শুক্রবার বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব বাল্যবিয়ে ব্ন্ধ করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আনিসুর রহমান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যার আগে সমেশপুর গ্রামে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী (১৩), সন্ধ্যায় বেলকুচি পৌর এলাকার সোহাগপুর গোহাটা মহল্লায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী (১৩), শোলাকুড়া গ্রামে নবম শ্রেণির ছাত্রী (১৪), ক্ষিদ্রগোপরেখী গ্রামে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী (১৭) এবং ধুকুরিয়া বেড়া গ্রামে দশম শ্রেণির ছাত্রীর (১৬) বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কনের অভিভাবকদের বিভিন্ন পরিমাণে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে কনের অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকাও নেয়া হয়।
এর আগে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আরও দুইবার এবং বেলকুচিতে ইউএনও হিসেবে আরও একবার এক রাতে সাত বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছিলেন আনিসুর রহমান।
সিরাজগঞ্জ সদর ও চৌহালী উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দায়িত্বে থাকার সময় দুই শতাধিক বাল্যবিয়ে বন্ধ করে রেকর্ড এবং সরকারিভাবে পুরস্কৃতও হয়েছেন ইউএনও মো. আনিসুর রহমান।