তিনি বলেন, ‘পর্যটন প্রতিযোগিতার বাজার, যে যত বেশি সেবা দেবে, তার দিকেই ঝুঁকবে পর্যটক। সেবার মান নিশ্চিত করতে পারলে পর্যটন বিকশিত হবে। আগে হয়নি বলে বর্তমানে হবে না এটি কোনো কথা নয়। ইচ্ছা, উদ্যম ও পরিশ্রম থাকলে সব কিছু অর্জন করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা এবং কর্মে এ দেশ আজ সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং, আমরা যদি পরিশ্রম করি, উদ্যমী হই তাহলে পর্যটনে অবশ্যই দৃশ্যমান পরিবর্তন আনা সম্ভব।’
রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও ভ্রমণ ম্যাগাজিনের যৌথ আয়োজনে ‘বাংলাদেশের পর্যটন: সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী বছরকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করতে কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি প্রাপ্তির পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। তার নেতৃত্বে পর্যটনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এত দিন নানা কারণে দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এখন পর্যটন শিল্পের বিকাশ নিশ্চিত করা হবে। সকল স্টেকহোল্ডারদের সুপারিশ শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, ছোট কাটরা, জাতীয় সংসদ ভবনসহ সকল ঐতিহাসিক ও পুরাতাত্ত্বিক স্থাপনা ব্র্যান্ডিং করব।’
‘এ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। দেশের প্রতিটি জায়গায় পর্যটকরা এখন নিরাপদে বিচরণ করতে পারছেন। টুরিস্ট পুলিশ গঠন করায় দেশের প্রতিটি পর্যটন আকর্ষণে পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। পর্যটক আসলে ঘুরতে বের হতে পারবেন না, এমন পরিস্থিতি আর নেই,’ যোগ করেন তিনি।
মাহবুব আলী বলেন, ‘পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমাদের সম্ভাবনা ও ঘাটতির জায়গাগুলো তারা চিহ্নিত করবেন। তারা আমাদের পরামর্শ দেবেন পর্যটন উন্নয়নের জন্য, আমরা সেটা দ্রুত বাস্তবায়ন করব। আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করতে সুযোগ সুবিধা দিতে হবে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। শ্রদ্ধাবোধ ও সহনশীলতা ছাড়া পর্যটনের বিকাশ সম্ভব নয়। পর্যটন বিকাশের জন্য আমাদের জাতি হিসেবে পর্যটনবান্ধব হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া পর্যটন করপোরেশনকে অবশ্যই পর্যটনের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে ও উদ্যমী হতে হবে। গতানুগতিক কাজের মাধ্যমে পর্যটনের সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। আমরা পর্যটনের দৃশ্যমান উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি।’