স্বামী
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. জামাল নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. বেগম জেবুন্নেছা এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মো. জামাল কুমিল্লার মুরাদনগর থানার মুসাগারা এলাকার মৃত জোনাব আলীর ছেলে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আব্দুর রশীদ বলেন, ‘মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর ভিত্তিতে স্ত্রী পারভিন আক্তারকে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় জামালকে মৃত্যুদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।’
২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি পারভীন আক্তারের বোন বেবি আক্তার বাদী হয়ে জামালকে আসামি করে বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে বিচার শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও আসামি পক্ষে একজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
বগুড়ায় কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদি রাতেই গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে মাদকাসক্ত স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
জেলার আনোয়ারা উপজেলা ইমা দেবী (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে মাদকাসক্ত স্বামী গলা টিপে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় স্বামী সজল চক্রবর্তীকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটের গোয়াইনঘাটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
সোমবার (১ জুলাই) উপজেলার বারশত ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাদল চৌধুরীর বাড়িতে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত নারী ইমা দেবী চট্টগ্রাম নগরীর একটি গার্মেন্টস শ্রমিক।
ইমা দেবীর স্বামী সজল চক্রবর্তী বাঁশখালী গুনাগরী এলাকার শিবু চক্রবর্তীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন কাটমিস্ত্রি।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, সজল চক্রবর্তী মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ঢুকে স্ত্রী ইমা দেবীকে গলা টিপে হত্যা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ঘাতক স্বামীকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের দাম নাগালে রাখতে সাপ্লাই-চেইন স্থিতিশীল রাখুন: এফবিসিসিআই
নাটোরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ
স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী গ্রেপ্তার, শিশু কন্যা উদ্ধার
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আসমত আলী নামে এক ব্যক্তিকে।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নাটোর র্যাবের সদস্যরা শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলার রামারচর থেকে আসমতকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ
উদ্ধার করা হয় শিশু আসমানিকে।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি নান্নু খান বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে আসমত তার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করে। পরে মেয়ে আসমানিকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। আসমত আলীর ভাতিজা আনোয়ার বাড়িতে মেঝেতে লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভাই কুরবান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তবে ঘটনা জানার পরই ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব।
নাটোর র্যাব কমান্ডার এএসপি রায়হানুল ইসলাম বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে আসমত আলীর অবস্থান শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে র্যাব সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ২৬৮৮০ ক্যান বিয়ার জব্দ, ৩ যুবক গ্রেপ্তার
মেহেরপুরে ১০০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইসহ গ্রেপ্তার ৩
নাটোরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী আসমত আলীর বিরুদ্ধে স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে (৩৫) গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বাগাতিপাড়া উপজেলার হাঁপানিয়া গ্রামে শুক্রবার এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে
নিহত সুফিয়া বেগম উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের আসমত আলীর স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে আসমত তার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করে। পরে মেয়ে আসমানিকে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। আসমত আলীর ভাতিজা আনোয়ার বাড়িতে মেঝেতে লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নান্নু খান বলেন, লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ. লীগ নেতাসহ ২ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭ আসামিই গ্রেপ্তার: ডিবিপ্রধান
কক্সবাজারে পাহাড়ধসে অন্তঃসত্তা স্ত্রীসহ স্বামীর মৃত্যু
কক্সবাজারের সদর উপজেলায় পাহাড়ধসে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২০ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার পুলিশ লাইন বাদশা ঘোনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পাহাড়ধসে নিহতরা হলেন, পুলিশ লাইন বাদশা ঘোনা এলাকার কেন্দ্রীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী মাইমুনা আক্তার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ঝিলংঝা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসে ৯ জনের মৃত্যু, উদ্ধার চলছে
টিপু সুলতান বলেন,টানা কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। রাত ৩টার দিকেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এসময় বাদশা ঘোনা এলাকায় পাহাড়ধসে একটি বসতঘরের ওপর পড়ে। এ সময় ঘুমন্ত অবস্থায় মাটি চাপা পড়ে ওই দম্পতি মারা যান। স্থানীয় লোকজন মাটি সরিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে। পাহাড় ধসের সময় বসতঘরটিতে ওই স্বামী-স্ত্রী ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। এর মধ্যে স্ত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডাক্তার আশিকুর রহমান বলেন, পাহাড়ধসে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে মৃত্যু হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুজ্জামান বলেন, কক্সবাজার শহরে বাদশা ঘোনা এলাকায় পাহাড়ধসে ঘুমন্ত স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে হোটেলের সুইমিংপুলে ডুবে শিশু পর্যটকের মৃত্যু
মেঘনায় গোসলে নেমে স্ত্রীর সামনে ডুবে গেলেন স্বামী
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে গোসলে নেমে স্ত্রী মনিরা বেগমের চোখের সামনে তীব্র স্রোতে ভেসে গেলেন স্বামী জহিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে চাঁদপুর শহরের টিলাবাড়ি লঞ্চঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জহিরুল (৩৫) বরিশালের মৃত মনসুর বেপারীর ছেলে। এই দম্পতি দুই সন্তান নিয়ে লঞ্চঘাটের পাশে টিলাবাড়ি মেঘনাপাড়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। জহিরুল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন আবার কখনো কখনো লঞ্চঘাটে হকারিও করতেন।
আরও পড়ুন: বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
এদিকে খবর পেয়ে বিআইডাব্লিউটিএ-র লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ডুবুরিদল নিখোঁজ জহিরুলের সন্ধানে অভিযান শুরু করে। কিন্তু তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ জহিরের ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তার স্ত্রী মনিরা বেগমসহ গোসল করতে নেমে আর উঠেনি। আমরা ধারণা করছি, নদীর তীব্র স্রোতের কারণে সে ডুবে গেছে।
চাঁদপুর নৌ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ইনচার্জ মোসলেম মিয়াজি ইউএনবিকে জানান, দুপুর পর্যন্ত জহিরের সন্ধান করেও পাওয়া যায়নি। তবুও উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। কিন্তু নদীর তীব্র স্রোতে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ইউএনবিকে জানান, ঘটনা জানতে পেরে নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে নৌ-পুলিশও কাজ করছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়ে সোয়া ৮ লাখ
বগুড়ায় স্বামী হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
বগুড়ায় আশিক হত্যা মামলায় স্ত্রী মিনা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং মিনার প্রেমিকসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মঙ্গলবার (০৪ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার কুটিবাড়ী এলাকার ছফু খাঁর ছেলে শিবলু ওরফে ফকির, রামনগর এলাকার সিরাজুল ইসলাম তরফদারের ছেলে শান্ত মিয়া ওরফে সিয়াম এবং আমতলী এলাকার তরিকুল মণ্ডলের ছেলে নাইম মণ্ডল।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামি হলেন, আশিকের স্ত্রী মিনা বেগম
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, মিনার সঙ্গে শিবলু ফকিরের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এর জেরে মিনা তার প্রেমিক শিবলু ফকিরের সঙ্গে পরামর্শ করে আশিককে হত্যা করে। পরে উপজেলার ছাগলধরা গ্রামে বাঙালি নদীতে তার মুখ ঝলসানো লাশ পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভাই আনিস উদ্দিন রাতেই সারিয়াকান্দি থানায় মিনা বেগমসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
পরে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
আশুলিয়ায় স্বামী ও স্ত্রীসহ ৪ জনের লাশ উদ্ধার
সাভার আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে স্বামী ও স্ত্রীসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২০ মে) সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইউসুফ মার্কেট, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ও আশুলিয়া ইউনিয়ন থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন-পটুয়াখালী জেলা সদরের কুড়ি পাইকা গ্রামের মৃত হাকিম আলী হাওলাদারের ছেলে রুহুল আমিন, তার স্ত্রী বরগুনা জেলার আমতলী থানার দক্ষিণ আওগাঁ গ্রামের মো. সোবাহান মৃধার মেয়ে মোছা. মনি বেগম, নাটোর জেলা সদর থানার পিরজিপাড়া গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে নাজমুল হাসান।
আরও পড়ুন: নাটোরে আদিবাসী স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
অপর একজন পটুয়াখালী সদরের বড় অলিপুর গ্রামের মোতালেব সরকারের মেয়ে নাসরিন বেগম। তিনি স্বামী রাসেল আহমেদের সঙ্গে আশুলিয়ার কুমকুমারিতে বসবাস করতেন। নাজমুল হাসান আলিফ পরিবহনের চালক হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইউসুফ মার্কেট এলাকার ফজলুল করিমের বাড়ি থেকে সোমবার বিকাল ৪টার দিকে রুহুল আমিন ও তার স্ত্রী মনি আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে স্বামী।
এদিকে একই ইউনিয়নের ইউনিক বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে নাজমুল হোসের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনিও পারিবারিক কলেহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
এছাড়া আশুলিয়া ইউনিয়নের আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকা থেকে অপর একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, সোমবার আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে পুকুর থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত: ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লাশ উদ্ধার
নরসিংদীতে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
নরসিংদী সদর উপজেলায় শিলা বেগম নামে এক নারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ইসতিয়াক হোসেনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার(১৪ মে) দিবগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের সাহেপ্রতাব গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: বিয়ে না দেওয়ায় মাকে খুনের ঘটনায় ছেলে গ্রেপ্তার
নিহত শিলা বেগম সাহেপ্রতাব গ্রামের আব্দুল কাদির মৃধার মেয়ে।
নিহত শিলা বেগমের বড় ভাই মো. কাইয়ুম মৃধা বলেন, শিলা বেগমের বাবা মারা যাবার আগে শিলার ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআর এবং দুইটি তিনতলা বাড়ি লিখে দিয়ে যান। শিলার স্বামী ও তার শশুর শহীদুল্লাহ মুন্সি এফডিআর থেকে টাকা তুলে দেওয়ার জন্য শিলা বেগমের উপর চাপ সৃষ্টি করে। শিলা বেগম এতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামী ও তার শশুর মিলে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকলে ঘটনাস্থলেই শিলা বেগমের মৃত্যু হয়।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবক খুন, চাচাতো ভাইসহ আটক ৪
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং নেতা খুন
স্বামীর অপকর্মের দায় স্ত্রী এড়াতে পারেন না: ডিবি প্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদার স্বামীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন এবং তিনি কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না।
রবিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবি প্রধান জানান, মিল্টনের স্ত্রীর দাবি ফাউন্ডেশনের জন্য সংগৃহীত অর্থ ও ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, মিল্টন তথাকথিত মানবতার সেবার নামে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি প্রবীণদের কোনো সেবা দেননি বা চিকিৎসার জন্য কোনো চিকিৎসকের কাছেও পাঠাননি।’
আরও পড়ুন: আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী
মিল্টনের স্ত্রী নিজেকে ফাউন্ডেশনের নার্স পরিচয় দিয়েছেন জানিয়ে ডিবি প্রধান বলেন, ‘তিনি কেন প্রতিবাদ করেননি বা পুলিশকে জানাননি। মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মনে হয়েছে, তিনি এর দায় এড়াতে পারছেন না।’
শেল্টার হোমে বৃদ্ধদের ওপর মিল্টনের নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে মিঠু ডিবিকে বলেন, এটা ঠিক হয়নি।
মিল্টনের ব্যাংক হিসাবের ২ কোটি টাকার উৎস সম্পর্কে জানেন কি না- জিজ্ঞেস করলে মিঠু বলেন, তিনি সরকারি চাকরিজীবী হওয়ায় তার স্বামী তাকে এ কাজে যুক্ত করেননি।
মিল্টনের বিরুদ্ধে ৯০০ মানুষকে কবর দেওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে মিল্টনের স্ত্রী বলেন, সঠিক সংখ্যা ১৩৫। মানুষের সহানুভূতি বা অর্থ পাওয়ার জন্য তিনি সংখ্যা বাড়াতেন কিন্তু মৃত্যু সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র রাখতেন না।
চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে থাকা ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর মিল্টন কোনো হাসপাতাল, থানা বা নিহতের স্বজনদের কিছু জানাতেন না বলে জানান ডিবি প্রধান।
তিনি আরও জানান, মিল্টনকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতির মামলায় মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
পরে শনিবার মিল্টনের স্ত্রী মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়।
আরও পড়ুন: এবার মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ ডিবির
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশে সহযোগিতা বাড়াবে এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী