বরিশালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চার সদস্য ও তাদের সহযোগী দুই স্বর্ণব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
রবিবার দুপুরে নগরীর বটতলা এলাকায় উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা।
গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যরা হলো- জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আল আমিন শরীফ, খোকন শরীফ, হালিম শরিফ, মামুন ডাকুয়া, স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোবিন্দ সরকার ও শ্যামল কুমার দাস।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
উপ-পুলিশ কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, ২০ সেপ্টেম্বর নগরীর বন্দর থানার চাঁদপুরা ইউনিয়নে আমিনুল ইসলামের বাড়িতে সাত থেকে আটজনের একটি দল ডাকাতি করে। এ ঘটনায় মামলা হলে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে চারজন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যকে আটক করা হয়।
এদের সবার বাড়ি জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। এছাড়া সবার নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে এই চক্রটিকে ডাকাতির সহায়তা সহ লুটের মালামাল ক্রয় করে গোবিন্দ সরকার ও শ্যামল কুমার দাস নামে দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ী। পরে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। নগরীর কালিবাড়ি রোড থেকে গ্রেপ্তার হওয়া স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোবিন্দ সরকারের উত্তম অলংকার ভবন নামে একটি স্বর্ণের দোকান আছে। একই এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী শ্যামল কুমার দাসের দোকান আছে এসডি গিনি হাউজ নামে।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুল করিম জানান, এই ঘটনায় লুট হওয়া দুই ভরি স্বর্ণ, ৩৫ হাজার নগদ টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি রেইঞ্জ, শাবল, স্ক্রু ড্রাইভার ও একটি প্লাটিনা মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ: ৪ জনের স্বীকারোক্তি, ৬ জন রিমান্ডে
এছাড়া ডাকাত দলের অন্য সদস্যদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে আল আমিনের নামে তিনটি মামলা, খোকন শরীফের নামে আটটি মামলা, হালিম শরীফের নামে দুটি ও মামুন ডাকুয়ার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়।
আরও পড়ুন: ডাকাতি করতে গিয়ে বাড়ির মালিককে খুন, ৭ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার