চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য নির্মিত হাইস্পিড পেট্রল বোটটি দেশে এসেছে। রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে থাকা স্পিডবোটবাহী ইতালীর ‘সোঙ্গা চিতা’ জাহাজটিকে বন্দরের শক্তিশালী টাগবোট কাণ্ডারি ১০ ও ১২ এর সাহায্যে বন্দরের সিসিটি জেটিতে ভেড়ানো হয়েছে।
ইতালির সালেরনো বন্দর থেকে গত ১৮ এপ্রিল জাহাজটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে। ২৬ দিনের যাত্রা শেষে ১৪ মে বিকালে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসে।
রবিবার সকালে সোঙ্গা চিতা বন্দরের চিটাগাং কন্টেইনার টার্মিনালে (সিসিটি) বার্থিং করে বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পতেঙ্গা থেকে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত দ্রুত সময়ে পাইলটদের আনা নেয়া এবং বহির্নোঙরে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে ইতালি থেকে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে হাইস্পিড পেট্রল বোটটি কিনেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রাকচাপায় বন্দর কর্মকর্তা নিহত
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২৬ দিন আগে ইতালির রেনেভা বন্দর থেকে কনটেইনার জাহাজ সোঙ্গা চিতা হাইস্পিড পেট্রল বোটটি নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ইতালির এফবি ডিজাইনের ইয়ার্ডে বোটটি তৈরি করে। এটি লম্বায় ১৬ দশমিক ৫ মিটার ও ড্রাফট ১ দশমিক ২ মিটার। বোটটিতে আধুনিক নেভিগেশনাল যন্ত্রপাতি, স্যাটেলাইট রাডার, স্যাটেলাইট কম্পাস, দুটি ইঞ্জিন, তিনটি জেনারেটরসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রয়েছে। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে উল্টে গেলেও এটি আবার আগের স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে যেতে পারবে। বোটটিতে ১৬ জন বসতে পারবে। পতেঙ্গা থেকে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার দ্রুততম সময়ে পাড়ি দিয়ে পাইলটদের আনা নেয়া করতে সক্ষম হবে এই বোট।
পেট্রল বোটটি সোঙ্গা চিতা থেকে নামানোর পর কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স শেষে ট্রায়াল দেবে বন্দরের নৌবিভাগ। এরপর এটি বন্দরের ১ নম্বর বার্থের সার্ভিস জেটিতে থাকবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ইতালির সোঙ্গা চিতা জাহাজটিতে কনটেইনারও রয়েছে। প্রায় তিনশ’ কনটেইনার নামানোর পর হাইস্পিড পেট্রল বোটটি খালাস করা যাবে। বোটটি পরিচালনায় বন্দরের নৌ বিভাগের ১০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। নতুন হাইস্পিড পেট্রল বোটটির কারণে বন্দরের জাহাজের বহরে সক্ষমতা আরও বেড়ে গেল।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর