তাদের বহনকারী তিনটি জাহাজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে টেকনাফ দমদমিয়া জেটি ঘাটে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
ইউএনও জানান, সেন্টমার্টিনে গত শুক্রবার থেকে প্রায় ১২০০ পর্যটক আটকাপড়ে। তিনটি জাহাজে করে প্রায় ৯৫০ পর্যটককে সন্ধ্যায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাকিরা নিজেদের উদ্যোগে কাঠের বোট ও স্পিড বোট নিয়ে সকালে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ চলে আসে।
এদিকে পর্যটকরা টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাটে পৌঁছার পর টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে পর্যটকদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। ইউএনও তাদের সাথে কুশল বিনিময় করে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, সেন্টমার্টিন থেকে ফিরিয়ে আনা পর্যটকদের জন্য টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাটে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারমুখী ১৮টি বাস আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যে এসব বাসে করে পর্যটকেরা সবাই যার যার গন্তব্যে রওয়ানা দিয়েছেন। এ ছাড়া পর্যটকেরা অনেকেই তাদের নিজস্ব গাড়ি করে চলে গেছেন।
পর্যটকদের অভ্যর্থনা জানানোর সময় অন্যান্যের মধ্যে টেকনাফের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবুল মনসুর, উপজেলা নির্বাচন অফিসার বেদারুল ইসলাম, একাডেমিক সুপারভাইজার নুরুল আবছার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এমদাদ হোসেন, উপজেলা মৎস্য অফিসার দেলোয়ার হোসেন, টুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা মো. আনোয়ার, সার্ভেয়ার দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সিগন্যাল দেয়ায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সেন্টমার্টিন-টেকনাফ সমুদ্র পথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়।
ফলে শুক্রবার ফেরার জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপে থাকা প্রায় ১২০০ পর্যটক গত ৪ দিন ধরে সেখানে আটকা পড়ে। সোমবার আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে সেন্টমার্টিনে আটকাপড়া পর্যটকদের টেকনাফ নিয়ে আসতে প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনটি জাহাজকে সেন্টমার্টিনে পাঠানো হয়।