সোমবার কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর ১৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মানিক, বাদল, নয়ন, সুজন, আলমগীর, মিজান, লোকমান, গিয়াস উদ্দিন, রহমত এবং মামুন। চার সহোদর মানিক, বাদল, নয়ন ও সুজন করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পালইকান্দা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হেকিম বাঘু মালের ছেলে। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরাও একই গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, পালইকান্দা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হেকিম বাঘু মালের সঙ্গে একই গ্রামের বাসিন্দা পালইকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রশিদের জমি-জমা নিয়ে বিরোধ ছিল। ২০১১ সালের ৬ আগস্ট সকালে আব্দুল হেকিম বাঘু মালের লোকজন আব্দুর রশিদের জমির পাট জোর করে কাটা শুরু করে। এতে আব্দুর রশিদের লোকজন বাধা দিলে তাদের উওপর হামলা চালায় আব্দুল হেকিম বাঘু মালের লোকজন। হামলায় সহকারী শিক্ষক আব্দুর রশিদের ভাতিজা মো. মানিক মিয়া নিহত হন। তিনি পালইকান্দা গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহত মানিক মিয়ার ভাই মো. খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দিনই ২৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০১২ সালের ৮ মে ২৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।