সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে সোমবার এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নুরুল আলম প্রকাশ নুরুর মা নুরজাহান বেগম।
বাদীর আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল জানান, আদালতের বিচারক রায়হান চেীধুরী মামলাটি আমলে নিয়ে নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
আসামিরা হচ্ছেন- সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ কাওসারুজ্জামান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম, এএসআই মহিউদ্দিন খন্দকার ও কনস্টেবল কবির হোসেনসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচজন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর থানার একটি মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই নুর আলমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ৩০ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। ওইদিন সন্ধ্যায় জেল হাজত থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকে তিনজন লোক নুর আলমকে আটক করতে যায়। এসময় ভয়ে তিনি কারা পুলিশ ব্যারাকের রান্না ঘরে আশ্রয় নেন। পরে তারা নুর আলমকে সেখান থেকে হাতকড়া ও চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে চোখের বাঁধন খুললে তিনি এসআই কাওসারুজ্জামানকে চিনতে পারেন। এরপর থেকে প্রায় ৬ দিন পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়।
৫ জানুয়ারি তারা নুর আলমের শাশুড়ি ফিরোজা বেগমের মোবাইল ফোনে কল করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। টাকা না দিলে নুর আলমকে হত্যা বা অস্ত্র মাদক মামলায় জড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। এসময় দাবি করা টাকা শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার চা দোকানি আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসতে বলেন। ওইদিন দুপুরে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসা হয়। কিন্তু দাবি করা পুরো টাকা না দেয়ায় ওইদিনই ২৫ পিস ইয়াবা দিয়ে নুর আলমকে তারা গ্রেপ্তার দেখায়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে ২১ জানুয়ারি নুর আলমের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। এতে এসআই কাওসারুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ওইদিনই আদালতের পুলিশ হেফাজতে নুর আলমকে তিনি ক্রসফায়ারের হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই কাওসারুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।