ধর্মঘটে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোও সমর্থন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে অটোরিকশা ধর্মঘট প্রত্যাহার
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তৃতীয় দিনের মতো সিলেট থেকে কোনো ধরনের দূরপাল্লার বাস দেশের কোথাও ছেড়ে যায়নি, সব ধরনের ট্রাক চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
সকাল থেকে শ্রমিকদেরকে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে লাঠি-সোটা নিয়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে। শুক্রবার ভোর ৬টায় তাদের ৭২ ঘণ্টার এ কর্মসূচি শেষ হবে। এদিকে, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: সিলেটে চলমান ধর্মঘটে বিপাকে সাধারণ মানুষ
প্রসঙ্গত, বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে তিন দিনের ধর্মঘট শুরু করে ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ, বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও পাথর ব্যবসায়ী মালিক ঐক্য পরিষদ।
আরও পড়ুন: সিলেটে তেল ও গ্যাস পাম্পে ধর্মঘটের ডাক
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছনাকান্দি ও লোভাছড়া—এই পাঁচ কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের দায়ের করা একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে সব ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটের ২য় দিন চলছে, ভোগান্তি চরমে
সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আন্দোলন করে আসছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। পরে আন্দোলনে তাদের সাথে পরিবহন ব্যবসায়ীরা যুক্ত হন। একাধিক বিক্ষোভ-সমাবেশ করার পর মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা ৭২ ঘণ্টার পরিবহণ ধর্মঘট ডাকা হয়।
অপরদিকে, বুধবার রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সাথে বৈঠকে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিলেটের সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালাচ্ছে সিলেট জেলা সিএনজি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালকরা
সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানান, ট্রাফিক বিভাগ সিএনজি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা চলমান ধর্মঘট থেকে সরে এসেছেন।