পরিবেশ সুরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় অবৈধ স্টোন ক্রাশিং (পাথর ভাঙার) মেশিন উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।
অভিযানের প্রথমদিন মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুলে অবৈধভাবে পরিচালিত ৩০টি স্টোন ক্রাশিং মেশিন উচ্ছেদ করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ বলেন, ‘অভিযানের সময় অবৈধ ৩০টি স্টোন ক্রাশিং মেশিন উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকি মেশিনগুলো ব্যবসায়ীরা সরিয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে না সরালে আমরা ফের অভিযান পরিচালনা করব।’
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘যারা জায়গা ভাড়া দিয়ে অবৈধ স্টোন ক্রাশিং মেশিন স্থাপনে সহযোগিতা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা কাজ করতে চাই, তবে অনেক সময় মাববিক বিষয়ও সামনে আসে। এজন্য ব্যবসায়ীদের বাকি মিলগুলো সরিয়ে নিতে দুদিন সময় দেওয়া হয়েছে।’
জানা গেছে, সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ধোপাগুল এলাকায় স্থাপিত স্টোন ক্রাশিং মেশিনের কারণে ওই এলাকার পরিবেশে বিপর্যয় নেমে এসেছে এবং জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
এছাড়া, এর পাশেই সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। এ এলাকায় স্থাপিত অধিকাংশ স্টোন ক্রাশিং মেশিনের কোনো লাইসেন্স ও পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। স্টোন ক্রাশিং মেশিন স্থাপন নীতিমালা, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩) অনুসরণ না করেই অবৈধভাবে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিদর্শক মামুনুর রশীদ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগণ, উত্তরগাছ ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সিলেট জেলার অবৈধ স্টোন ক্রাশিং মেশিন অপসারণে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।