একুশে বইমেলা
সিআরবিতে প্রথম দিনেই জমজমাট একুশে বইমেলা
উদ্বোধনের পর প্রথম দিনই জমে উঠেছে চট্টগ্রামে অমর একুশে বইমেলা।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ২১ দিনব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করেন।
সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় বিকাল থেকে আসতে থাকে নানা বয়সী মানুষ। প্রথম দিনেই বিপুলসংখ্যক বইপ্রেমীর উপস্থিতিতে জমজমাট রূপ ধারণ করেছে বইমেলা।
চসিকের আয়োজনে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতায় এ বইমেলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার কাজ পেল চীনের সিআরবিসি
৪৩ হাজার বর্গফুটে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৯২টি প্রকাশনা সংস্থার ১৫৫টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ডাবল স্টল ৭৮টি, সিঙ্গেল ৭৭টি। এবারের বইমেলার বাজেট ৫০ লাখ টাকা।
এবারও জাতীয় জীবনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য একুশে সম্মাননা স্মারক পদক ও সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হবে। এই বইমেলা চলবে ২ মার্চ পর্যন্ত। বইমেলাকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজে সেজেছে নান্দনিক সিআরবি এলাকা।
চট্টগ্রামে প্রতি বছর একুশে বইমেলার আয়োজন থাকলেও এবারই প্রথম সিআরবিতে হচ্ছে এই মেলা। খেলার মাঠে মেলার আয়োজন না করার নির্দেশনা থাকায় স্থান পরিবর্তন করতে হয়। তবে সিআরবির পরিবেশ নান্দনিক হওয়ায় রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতি বছর এখানেই বইমেলা করতে আগ্রহী সিটি কর্পোরেশন।
এবারের মেলায় স্টলগুলোর পাশাপাশি থাকছে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু কর্নার, লেখক আড্ডা কর্নার, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত আসন ও শিশু কিশোরদের জন্য বিশেষ আয়োজন।
আয়োজনের বিভিন্ন দিনে থাকবে রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল উৎসব, লোকজ উৎসব, মরমী উৎসব, তারুণ্যের উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, শিশু উৎসব, লেখক সমাবেশ, যুব উৎসব, নারী উৎসব, চাটগাঁ উৎসব, মুক্তিযুদ্ধ উৎসব, পেশাজীবী সমাবেশ, কবিতা আবৃত্তি ও ছড়া উৎসব, স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, কুইজ প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, গুণীজন সংবর্ধনা, সম্মাননা পদক এবং সাহিত্য পুরস্কার প্রদান। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের সিআরবিতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বইমেলা
১০ মাস আগে
একুশে বইমেলার শিকড়ের সন্ধান
বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা সবসময়ই অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছে। অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বইমেলা হয়।
এটি দেশের বৃহত্তম বইমেলা, যেখানে প্রকাশকরা বিভিন্ন ধারায় লেখা মুদ্রিত বই প্রদর্শন ও বিক্রি করেন।
এই মেলা পাঠকদের জন্য তাদের প্রিয় লেখক, কবি, ঔপন্যাসিক ও প্রকাশকদের সঙ্গে মুখোমুখি দেখা করার দুর্দান্ত সুযোগ করে দেয়। পাঠকদের বই পড়তে ও কিনতে উৎসাহিত করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিবেশন করার পাশাপাশি বইমেলা মাসব্যাপী একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে– যা বাংলাদেশের বৈচিত্র্যকে তুলে ধরে।
অমর একুশে বইমেলার ইতিহাসের শিকড় অনুসন্ধান করা যাক-
চিত্তরঞ্জন সাহা
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি মাঠ থেকে বইমেলা শুরু হয়। চিত্তরঞ্জন সাহা ১৯২৭ সালে নোয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার বাংলাবাজারে অবস্থিত তার প্রকাশনা সংস্থা পুঁথিঘর প্রকাশনী ১৯৭১ সালে পুড়িয়ে দেয়া হয়। চিত্তরঞ্জন সাহা ২৬ মার্চের পর ঢাকা ছেড়ে যান। তিনি আগরতলায় আশ্রয় নেন এবং তারপরে মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় চলে আসেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অনেক বিশিষ্ট লেখক, শিল্পী, সাংবাদিককে শরণার্থী হিসেবে কলকাতায় থাকতে হয়েছিল।
সেই সময়কালে চিত্তরঞ্জন কলকাতায় বসবাসরত কয়েকজন বিশিষ্ট সাহিত্যিকের সঙ্গে একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করেন। তারা বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ওপর হওয়া অন্যায় ও যুদ্ধ নিয়ে লেখার ও তা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন। এভাবেই মুক্তধারার জন্ম হয়।
১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চিত্তরঞ্জন সাহা বাংলা একাডেমি ভবনের সামনে গাছের নিচে একটি মাদুর বিছিয়ে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রায় ৩২টি (কিছু সূত্র অনুসারে ৩৩টি) বই প্রদর্শন করেন।
যদিও চিত্তরঞ্জন সাহা প্রথমদিককার উদ্যোক্তা হিসেবে বইমেলার সূচনা করেছিলেন, তবে কিছু সূত্র অনুসারে তিনিই প্রথম ব্যক্তি নন যিনি ফেব্রুয়ারিতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বই বিক্রি শুরু করেছিলেন। স্ট্যান্ডার্ড পাবলিশার্সের রুহুল আমিন নিজামী রাশিয়ান বই প্রদর্শন শুরু করেন। এই বইগুলো তাদের সমৃদ্ধ বিষয়বস্তু এবং সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য সেসময়ে খুব জনপ্রিয় ছিল।
আরও পড়ুন: দুই বছর পর ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হচ্ছে বইমেলা
বাংলাদেশে প্রথম বইমেলার পেছনের ইতিহাস
চিত্তরঞ্জন সাহা একুশের বইমেলার প্রবর্তক হিসেবে স্বীকৃত হলেও বইমেলার শিকড় আরও গভীরে প্রোথিত।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৫ সালে।
উদ্যোগটি নিয়েছিলেন সরদার জয়েনউদ্দীন। তিনি ১৯১৮ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন।১৯৬৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) গ্রন্থাগারের নিচতলায় কিছু শিশুতোষ বই প্রদর্শন শুরু করেন। তখন তিনি শিশুদের বই নিয়ে ইউনেস্কোর একটি প্রকল্পে কাজ করছিলেন।
১৯৭০ সালে জয়েনউদ্দীন নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জে একটি বইমেলার আয়োজন করেন।
ইউনেস্কো ১৯৭২ সালকে ‘আন্তর্জাতিক বই বর্ষ’ ঘোষণা করায়, ডিসেম্বরে জয়েনউদ্দীন বাংলা একাডেমিতে বইমেলার আয়োজনের উদ্যোগ নেন। এরপর থেকে বাংলা একাডেমি বইমেলার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়।
একুশে বইমেলার যাত্রা
চিত্তরঞ্জন সাহা আরও কয়েক বছর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বই প্রদর্শন ও বিক্রি চালিয়ে যান। ১৯৭৬ সালে বই বিক্রির এই ধারণা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যান্য প্রকাশকরা একত্র হন এবং এতে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়।
আশরাফ সিদ্দিকী সে সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন এবং বইমেলার সঙ্গে একাডেমির যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এরপর ধীরে ধীরে বাংলা একাডেমির আয়োজক সমিতি বইমেলাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।
১৯৭৯ সালে বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণে ‘বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি’ (চিত্তরঞ্জন সাহা প্রতিষ্ঠিত) এবং বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় একটি বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: এবার একুশে বইমেলায় সাড়ে ৫২ কোটি টাকার বই বিক্রি
১ বছর আগে
একুশে বইমেলায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, একুশে বইমেলাকে ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে কারও জন্য সুনির্দিষ্ট কোনও হুমকি নেই।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ফারাবীর ৭ বছরের কারাদণ্ড
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোন লেখক বা প্রকাশক নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেন, আমরা তার ওপর কড়া নজর রাখব।’
মেলায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
এছাড়া মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।
আরও পড়ুন: সেনাবহরে যুক্ত হলো তুর্কিয়ের তৈরি টাইগার মিসাইল
১ বছর আগে
বই মেলার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ক্লাউড সার্ভিস দিচ্ছে হুয়াওয়ে
আইসিটি প্রযুক্তি, সেবা ও অবকাঠামো প্রদানকারী হুয়াওয়ে ভার্চুয়াল অমর একুশে বইমেলা চালু করার জন্য বাংলা একাডেমিকে ক্লাউড সল্যুশন দিয়েছে। এখন থেকে বইপ্রেমীরা বইমেলা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য দেখতে পারবেন এই ওয়েবসাইটে।
বর্তমান পরিস্থিতির কথা আমলে নিয়ে, অমর একুশে বইমেলা ২০২২ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি এই ওয়েবসাইটটি চালু করেছে যাতে করে দর্শক ও আগ্রহী বইপ্রেমীরা ভার্চুয়ালি বইমেলা উপভোগ করতে পারেন এবং বইমেলা সম্পর্কিত তথ্য ও অন্যান্য সুবিধা পান। ওয়েবসাইটটির জন্য ক্লাউড সাপোর্ট দিচ্ছে হুয়াওয়ে আর ভার্চুয়াল প্লাটফর্মটি পরিচালনা করবে সিইএমএস।
বইপ্রেমীরা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বইমেলা, স্টল, বই, অনুষ্ঠান, কার্যক্রম ও স্টলগুলোর অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়া তথ্য সঞ্চয় করে রাখা, প্রিয় লেখক কখন মেলায় আসবেন তা জানতে এবং স্টলের সঙ্গে সরাসরি চ্যাটও করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
আরও পড়ুন: বাজারে উন্মোচিত ‘স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা’
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) কবি নুরুল হুদা বলেন, ‘পুরো দেশ ডিজিটাল সেবার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এবং সরকার এই রূপান্তরের সাহায্যে এগিয়ে আসছে। তদানুসারে, বাংলা একাডেমি এই বছর অমর একুশে বইমেলার জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে যাতে প্রত্যেকে বইমেলা বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য ডিজিটালভাবে অ্যাক্সেস করতে পারেন। এটাকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।’
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক, ইউয়িং কার্ল বলেন, ‘বরাবরই বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরের উন্নয়নে কাজ করছে হয়াওয়ে এবং হয়াওয়ে ক্লাউড প্ল্যাটফর্মের মতো বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে দেশের সেবা করছে। আমাদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, অমর একুশে বইমেলা ভার্চুয়াল সাইটের সুবিধার্থে ক্লাউড পরিষেবা প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি এই ওয়েবসাইট বইমেলায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং বাংলা একাডেমিকে নানাভাবে সাহায্য করবে।’
পুরো অভিজ্ঞতা পেতে এই ওয়েবসাইটে নিজের নাম, ঠিকানা, ইমেইল এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে যার জন্য কোন চার্জ হবে না। যে কোন বই অনলাইনে অর্ডার করার সুযোগও থাকছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। তবে আপাতত ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা থাকলেও খুব শিগগিরই অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা সংযুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: হুয়াওয়ে মালয়েশিয়ার ইনোভেশন সেন্টার উদ্বোধন
২ বছর আগে
একুশে বইমেলা চলবে ১৭ মার্চ পর্যন্ত: প্রতিমন্ত্রী
চলমান অমর একুশে বইমেলার মেয়াদ ১৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, প্রকাশক ও লেখকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইমেলার মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন,‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলা চলতে আমরা মনিটরিং করছি। এবার বইমেলার জনসমাগম অনেক বেশি।’
আরও পড়ুন: বইমেলার দ্বিতীয় দিনে এক-তৃতীয়াংশ স্টলই ফাঁকা
এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে সরকার ২০২২ সালের একুশে বইমেলার সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা ২০২২ শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ারি যোগ দিয়ে বাংলা একাডেমির অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২ উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বইমেলায়
এবারের মেলা বসছে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও এর পার্শ্ববর্তী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে জীবন উৎসর্গকারী আটজনের আত্মত্যাগের স্মরণে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বইমেলার আয়োজন করা হয়।
২ বছর আগে
একুশে বইমেলা- ২০২২ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইপ্রেমী ও প্রকাশকদের বার্ষিক অনুষ্ঠান অমর একুশে বইমেলা-২০২২ উদ্বোধন করেছেন।মঙ্গলবার বিকেলে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে দেশের সবচেয়ে বড় বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের মেলা বসছে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও এর পার্শ্ববর্তী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মেলা চলবে ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এর মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।
বইমেলা সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) এবং সরকারি ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১’ পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
তার পক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ১১টি ক্যাটাগরিতে ১৫ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্তকে তিন লাখ টাকার চেক, একটি ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়।
কবিতার জন্য আসাদ মান্নান ও বিমল গুহ, উপন্যাসের জন্য ঝর্ণা রহমান ও বিশ্বজিৎ চৌধুরী, প্রবন্ধ/গবেষণার জন্য হোসেনউদ্দিন হোসেন এবং অনুবাদের জন্য আমিনুর রহমান ও রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: ডিএমপি
২ বছর আগে
একুশে বইমেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: ডিএমপি
একুশে বইমেলাকে সামনে রেখে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বইমেলা হলো পহেলা বৈশাখের মতো একটা উৎসব এবং এই মেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ডিএমপির একটি বড় দায়িত্ব।’
রবিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলাকে কেন্দ্র করে নেয়া সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, এ বছর বইমেলা প্রাঙ্গণ, শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ ও নীলক্ষেত পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হবে এবং এসব এলাকায় প্রাথমিক তল্লাশি দল মোতায়েন করা হবে।
আরও পড়ুন: আপাতত বইমেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
বইমেলা প্রাঙ্গণে কোনো যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে না এবং ছয়টি প্রবেশপথ থাকবে।
তিনি বলেন, মেটাল ডিটেক্টর চেকিংয়ের পর সবাইকে গেট দিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে হবে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, বইমেলার প্রতিটি জায়গা সিসিটিভি নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে এবং নিয়মিত পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
তিনি বলেন, পুলিশ গাড়ি ও মোটরসাইকেলে করে টহল দেবে এবং সিটিটিসি, বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান ও ডগ স্কোয়াড যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক থাকবে।
মেলা প্রাঙ্গণে একটি মেডিকেল টিম ও দমকলকর্মী প্রস্তুত রাখা হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বইমেলা পরিদর্শন করবেন এবং সার্বিক নিরাপত্তা খতিয়ে দেখবেন।
তিনি বইমেলায় আসার সময় মানুষকে মাস্ক পরার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে বইমেলা শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ভ্রাম্যমাণ দল মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে অভিযান পরিচালনা করবে এবং যারা স্টলে থাকবে তাদের টিকা সনদও তারা পরীক্ষা করবে।
সম্ভাব্য কোনো নিরাপত্তা হুমকি আছে কি না- এমন প্রশ্নে ডিএমপি প্রধান বলেন, ‘ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় আদালতের দেয়া রায়ে জঙ্গিদের ক্ষুব্ধ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই আমরা এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছি।’
মঙ্গলবার একুশে বইমেলা শুরু হবে।
২ বছর আগে