সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন হওয়া ১৬ জনের পরিচয় মিলেছে। পরিচয় শনাক্তের পর তাদেরকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র থেকে জানা যায়, প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে তারা ভারতে বসবাস করতেন। পুশ-ইন হওয়া ওই ১৬ জনের মধ্যে ১২ জনই নয়াদিল্লির একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। এ ছাড়া, একজন খাসিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে এবং অন্য আরেকজন সেখানে একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন।
পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার ডেপুয়ারপার গ্রামের আলী খান (২৪), একই থানার বাইজরা গ্রামের রহিম আলী (৩৫), আফসানা আক্তার (১৯), কুড়িগ্রাম জেলার কচাকাটা থানার বালারহাট গ্রামের জয়নাল মন্ডল ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫৫), একই জেলার ফুলবাড়িয়া থানার পূর্ব ধনিয়াম গ্রামের মো. জকুরুল (৬০) ও তার স্ত্রী লাইলী বেগম (৪৬), তাদের ছেলে মো. নয়ন (২৫), মো. মিলন (১৪), একই গ্রামের নুর ইসলাম (৩০), তার ছেলে মো. মমিন (৬), শরিফা বেগম (১৭), মরিয়ম বেগম (২৫), একই থানার আজ-অটোয়ারী গ্রামের মৃত জিতেশের ছেলে শ্রী মিলন (৩৪) ও তার স্ত্রী ফুলমতি (২২) এবং তাদের সন্তান শ্রী মিতুন (৪)।
আরও পড়ুন: বিএসএফের পুশ-ইন, সিলেট সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ১৬
এর আগে, বুধবার (১৪ মে) সকালে কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৬ জনকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। খবর পেয়ে সীমান্তবর্তী সুরমা বাজার থেকে তাদের আটক করে বিজিবি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়।
আটক ব্যক্তিরা জানান, প্রায় ১০ দিন আগে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী (সিআইডি) ইটভাটা সংলগ্ন কলোনিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। পরে কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করে বিএসএফ।
কানাইঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সায়েম জানান, আটকদের থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। এখন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।