কুমিল্লার দেবিদ্বারে যৌতুকের দাবিতে স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ সাদিয়া আট দিন চিকিৎসার পর মারা গেছেন। শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউতে) তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মৃত গৃহবধূ সাদিয়া একই উপজেলার পদ্মকোট গ্রামের মো. অপুল সরকারের মেয়ে ও আসাদ সরকারের স্ত্রী।
গ্রেপ্তার অভিযুক্ত স্বামী আসাদ সরকার গুনাইঘর গ্রামের নুরু সরকারের ছেলে।
আরও পড়ুন: রামপুরায় গোডাউনে আগুন, দগ্ধ ৪ জনের মৃত্যু
দেবিদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শুনিছে সাদিয়া মারা গেছে। এই ঘটনা আগের মামলার সঙ্গে পরিবার আরেকটি হত্যা মামলা যোগ করতে পারবে।
ওসি বলেন, বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বামী আসাদ সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তিনি এখন পর্যন্ত ঘটনার বিষয়ে মুখ খুলেনি। আমরা তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মৃত সাদিয়ার ভাই খাইরুল বলেন, ডাক্তারা আপ্রাণ চেষ্টা করেও আমার বোনকে বাঁচাতে পারেনি। সে মৃত্যুর আগের ভিডিও বার্তায় তার স্বামীকে অভিযুক্ত করেছে। ঘটনার একদিন পর হাসপাতাল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাদিয়া ভিডিও বার্তায় বলেছিল, ‘টাকা না দেয়ায় কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় আমার স্বামী। আমি আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আমাকে বাধা দেয়া হয়।’
আরও পড়ুন: রামপুরায় গোডাউনে আগুন, দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
খায়রুল বলেন, আশা করি গ্রেপ্তার আসামিকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। বর্তমানে সাদিয়ার লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ এপ্রিল (শনিবার) উপজেলা সদরের বানিয়াপাড়ার ভাড়া বাসায় সাদিয়াকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠে স্বামী আসাদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার দুদিন পর ২৫ এপ্রিল (সোমবার) সাদিয়ার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে বুধবার রাতে আসাদ সরকারকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।