নির্মাণ
ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে: গণপূর্তমন্ত্রী
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণ ও ভূমিকম্প সহনশীল নগরায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার ও জনগণ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়নে সমাজের প্রত্যেক স্তরের অংশীজনকে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
শনিবার বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের (রাজউক অংশ) উদ্যোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কার্যক্রমের পরিধি বাড়ছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের: গণপূর্তমন্ত্রী
গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, দ্রুত নগরায়ন, নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং নৈতিকতার অভাবজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের সকল জেলা শহর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে শহরের উন্মুক্ত স্থানসমূহ বেদখল হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ঢাকার দ্রুত বৃদ্ধি এবং অভিবাসনের ফলে ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে। ঝুঁকি সংবেদনশীল ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন নীতি ও কৌশলসমূহ প্রয়োগের মাধ্যমে বিদ্যমান দুর্বলতাকে কাটিয়ে একটি স্থায়ী ও ঝুঁকিমুক্ত শহর গড়ে তোলা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বিল্ডিং কোডের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন, তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে অবকাঠামোগত নকশা পরীক্ষা ও পরিদর্শন এবং গুণগত ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সরকার, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি তার বক্তব্যে সেমিনার হতে প্রাপ্ত পরামর্শ ও দিকনির্দেশনাসমূহ ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সব জেলা ও উপজেলা শহরে প্রয়োগের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে দুই দিনব্যাপী এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পুলিশ, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডি, জাইকা, এডিবি, আইইবি, বিআইপি, আইডিইবির প্রতিনিধিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞগণ।
সেমিনারে বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে ভূমিকম্প দুর্যোগ ঝুঁকির বিভিন্ন দিক এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
রবিবার (২ জুন) বিকাল ৫টায় সেমিনারটি শেষ হবে।
আরও পড়ুন: নাগাসাকিতে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করেছেন গণপূর্তমন্ত্রী
জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে বললেন গণপূর্তমন্ত্রী
৬ মাস আগে
৩০ বছর পর ‘টার্ন টেবিল’ নির্মাণ করল লালমনিরহাট রেল বিভাগ
লালমনিরহাটে রেলের ইঞ্জিন ও কোচ ঘোরানোর টার্ন টেবিলটি দীর্ঘ ৩০ বছর পর নতুন করে নির্মাণ করেছে লালমনিরহাট রেলবিভাগ।
লালমনিরহাট রেলস্টেশনের আধা কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে সিক লাইন এলাকায় ৯ শতক জমির উপর টার্ন টেবিলটির অবস্থান।
প্রায় ৩০ বছর আগে টার্ন টেবিলটি বিকল হলে তা ব্যবহার বন্ধ করে রেলওয়ে বিভাগ। তাই ইঞ্জিন বা কোচ ঘোরানোর জন্য ঢাকায় যেতে হতো।
আরও পড়ুন: ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
এদিকে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের সিক লাইন এলাকায় প্রস্তুত এ টার্ন টেবিলটি উদ্বোধন হলে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, লালমনিরহাটে টার্ন টেবিল নির্মাণ করা হয়েছে। টার্ন টেবিলে ১৪ টন ওজনের একটি ব্রিজ রয়েছে। এটি এই যন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর উপরে ইঞ্জিন ও কোচ তুলে ঘোরানো হয়। স্থাপনাটির তিন ধাপে পাকা দেয়ালের সীমানাপ্রাচীর যা সুরক্ষাপ্রাচীর ও লাইন দেয়াল নামে পরিচিত। এর মেঝে আরসিসি ঢালাই দেওয়া, পানি জমলে, রয়েছে পাম্প দিয়ে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা।
রেলওয়ে দপ্তর সূত্র জানায়, লালমনিরহাটে ১৮৬২ সালে প্রথম নির্মিত হয় টার্ন টেবিল। টেবিলটি ১৯৯৩ সালের দিকে নষ্ট হয়ে যায়। নতুন করে নির্মিত টার্ন টেবিল চালু হলে দেশের মধ্যে এটিই হবে প্রথম টার্ন টেবিল।
বিভাগীয় রেলওয়ে দপ্তরের প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামান বাবু বলেন, ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপকের (পশ্চিম) কার্যালয় থেকে লালমনিরহাটে টার্ন টেবিল নির্মাণের প্রশাসনিক অনুমোদনের চিঠি দেওয়া হয়। যার নির্মাণকাজ চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে, শেষ হয়েছে গত মার্চ মাসে। এতে ব্যয় হয়েছে ২৫ লাখ টাকা।
টার্ন টেবিল কেন দরকার এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, একটি কোচ বা ইঞ্জিনকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর টার্ন টেবিলের উপর রেখে ঘোরানো হয়। এতে বাঁ দিকের চাকা ডান দিকে, ডান দিকের চাকা বাঁ দিকে চলে যায়। ফলে দুই পাশের চাকা সমানভাবে ক্ষয় হয়। এতে চাকার স্থায়িত্ব বাড়ে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে: রেলপথমন্ত্রী
৭ মাস আগে
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে: রেলপথমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার ভিশন মিশন প্রকল্পে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকীম।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে দুপুরে মধুখালী হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের সাইট অফিসে উপস্থিত হয়ে প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে একথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ধূমপানমুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করুক: রেলপথমন্ত্রী
তিনি বলেন, জনস্বার্থে ও সড়ক যোগাযোগ সহজ করার লক্ষ্যে সব রেলস্টেশন ও রেললাইন সংস্কার করা হবে।
এরপর রেলপথমন্ত্রী মাগুরা মধুমতি নদীর উপর নির্মাণাধীন রেলসেতু, ব্রডগেজ রেলপথ ও মাগুরা রামনগর ঠাকুরবাড়ী রেলস্টেশন এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরে মন্ত্রী মাগুরা সার্কিট হাউজে উপস্থিত হয়ে গার্ড অব অনার গ্রহণ করে রেলওয়ে প্রকল্পের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্কিট হাউজে মতবিনিময় করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য ড. বীরেন শিকদার, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পুলিশ সুপার মশিউদৌল্লা রেজা, মাগুরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ কুমার কুন্ডু।
আরও পড়ুন: প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগ দেওয়া হবে: রাজবাড়ীতে রেলপথমন্ত্রী
রেলওয়ে কারখানায় উৎপাদন বাড়াতে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে: রেলপথমন্ত্রী
৭ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত: হাইকমিশনার
বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ভারত সহায়তা করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।
বুধবার(২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান ও প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে কানাডার বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে সহায়তা করবে এফআইপিএ: হাইকমিশনার
হাইকমিশনার বলেন, প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এটি আমার প্রথম বৈঠক, বলতে পারেন সৌজন্য সাক্ষাৎ। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। পরিবেশগত মিল থাকায় আমরা একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হই।
তিনি বলেন, ডিজাস্টার রিজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসট্রাকচারসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ। কাজেই এসব ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, গতবছর দুই দেশের এই মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে।
২০২১ সালে আমরা একটি সমঝোতা স্মারকও সই করেছি। এই সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। এর মধ্যে রিমোট সেন্সিং, দুর্যোগ ব্যবস্থা কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও তথ্য বিনিময়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তার বিষয় রয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, রিমোট সেন্সিং নিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে উভয়েই আগ্রহ প্রকাশ করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ ও বহুমুখী সম্পর্ক সমৃদ্ধির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের
৭ মাস আগে
ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মানায় অগ্নিকাণ্ডে এত হতাহত: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মানায় বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে এবং অনেককে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখে বেইলি রোডের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক পরিদর্শন এবং তথ্য থেকে আমরা যতটুকু জানতে ও দেখতে পেয়েছি, এই ভবন নির্মাণে অনেক গাফিলতি রয়েছে। এই ভবন নির্মাণে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, বিএনবিসি কোডে যে নির্ণায়কগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিদর্শনে দেখলাম, ১০ তলা ভবন হওয়া সত্ত্বেও মাত্র একটি সিঁড়ি রয়েছে এবং সেই সিঁড়িটাও নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী প্রশস্ত না। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী পাঁচ তলার উপরে ভবন হলেই একটি ভবনে দুটো সিঁড়ি থাকতেই হবে এবং একটি সিঁড়ি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত থাকবে। অগ্নিকাণ্ড, ভূমিধ্বসসহ যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে সেটি ব্যবহৃত হবে। কিন্তু এই ভবনে তা মানা হয়নি বলেই অগ্নিকাণ্ডে এত হতাহত হয়েছে।’
এ সময় সরকারের কাছে পাঠানো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ বিধিমালা দ্রুত অনুমোদন পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তাপস বলেন, এ ধরনের ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন ও পরিপালন একান্ত আবশ্যক। বিগত বছরগুলোতে যে দুর্যোগগুলো হয়েছে সেগুলোর আলোকে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি সাড়া প্রদানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একটি খসড়া নীতিমালা প্রনয়ণ করছে। তাছাড়া ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণে সিটি করপোরেশনের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করে আমরা একটি নীতিমালা সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। সেটি নিয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মত বিনিময় চলছে। আমরা আশা করব, সরকার দ্রুত এই নীতিমালাটির অনুমোদন দেবে।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান-প্রযুক্তির গবেষণায় বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে: তাপস
চাঁদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে তাপসের শোক
৯ মাস আগে
বাংলাদেশে ৯টি আইকনিক মসজিদ নির্মাণে সৌদির রাষ্ট্রদূতের সম্মতি
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, বাংলাদেশে ৯টি আইকনিক মসজিদ নির্মাণে সম্মতি জানিয়েছেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুহাইলান।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ধর্মমন্ত্রীর সঙ্গে তার অফিস কক্ষে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের দ্বিপক্ষীয় সভায় এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
এ সভায় ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বাংলাদেশে সৌদি সরকারের অর্থায়নে প্রস্তাবিত আইকনিক মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
আরও্র পড়ুন: আহমেদ রুবেলের বর্ণাঢ্য জীবন
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে আন্তরিক আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আইকনিক মসজিদ নির্মাণে সৌদি সরকারের আগ্রহের বিষয়টি খুবই ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন এবং তিনি সৌদি সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ৮টি বিভাগে ৮টি আইকনিক মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানী ঢাকাতে একটি বৃহৎ মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ঢাকার পূর্বাচলে প্রয়োজনীয় জায়গা বরাদ্দের জন্য আদেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন ধর্মমন্ত্রী।
সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর এ আকাঙ্ক্ষার কথা জেনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে ৯টি আইকনিক মসজিদ নির্মাণে সম্মতি দেন।
পরে ধর্মমন্ত্রী সৌদি সরকারের অর্থায়নে প্রস্তাবিত এরাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট স্থাপনের বিষয়টি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
আরও্র পড়ুন: অভিনেতা আহমেদ রুবেল আর নেই
তিনি জানান, ঢাকার বছিলায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় এরাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য স্থান নির্বাচন করা হয়েছে এবং এরই মধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে নকশা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি রাষ্ট্রদূতকে নকশাটি দেখার অনুরোধ জানান। সৌদি রাষ্ট্রদূত নকশাটি দেখে তার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। তিনি এখানে খেলাধুলার জন্য স্পোর্টস সেন্টার রাখার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
এ বছর হজ প্রক্রিয়াকরণের বিষয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূত সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, আগে হজ এজেন্সিগুলো নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল।
এছাড়া মধ্যস্বত্বভোগীরা হজযাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করত। কিন্তু হজ প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করার ফলে আমরা পুরো প্রক্রিয়াটিকেই খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি। এর ফলে হজযাত্রীদের কষ্ট অনেকাংশে কমেছে।
আরও্র পড়ুন: বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে: ধর্মমন্ত্রী
১০ মাস আগে
জমিতে রাস্তা নির্মাণে বাধা: ৩ জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পৌর এলাকায় অপরের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণে বাধা দেওয়ায় তিনজনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে পৌর কাউন্সিলর মিনা খাতুন ও তার স্বামী জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) কাজিপুর আমলি আদালতে কাউন্সিলর মিনা খাতুন ও তার স্বামী জহুরুল ইসলামসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেছে ভুক্তভোগী।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
মামলায় বাদীর বিবরণ থেকে জানা যায়, পৌর কাউন্সিলর মিনা খাতুন ও তার স্বামী জহুরুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে আব্দুস সামাদের ঘর ভেঙে তাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করেন। এসময় আব্দুস সামাদ ও তার ভাই সাইফুল ইসলাম বাধা দেন।
এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মিনা, তার স্বামী জহুরুল ইসলাম ও তাদের স্বজনরা আব্দুস সামাদ ও তার ভাই সাইফুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
এসময় ঠেকাতে এলে আব্দুস সামাদের স্ত্রীকেও আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বেরিপোটল মহল্লায় মারামারির খবর শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সেখানে মারামারিতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে এবং ওই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বাস উল্টে আহত ১০
১০ মাস আগে
মহেশখালীতে নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের অনুমোদন পেল সামিট গ্রুপ
কক্সবাজারের মহেশখালীতে দ্বিতীয় এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে স্থানীয় সামিট গ্রুপ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এই চুক্তির আওতায় সামিট গ্রুপের আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পুনরায় গ্যাসে রূপান্তরের জন্য এলএনজি টার্মিনাল হিসেবে নতুন ভাসমান স্টোরেজ ও রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট স্থাপন করবে।
অনুমোদন অনুযায়ী, সামিট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড ১৫ বছর মেয়াদি টার্মিনাল ইউজ এগ্রিমেন্ট (টিইউএ) এবং ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট (আইএ) সই করবে। এই চুক্তির আওতায় প্রতিদিন ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে গ্রুপটি। পুনরায় গ্যাসে রূপান্তরের খরচ পড়বে ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছরের ১৪ জুন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদনের পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
এটি হবে দেশের তৃতীয় এলএনজি টার্মিনাল। কক্সবাজারের মহেশখালীতে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলেরেট এনার্জি কর্তৃক ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এবং একই এলাকায় একই ক্ষমতাসম্পন্ন আরও একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করেছে সামিট গ্রুপ।
কাতার ও ওমান থেকে পেট্রোবাংলার আমদানি করা এলএনজি পুনরায় গ্যাসে রূপান্তর করার জন্য এক্সেলেরেট এনার্জি ও সামিট যথাক্রমে ২০১৮ ও ২০১৯ সাল থেকে সরকারকে এফএসআরইউ পরিষেবা দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সামিট গ্রুপের প্রস্তাবটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ) আইন-২০১০ এর অধীনে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়া হিসেবে উত্থাপন করে, যা সরকারকে প্রতিযোগিতামূলক নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়াই চুক্তি প্রদানের অনুমতি দেয়।
এর আগে সিসিইএ’র অনুমোদিত প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, প্রস্তাবিত সামিটের টার্মিনালের পুনঃগ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা হবে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি (এমএমসিএফডি)। কিন্তু এখন সামিট ৬০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
পেট্রোবাংলা ৩০০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করছে। এর মধ্যে প্রায় ২৩০০ এমএমসিএফডি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। আর ৭০০ এমএমসিএফডি আমদানি করা হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে এলএনজি, গম, সার সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে: ল্যাভরভ
ফলে ৪ হাজার এমএমসিএফডির চাহিদা মেটাতে দেশে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাসের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
সম্প্রতি পেট্রোবাংলা কাতার ও ওমানের সঙ্গে দুটি নতুন চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তির আওতায় ২০২৬ সাল থেকে আরও এলএনজি সরবরাহ পাওয়া যাবে। এছাড়া ২০২৬ সাল থেকে অতিরিক্ত এলএনজি আমদানির জন্য এক্সেলরেট এনার্জির সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি নতুন চুক্তিও সই হয়েছে।
পেট্রোবাংলার পৃথক একটি প্রস্তাবে সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিগ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৬৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ'র এলএনজি কার্গো আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আরও পড়ুন: পেট্রোবাংলার সঙ্গে এক্সেলারেট এনার্জির এলএনজি সরবরাহ চুক্তি সই
১ বছর আগে
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নতমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিদেশ থেকেও প্রশংসিত হবে এমন চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমি পরিচালক, শিল্পী, প্রযোজকসহ সকলকে অনুরোধ করবো বিদেশ থেকে প্রশংসা কুড়ায় এমন চলচ্চিত্র প্রযোজনা করার জন্য।’
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চলচ্চিত্র একটি সমাজকে সচেতন, বিনোদন ও সংস্কার করতে পারে এবং ইতিহাসকে কেন্দ্র করে মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
তিনি বলেন, 'চলচ্চিত্র আমাদের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, খুব বেশি দিন হয়নি সিনেমা হলগুলো গ্রামাঞ্চলে চলে গেছে, যেখানে মানুষ বিনোদনের জন্য যেতে পারত।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু ধীরে ধীরে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশেষ করে করোনাভাইরাস মহামারির সময় সিনেমা হলগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, মহামারি চলাকালীন তিনি সিনেমা হলের মালিকদের সঙ্গে বসে সিনেমা হলের কার্যক্রম পুনরায় চালু করার উপায় খুঁজে বের করেন এবং সিনেমা হলগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন করতে বলেন।’আরও পড়ুন: চঞ্চল ও জয়া ছাড়াও যারা পাচ্ছেন এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
তিনি বলেন, ‘সময় ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ১ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন, যাতে স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করা যায়।
তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে, আপনাদের সেই উদ্যোগ নিতে হবে এবং আমরা সেটাই চাই।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২৭টি ক্যাটাগরিতে ৩৩ জন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য সচিব হুমায়ুন কবির খন্দকার বক্তব্য দেন।
'আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত' শিল্পী রওশন আরা রোজিনা অনুষ্ঠানে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এই পুরস্কারটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য প্রদত্ত সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার হিসাবে বিবেচিত হয়।
পরে শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
আরও পড়ুন: বিজয়ীদের হাতে উঠল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২
১ বছর আগে
টেকসই পৃথিবী নির্মাণে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই পৃথিবী নির্মাণে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজিকে বিবেচনায় নিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ ছাড়া এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ভিত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিশুদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে: স্পিকার
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতকরণ এবং লিঙ্গ সহায়ক বাজেট প্রণয়নে গুরুত্বারোপ করেছেন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) জাতিসংঘ বাংলাদেশ কর্তৃক বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে জাতিসংঘ দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ইউনাইটেড ন্যাশনস নলেজ ফেয়ার শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বিশুদ্ধ পানীয় জল ব্যবস্থাপনা এবং শতভাগ স্যানিটেশনে সরকার বিভিন্ন নীতি ও পরিকল্পনা নিয়েছে।
তিনি বলেন, সবার জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। সবার শক্তিশালী অংশীদারিত্ব এবং সামাজিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বাংলাদেশের সাফল্য নিশ্চিত হবে।
এসময় স্পিকার জাতিসংঘের ৭৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এ ধরনের আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও সহযোগিতা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: সংসদে ৫ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ারম্যান মনোনয়ন স্পিকারের
নারীদের এগিয়ে নিতে পি-টুয়েন্টি সম্মেলন ভূমিকা রাখবে: স্পিকার
১ বছর আগে