এ হাটটি চালু হলে এটি হবে সিলেটের তৃতীয় ‘সীমান্ত হাট’। এছাড়াও সিলেটে আরো দুটি সীমান্ত হাট স্থাপনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিয়ানীবাজার সীমান্ত হাট নিয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর মুড়িয়া এলাকায় সীমান্ত পিলার মেইন পিলারের (১৩৬৩-১৩৬৪) মধ্যবর্তী নো-ম্যানস ল্যান্ডে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়।
ওই সভায় বাংলাদেশের দলে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল কালামের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি এবং ভারত থেকে করিমগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, সীমান্ত হাটে কাপড়, সাবান, মসলা, বাচ্চাদের ব্যবহারের জিনিসপত্র, গৃহস্থালি নানা সামগ্রী, তেল, ঘি, মশার কয়েল, প্লাস্টিক জাতীয় টেবিল-চেয়ার, সিরামিকস, কসমেটিকস সামগ্রী বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘সীমান্ত হাট’ স্থাপনের জন্য বিয়ানীবাজারের মুড়িয়ায় নো-ম্যানস ল্যান্ডে এক একর ১৭ শতক জমি চিহ্নিত করা হয়েছে।’
‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে উভয় দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় সিলেট জেলার তৃতীয় ‘সীমান্ত হাট’ চালু করা হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘বিয়ানীবাজার সীমান্তে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে সীমান্ত বাজার স্থাপনের লক্ষ্যে প্রশাসনিক পর্যায়ে বৈঠকে সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন আমাদের পক্ষ থেকে সীমান্ত হাটের যাবতীয় ফাইল চূড়ান্তভাবে বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’
প্রসঙ্গত, সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে এবং কানাইঘাট উপজেলার সনাতনপুঞ্জি এলাকায় আরো দুটি ‘সীমান্ত হাট’ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী বছর শুরুর দিকে এ দুটি ‘সীমান্ত হাট’ চালুর কথা রয়েছে।
মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বোচ্চ ৫০ জন করে মোট ১০০ জন ব্যবসায়ী সীমান্ত হাটে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। হাটকে ঘিরে পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
‘সপ্তাহের রবি ও বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে সীমান্ত হাটের কার্যক্রম,’ যোগ করেন তিনি।