগ্রামে অমর একুশে বইমেলা।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ২১ দিনব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করেন।
সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় বিকাল থেকে আসতে থাকে নানা বয়সী মানুষ। প্রথম দিনেই বিপুলসংখ্যক বইপ্রেমীর উপস্থিতিতে জমজমাট রূপ ধারণ করেছে বইমেলা।
চসিকের আয়োজনে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতায় এ বইমেলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার কাজ পেল চীনের সিআরবিসি
৪৩ হাজার বর্গফুটে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৯২টি প্রকাশনা সংস্থার ১৫৫টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ডাবল স্টল ৭৮টি, সিঙ্গেল ৭৭টি। এবারের বইমেলার বাজেট ৫০ লাখ টাকা।
এবারও জাতীয় জীবনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য একুশে সম্মাননা স্মারক পদক ও সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হবে। এই বইমেলা চলবে ২ মার্চ পর্যন্ত। বইমেলাকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজে সেজেছে নান্দনিক সিআরবি এলাকা।
চট্টগ্রামে প্রতি বছর একুশে বইমেলার আয়োজন থাকলেও এবারই প্রথম সিআরবিতে হচ্ছে এই মেলা। খেলার মাঠে মেলার আয়োজন না করার নির্দেশনা থাকায় স্থান পরিবর্তন করতে হয়। তবে সিআরবির পরিবেশ নান্দনিক হওয়ায় রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতি বছর এখানেই বইমেলা করতে আগ্রহী সিটি কর্পোরেশন।
এবারের মেলায় স্টলগুলোর পাশাপাশি থাকছে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু কর্নার, লেখক আড্ডা কর্নার, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত আসন ও শিশু কিশোরদের জন্য বিশেষ আয়োজন।
আয়োজনের বিভিন্ন দিনে থাকবে রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল উৎসব, লোকজ উৎসব, মরমী উৎসব, তারুণ্যের উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, শিশু উৎসব, লেখক সমাবেশ, যুব উৎসব, নারী উৎসব, চাটগাঁ উৎসব, মুক্তিযুদ্ধ উৎসব, পেশাজীবী সমাবেশ, কবিতা আবৃত্তি ও ছড়া উৎসব, স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, কুইজ প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, গুণীজন সংবর্ধনা, সম্মাননা পদক এবং সাহিত্য পুরস্কার প্রদান। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত থাকবে।