সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জে পাচারের সময় ভিজিডির ৩ হাজার ১০০ কেজি চাল উদ্ধার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আজমিরিগঞ্জ-কাকাইলছেও সড়কের নিগমানন্দ আশ্রম রোডে চাল পাচারের সময় একটি গাড়িসহ চালকে আটক করা হয়েছে।
একটি পিকআপে ভিজিডির চাল পাচার হচ্ছে দেখে স্থানীয় জনতা গাড়িটি আটক করে। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ইউএনও, খাদ্য কর্মকর্তা ও পুলিশ এসে জানতে পারেন ওই পিকআপটি কাকাইলছেও এলাকা থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৬২ বস্তা চাল বিক্রির জন্য হবিগঞ্জে যাচ্ছিল। সরকারি চাল যাতে ধরা না পড়ে এর আগে বস্তা পরিবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মানব পাচারের অভিযোগে ২ তরুণ আটক
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক পিকআপ চালক জাবের মিয়াকে (৩০) এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে।
আটক জাবের মিয়া জানান, চালের মালিক উপজেলার শিবপাশা গ্রামের মোশাহিদ মিয়া। এ সময় চালের মালিকর মোবাইলে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি ঘটনাস্থলে আসেননি।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান খান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আটক চাল কাকাইলছেও ইউনিয়ন থেকেই আনা হয়েছে। তাই এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দেয়ার জন্য ওই ইউনিয়ন পরিষদ সচিবকে বলা হয়েছে। তার রিপোর্ট পাওয়ার পর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কোহেলিকা সরকারকে দিয়ে তদন্ত করা হবে।
অভিযাগ আছে, মোশাহিদসহ একটি চক্র বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নিকট থেকে সরকারি চাল কিনে বস্তা বদল করে হবিগঞ্জে নিয়ে বিক্রি করে। বছর খানেক আগেও মোশাহিদ মিয়া ১২০ বস্তা সরকারি চাল পাঁচারের সময় ধরা পড়ে জেল খাটে।
উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৩২৯ জন দুঃস্থ ও অসহায় নারী পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি ‘পুষ্টিচাল’ চাল দেয়ার কর্মসূচী চলছে। এর মধ্যে কাকাইলছেও ইউনিয়নে ৬৪৪ জন দুঃস্থ নারী রয়েছেন। এসব পরিবার ২ বছর পর্যন্ত চাল পাওয়ার কথা। স্থানীয় ইউনিয়ন অফিসে তা বিতরণ করা হয়। ৩০ কেজি চালের বস্তায় ৩০০ গ্রাম ভিটামিন মেশানো থাকে। যা পুষ্টিচাল হিসেবে পরিচিত। আটক ৩ হাজার ১০০ কেজি চাল ‘পুষ্টিচাল’ বলে নিশ্চিত হয়েছেন কর্মকর্তারা।
জব্দ হওয়া চালের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে দায়িত্ব দেয়া হয়।