বাংলাদেশ থেকে আমদানি এবং বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে লাওস, জাম্বিয়া, কেনিয়া ও সাইপ্রাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত লাওসের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এবং জাম্বিয়া, কেনিয়া ও সাইপ্রাসের অনাবাসিক হাইকমিশনাররা বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
আজ সকালে তারা বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, তৈরি পোশাক, হিমায়িত খাদ্য, সিরামিকস ও পাটজাত পণ্যসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের পণ্যের আমদানি এবং বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে কাজ করতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
এদিন প্রথমে লাওসের রাষ্ট্রদূত বাওমি ভ্যানমানি (Bounmy Vanmany) পরিচয়পত্র পেশ করেন। এরপর কেনিয়ার হাইকমিশনার মুনিরি পিটার মাইনা (Munyiri Peter Maina), জাম্বিয়ার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার পার্সি চান্দা (Percy P. Chanda) ও সাইপ্রাসের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার এভাগোরাস রায়োনাইডিস (Evagoras Vryonides) রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
নতুন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের সকল দেশের সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক ও পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ।
পারস্পরিক সহাবস্থান ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সংকল্পবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
দেশে বিরাজমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি কেনিয়া, সাইপ্রাস, জাম্বিয়া ও লাওসের বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ সময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে দ্বিপাক্ষিক সরকারি ও বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: ভিসা পদ্ধতি সহজসহ রাশিয়াকে আরও জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও গ্রিন টেকনোলজিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং নিজ নিজ দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবেন বলে রাষ্ট্রপতিকে আশ্বস্ত করেন। নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।