তিনি গত সপ্তাহে মৌলভীবাজার থেকে সাড়ে ১৬ লাখ টাকায় কেনা হাতি নিয়ে ২০ হাজার টাকায় ভাড়া করা ট্রাকে করে বাড়ি ফেরেন। সেই সাথে প্রাণীটির দেখাশুনা করতে এক মাহুতকে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতনে মৌলভীবাজার থেকে নিয়ে এসেছেন।
এর আগে তুলসী রানি একইভাবে দৈব নির্দেশ পালনে স্বামীকে দিয়ে ঘোড়া, রাজহাঁস ও ছাগল ক্রয় করিয়েছিলেন।
এলাকার ভবেশ্বর রায় বলেন, ‘অনেক দিন ধরে শুনছিলাম দুলাল চন্দ্র হাতি কিনবেন। অবশেষে জমি বিক্রি করে তিনি স্ত্রীর কথামতো হাতি কিনে এনেছেন। সেই হাতি দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে শত শত মানুষ বাড়িতে ভিড় করছেন।’
রাজারহাট এলাকার সান্ত্বনা রানি বলেন, ‘জীবনে অনেকবার হাতি দেখেছি। তবে স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে এ যুগে কেউ হাতি কিনেছেন সেটা শুনে দেখতে এসেছি।’
হাতির মাহুত ইব্রাহীম মিয়া জানান, থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা মালিকের করার পাশাপাশি প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা মজুরিতে তিনি নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি মাহুত বানাতে স্থানীয় দুজনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তারা প্রশিক্ষিত হলে তাদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে তিনি চলে যাবেন।
দুলাল চন্দ্র বলেন, ‘স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে জমি বিক্রি করে সাড়ে ১৬ লাখ টাকায় হাতিটি কিনেছি। হাতিটির দেখভাল করতে মৌলভীবাজার থেকে মাহুত নিয়ে এসেছি, যাতে পরিচর্যায় কোনো সমস্যা না হয়। আপাতত হাতির পেছনে মাহুতের মজুরি এবং কলাগাছের জন্য দৈনিক ১০০-১৫০ টাকা খরচ হচ্ছে। এর আগেও স্ত্রী ঘোড়া ও রাজহাঁস কিনতে বলায় সেটাও কিনে দিয়েছি। স্ত্রীকে খুশি করতেই হাতিটি কিনেছি।’