স্বামী
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণ: স্ত্রী-সন্তানের পর চলে গেলেন স্বামীও
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের পাইপে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় মা ও মেয়ের পর এবার মারা গেলেন বাবা সোহাগ। এ নিয়ে এ ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ মোট চারজনের মৃত্যু হলো।
সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মারা যান সোহাগ (পোশাক শ্রমিক)।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘সোহাগের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।’
এর আগে রবিবার তার স্ত্রী পোশাকশ্রমিক রূপালী ও শনিবার দেড় বছরের শিশু সুমাইয়া একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তারা যথাক্রমে ৩৪ ও ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বর্ষবরণের কনসার্টে যুবক খুন, আহত ৩
ডা. শাওন বলেন, ‘এ ঘটনায় রিকশাচালক মো. হান্নান শনিবার ৪৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় মারা যান। এছাড়া হান্নানের স্ত্রী পোশাকশ্রমিক নূরজাহান আক্তার লাকি, তাদের সন্তান জান্নাত, সামিয়া ও সাব্বির এখনও বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন।’
গত ৩ মার্চ ভোরে লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে জমা গ্যাস বিস্ফোরণের পর আগুনে দুটি পরিবারের আট সদস্য দগ্ধ হন।
৪ দিন আগে
মেহেদির রং শুকানোর আগেই নববধূর মৃত্যু, স্বামী আটক
মেহেদির রং শুকানোর আগেই শ্বশুরবাড়ি থেকে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিয়ের মাত্র চারদিনের মাথায় তানিয়া আক্তার নামে ওই নববধূর মৃত্যু হয়।
রবিবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের দক্ষিণ হযরতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হত্যাকারী সন্দেহে অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১১ মার্চ) তাকে আদালতে তোলা হবে।
ভুক্তভোগী তানিয়া আক্তার (১৮) পার্বতীপুরের কুড়িয়াইল গ্রামের আবু তালেবের মেয়ে। আটক স্বামী আব্দুর রহিম চিরিরবন্দরের দক্ষিণ হযরতপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিকভাবে গত বৃহস্পতিবার রাতে তানিয়ার সঙ্গে আব্দুর রহিমের বিয়ে হয়। শনিবার রাতে বাবার বাড়িতে ফিরে যান তানিয়া। পরদিন রবিবার স্ত্রীকে আবার নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন আব্দুর রহিমের স্বজনরা। পরে রাত ৩টার দিকে তানিয়ার পরিবারের কাছে তার মৃত্যুর খবর পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই বন্দির মৃত্যু
এদিকে তানিয়ার পরিবারের দাবি, তাকে গলা টিপে হত্যা করেছে তারই স্বামী।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওদুদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শারীরিক চাহিদা পূরণের জের ধরে রাগের বশে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।’
৫ দিন আগে
ঝগড়া করায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
যশোর চৌগাছায় ঝগড়া করায় রোকসোনা খাতুন নামে এক নারীকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী সিজার ওরফে রাকিবের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১০ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার নারায়নপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, রাকিবের সঙ্গে ১০ থেকে ১২ বছর আগে পেটভরা গ্রামের নাজমা খাতুনের বিয়ে হয়। সেই ঘরে একটি ছেলে সন্তান আছে। কিন্তু বিয়ের ৭ থেকে ৮ বছর পর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলে স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে আসে। বর্তমানে নাজমা খাতুন ঢাকায় থাকেন।
প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্বের কারণে রাকিব কয়েক বছর আগে উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের রোকসানাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কিছুদিন তাদের সংসার ভালো চললেও পরবর্তীতে প্রথম পক্ষের স্ত্রী-সন্তান নিয়ে রেকসোনার সঙ্গে মাঝেমধ্যে ঝগড়াঝাটি ও কথাকাটাকাটি হতো। এতে পরিবারে দেখা দেয় অশান্তি। এর জেরে সোমবার সকালে স্বামীর সঙ্গে রোকসানার ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায় দুজনের মধ্যে কথাকাটির জেরে স্বামী বাঁশ দিয়ে স্ত্রীকে মারধর করতে থাকে। বাঁশের আঘাতে স্ত্রী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ও ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই রোকসানার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখতে সিএমএইচে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পরে পুলিশে খবর দিলে তারা নিহতের লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। অভিযুক্ত স্বামী সিজার ওরফে রাকিব পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নারায়নপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমান শাহীন বলেন, ‘যতদূর জেনেছি, পারিবারিক ঝামেলার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।’
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন। তবে তাকে দ্রুত আটকের চেষ্টা চলছে।’
৬ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রী-শ্যালিকাকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে সামিউল ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রবিবার(২ মার্চ) দিবাগত রাতে জেলার কসবায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামের মৃত রওশন আলীর মেয়ে যুথি আক্তার (২২) ও তার ছোট বোন স্মৃতি আক্তার (১২)।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সামিউল ইসলামের সঙ্গে দেড় বছর আগে বিয়ে হয় যুথি আক্তারের। স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন যুথি আক্তার। যুথি আক্তারের বাবা রওশন আলী বেঁচে নেই। তাদের মা মামলার কারণে জেল হাজতে রয়েছেন। বাড়িতে থাকেন যুথি আক্তারের ছোট বোন স্মৃতি আক্তার ছোট ভাই জাহিদ হোসেন। যুথি এক মাস আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এর মাঝে সামিউল স্ত্রী যুথিকে ফিরে যেতে বলে। কিন্তু যুথি যেতে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। পরে গত সপ্তাহে সামিউল তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান।
রবিবার রাতে খাবার শেষে যুথি আক্তার ও তার ছোট বোন স্মৃতি আক্তার ঘরের একটি কক্ষে এবং আমির হোসেন ও তার শ্যালক জাহিদ হোসেন অন্য কক্ষে ঘুমিয়েছিল।
রবিবার গভীর রাতে জাহিদ ঘুম থেকে জেগে তার দুলাভাইকে দেখতে পায়নি। ঘরের দরজা খোলা রয়েছে। পাশের কক্ষে তার দুই বোন অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ সময় জাহিদ চিৎকার করতে থাকলে বাড়ির আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে যুথি ও স্মৃতির লাশ দেখতে পায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ভাতিজার হাতে চাচা খুনের অভিযোগ
সোমবার (৩ মার্চ) সকালে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের, পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশসহ কসবা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের ছোট ভাই জাহিদ হোসেন বলেন, দুলাভাই আমার সঙ্গে ঘুমিয়েছিল। গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে দেখি তিনি নেই। ঘরের দরজা খোলা। আমার দুই বোন মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আমি আমার বোনদের খুনের বিচার চাই।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, তাদেরকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করা হয়েছে। কি কারণে খুন করা হয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
তিনি ধারণা করছেন তাৎক্ষণিক কোনো দ্বন্দ্বের কারণে হয়তো তাদের খুন করা হয়েছে।
নিহত দুইজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালমর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পঞ্চম বিয়ে করায় চতুর্থ স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন!
১৩ দিন আগে
চট্টগ্রামে পঞ্চম বিয়ে করায় চতুর্থ স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন!
চট্টগ্রামে পঞ্চম বিয়ে করায় স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চতুর্থ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে হালিশহরের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৬ নম্বর লেইনের জোড়া খাম্বার পাশে মর্জিনার মায়ের কলোনির দ্বিতীয় তলার ৬ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আলাউদ্দিন নোয়াখালীর সুধারাম থানার ধর্মপুর ইউনিয়নের পূর্ব শোলকিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় শ্রমিক ছিলেন। বর্তমানে বসুন্ধরায় বসবাস করতেন।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ নিহত আলাউদ্দিন কিছুদিন আগে নুর জাহানকে চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। তবে তাকে না জানিয়েই সম্প্রতি পঞ্চম বিয়ে করেন তিনি। যা নিয়ে আলাউদ্দিন ও চতুর্থ স্ত্রী নুর জাহানের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। এর একপর্যায়ে আলাউদ্দিন নুর জাহানকে তালাক দেওয়ার হুমকি দিলে এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নুর জাহান পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনার দিন রাতে ঝগড়ার পর আলাউদ্দিন ঘুমিয়ে পড়লে দিবাহত রাতে নুর জাহান ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ভাতিজার হাতে চাচা খুনের অভিযোগ
‘পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলাউদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধারসহ নুর জাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২১ দিন আগে
স্বামীকে হত্যার ১৪ বছর পর স্ত্রী-প্রেমিকের আমৃত্যু কারাদণ্ড
ময়মনসিংহে স্বামী হেলাল উদ্দিনকে হত্যার দায়ে স্ত্রী হাফিজা খাতুন ও তার কথিত প্রেমিক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও দুজনকে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলী মুনসুর এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিবরণে জানা যায়, ১৪ বছর আগে মুক্তাগাছার ভাবকী গ্রামের হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় নন্দীবাড়ি গ্রামের হাফিজা খাতুনের। বিয়ের কয়েক বছর পর হেলাল দুবাই চলে যান। এরপরই আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে একজনের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন হাফিসা।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ-হত্যার দায়ে কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ
পরে ২০১১ সালে হাফিজার স্বামী হেলাল দুবাই থেকে দেশে ফিরে এসে স্ত্রীর কাছে পাঠানো টাকার হিসাব চায়। এতে স্ত্রী হাফিজা ক্ষিপ্ত হয় ও টাকা পয়সা হিসাব না দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ঐ বছরের ২৮ জুন রাতে নিজ বাড়িতে খুন হয় হেলাল। এ ঘটনায় হেলালের বোন সাফিয়া আক্তার ৩ জনকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন।
এদিকে হাফিজা খাতুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন পলাতক রয়েছে। মামলার আরেক আসামি আরমান মামলা চলাকালীন সময়ে মারা যাওয়ার তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
৩৪ দিন আগে
নরসিংদীতে স্ত্রীর শাবলের আঘাতে স্বামী নিহত
নরসিংদীর রায়পুরায় স্ত্রীর শাবলের আঘাতে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষমারায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আবুল কাসেম একই এলাকার মৃত বারেক মিয়ার ছেলে এবং নরসিংদীর রায়পুরায় বাসিন্দা তার স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা রুমা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পারিবারিক কাজের বিষয়ে পাপিয়ার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার স্বামীর। এর একপর্যায়ে স্ত্রী তার স্বামীর মাথায় শাবল দিয়ে একাধিক আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ঘাতক স্ত্রীর ভাষ্যমতে, তিনি তার স্বামীর মাথায় শাবল দিয়ে একাধিক আঘাত করেন, অতপর স্বামী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ঘটনাস্থলে এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিউল্লাহ বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়া চলছে।’
৩৪ দিন আগে
চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুরে হাজীগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী মহিন উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ অক্টোবর) চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান এই রায় দেন।
মরিয়ম বেগম (২৫) হাজীগঞ্জের মোল্লাডহর মিজি বাড়ির নেয়ামত উল্লাহ মিজির মেয়ে এবং মহিন উদ্দিন (৩৫) একই উপজেলার পূর্ব কাজিরগাঁও গ্রামের মোহন গাজী বাড়ীর লিয়াকত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: রেনু হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ব্যবসা ও বিদেশ যাওয়ার নামে স্ত্রী মরিয়মকে দিয়ে যৌতুক হিসেবে শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা চায় মহিন উদ্দিন। এসব নিয়ে একাধিকবার পারিবারিকভাবে বৈঠক হয়। ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে কোনো এক সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মহিন উদ্দিন মরিয়মকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
মরিয়মের বাবা নেয়ামত উল্লাহ মিজি বলেন, ৩ নভেম্বর সকালে মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পাই। সেখানে গিয়ে ঘরে পাতলা কাঁথা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় মেয়ের লাশ পাই। পরে পুলিশ এসে সুরতহাল তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠায়।
পরে ৭ নভেম্বর মরিয়মের বাবা নেয়ামত উল্লাহ মিজি হাজীগঞ্জ থানায় জামাতা মহিন উদ্দিনসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করে।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআই চাঁদপুরের তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম। এতে মামলার ৫ জন আসামির মধ্যে মহিন উদ্দিন ছাড়া ৪ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি শামছুল ইসলাম মন্টু বলেন, প্রায় ৭ বছর চলমান মামলায় আদালত ৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এই রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
১৪৫ দিন আগে
২০ শর্তের সংসার, স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
গাইবান্ধায় বিয়ে করা স্ত্রীকে ২০ দফা লিখিত শর্ত দিয়েছেন স্বামী ফিরোজ মিয়া। এসব ২০ শর্ত মানলে স্ত্রীকে নিয়ে ঘর করবেন বলে জানান তিনি।
আজব এই ঘটনা মানতে রাজি নয় স্ত্রী ও তার বাপের বাড়ির লোকজন।
তাই শর্ত না মেনে স্বামীর সংসার করার দাবি আদায় করতে গাইবান্ধার আদালতের আসেন সন্তানসহ স্ত্রী জেমি আকতার।
জানা যায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন। তার মেয়ে জেমি আকতারের সঙ্গে ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল বিয়ে হয় পাশের গ্রামের ফিরোজ মিয়ার।
বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি ফুটফুটে সন্তানের জন্ম হয়। পুত্র সন্তান জন্ম হওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। জেমিকে তার ননদ ও শাশুড়িরা সন্দেহ করতে থাকে। সন্দেহের প্রভাব পড়ে ফিরোজের ওপর।
তারপর শুরু হয় মানসিক দ্বন্দ্ব। কথায় কথায় স্ত্রীকে মারধর করা, তারপর তাকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা ও ফোন কেড়ে নেওয়া হয় তার হাত থেকে। এভাবে তার ওপর চলে মানসিক নির্যাতন।
এসবের প্রতিবাদ করলে জেমি আকতারের ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এসব ঘটনার কথা জেমি তার বাবা ও মায়ের কাছে জানালে তারা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে। সালিশও বসে কয়েকবার।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অর্থায়নকে ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত: পরিবেশ উপদেষ্টার
কিন্তু সমাধানের কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত স্বামী ফিরোজ স্ত্রীর ওপর ২০টি শর্ত জুড়ে দেন।
শর্তে বলা হয়- স্বামীর দুলাভাইকে অভিভাবক হিসেবে মানতে হবে, মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না, শ্বশুর-শাশুড়ির অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবে না, সংসারের যাবতীয় কাজ স্ত্রী জেমিকে করতে হবে, রান্না করে শাশুড়িকে টেবিলে খাবার সাজিয়ে দিতে হবে। এরকম ২০টি শর্ত দিতে হবে। এসব শর্ত না মানলে কোনো দুর্ঘটনার জন্য জেমি নিজেই দায়ী থাকবেন বলে জানান তারা।
স্ত্রী জেমি আখতার বলেন, সংসার করতে রাজি কিন্তু শর্ত বাদ দিয়ে। এছাড়া এ বিষয়ে নিজেদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ, না হলে এমন শর্ত একজন নারীর জন্য অসম্মানজনক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।
এদিকে স্বামী ফিরোজের শর্তের প্রতিবাদ জানাতে জেমি স্বজনদের নিয়ে গাইবান্ধায় আদালতে মামলা করতে আসেন স্বামীর বিরুদ্ধে।
জেমির বাবা জয়নাল আবেদিন বলেন, এতও শর্ত দিলে কী আর সংসার করা যায়? সংসার তো নিজেদের বিষয়। কিন্তু আমার মেয়েটাকে শর্ত জুড়ে দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। আমরা এই অমানবিক ঘটনার জন্য জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছি গাইবান্ধায়।
স্ত্রী জেমি আকতার বাদী হয়ে গাইবান্ধার নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামীর ফিরোজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আদালতে।
আইনজীবী নিলুফার ইয়াসমীন শিল্পি বলেন, অমানবিক এই ২০টি শর্ত জুড়ে দিয়ে একজন নারীর সংসার জীবন চলতে পারে না। তাছাড়া এ ধরনের শর্ত দিয়ে সংসারও হয় না। আমরা চাই নারীর মর্যাদা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে জেমি আকতারের প্রতি সদয় হতে হবে। তার দাবির প্রতি সমর্থন ও আইনের প্রতি সমর্থন থাকতে হবে।
গাইবান্ধা জেলা আইনজীবী বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, শর্ত দিয়ে সংসার করার ঘোষণা দেওয়া নারীর প্রতি অবমাননা করা। অসম্মানজনক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে শর্ত দেওয়া স্বামীকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো দরকার।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন
১৪৬ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে স্বামীর হাতুড়ির আঘাতে স্ত্রী নিহত
মুন্সিগঞ্জে কিস্তির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে স্ত্রী নাজমা বেগমকে (৫০) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আনওয়ার মিঝির বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে টঙ্গীবাড়ির কামারখাড়া কবরস্থান এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯৮ জন নিহত, আহত ৯৭৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
নিহতের ছেলে মো. ইব্রাহিম সরদার বলেন, মাকে জিম্মাদার করে বাবা একাধিক কিস্তি তোলেন। সেগুলো ঠিকমতো পরিশোধ না করায় মায়ের ওপর বিভিন্ন চাপ আসত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে আগেও ঝগড়া হয়েছে।
ইব্রাহিম সরদার আরও বলেন, আজও মা-বাবার কাছে কিস্তি পরিশোধের কথা বলতে গেলে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. প্রান্ত সরকার বলেন, নিহতের মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
টঙ্গীবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। স্বামীকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় ২ সিএনজিযাত্রী নিহত, আহত ৩
১৪৮ দিন আগে