এই সাত জেলা হলো- যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুর।
সোমবার যবিপ্রবির ল্যাবে ৯৯টি নমুনা জমা দেয়া হয়। যা রোগীর শনাক্তের চতুর্থ দিনে এটি সর্বাধিক নমুনা।
এর আগে গত শনি, রবি ও সোমবার তিন দিনে মোট ১০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ওই নমুনাগুলোর কোনোটিতে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়নি।
যবিপ্রবি জেনোম সেন্টারের সহকারী পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, প্রথম দিন শুধু যশোর, পরে আরও দুটি জেলা এবং সোমবার সাত জেলার নমুনা এসেছে সিভিল সার্জনদের মাধ্যমে। এর বাইরেও আরও কয়েকটি জেলা থেকে নমুনা পরীক্ষা করতে দেয়া হতে পারে।
বিকালে নমুনাগুলো প্রসেস করে পরীক্ষা শুরু করা হয় বলে জানিয়ে ড. জাহিদ বলেন, মঙ্গলবার রেজাল্ট সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, 'যশোরের সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগ আমাদের ৪০০টি কিট সরবরাহ করে। এ পর্যন্ত ২০৩টি কিট ব্যবহার করা হয়েছে। এখন আমাদের কাছে মাত্র ১৯৭টি কিট আছে। ধারণা করছি মঙ্গলবারের পর কিটের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। এজন্য আগেভাগেই সিভিল সার্জন অফিসকে কিট সরবরাহ করতে বলেছি।’
যবিপ্রবি ল্যাবের এ পরীক্ষা কার্যক্রম যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য কিট সময়মতো সরবরাহ করতে হবে। বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানান এই শিক্ষক।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, করোনা রোগী শনাক্তের জন্য পরীক্ষা কিটের চাহিদার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও তাকে কিছু জানাননি। আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে জানালে তিনি কিটের চাহিদাপত্র পাঠাবেন আইইডিসিআর-এর কাছে।