লালমনিরহাটে রেলের ইঞ্জিন ও কোচ ঘোরানোর টার্ন টেবিলটি দীর্ঘ ৩০ বছর পর নতুন করে নির্মাণ করেছে লালমনিরহাট রেলবিভাগ।
লালমনিরহাট রেলস্টেশনের আধা কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে সিক লাইন এলাকায় ৯ শতক জমির উপর টার্ন টেবিলটির অবস্থান।
প্রায় ৩০ বছর আগে টার্ন টেবিলটি বিকল হলে তা ব্যবহার বন্ধ করে রেলওয়ে বিভাগ। তাই ইঞ্জিন বা কোচ ঘোরানোর জন্য ঢাকায় যেতে হতো।
আরও পড়ুন: ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
এদিকে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের সিক লাইন এলাকায় প্রস্তুত এ টার্ন টেবিলটি উদ্বোধন হলে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, লালমনিরহাটে টার্ন টেবিল নির্মাণ করা হয়েছে। টার্ন টেবিলে ১৪ টন ওজনের একটি ব্রিজ রয়েছে। এটি এই যন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর উপরে ইঞ্জিন ও কোচ তুলে ঘোরানো হয়। স্থাপনাটির তিন ধাপে পাকা দেয়ালের সীমানাপ্রাচীর যা সুরক্ষাপ্রাচীর ও লাইন দেয়াল নামে পরিচিত। এর মেঝে আরসিসি ঢালাই দেওয়া, পানি জমলে, রয়েছে পাম্প দিয়ে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা।
রেলওয়ে দপ্তর সূত্র জানায়, লালমনিরহাটে ১৮৬২ সালে প্রথম নির্মিত হয় টার্ন টেবিল। টেবিলটি ১৯৯৩ সালের দিকে নষ্ট হয়ে যায়। নতুন করে নির্মিত টার্ন টেবিল চালু হলে দেশের মধ্যে এটিই হবে প্রথম টার্ন টেবিল।
বিভাগীয় রেলওয়ে দপ্তরের প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামান বাবু বলেন, ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপকের (পশ্চিম) কার্যালয় থেকে লালমনিরহাটে টার্ন টেবিল নির্মাণের প্রশাসনিক অনুমোদনের চিঠি দেওয়া হয়। যার নির্মাণকাজ চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে, শেষ হয়েছে গত মার্চ মাসে। এতে ব্যয় হয়েছে ২৫ লাখ টাকা।
টার্ন টেবিল কেন দরকার এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, একটি কোচ বা ইঞ্জিনকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর টার্ন টেবিলের উপর রেখে ঘোরানো হয়। এতে বাঁ দিকের চাকা ডান দিকে, ডান দিকের চাকা বাঁ দিকে চলে যায়। ফলে দুই পাশের চাকা সমানভাবে ক্ষয় হয়। এতে চাকার স্থায়িত্ব বাড়ে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে: রেলপথমন্ত্রী