শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বরায়া চাঁনপুর এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন প্রাইভেটকারের চালক মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ এলাকার হাশেম এবং যাত্রী সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের স্বপন কুমার দাস, তার স্ত্রী লাভলী রানী দাস এবং তাদের ৮ বছর বয়সী জমজ সন্তান সাজ ও সাজন। তারা শ্রীমঙ্গল থেকে সুনামগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্বপনের আরেক সন্তান সৌরভ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মরদেহগুলো উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর পরই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া কারটি কেটে মরদেহ বের করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রীমঙ্গল থেকে ছেড়ে আসা প্রাইভেটকারটির সাথে সিলেট থেকে কুমিল্লাগামী কুমিল্লা ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সিলেট হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মায়নুল ইসলাম বলেন, ‘বাস ও কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। তাদের মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। তারা সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী ছিলেন।’