ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১২ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে আসেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ১৬ বাংলাদেশি
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশি নাগরিকেরা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার জবা রানী রায় ও তার ছেলে জগদীশ রায়, নেত্রকোনার পূর্বধলার মোসা. বিউটি, চাঁদপুরের নিশ্চিন্তপুরের রিয়াহ হোসেন, যশোরের অভয়নগরের মোসা. বিনা বেগম, মো. শেখ সাদী। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহিনা বেগম, জামালপুরের মেলান্দহের দুই ভাই মো. শামিম মিয়া ও মো. সুহান মিয়া। জামালপুরের ইসলামপুর থানার মো. ফারুখ হোসেন ও আসমা বেগম এবং ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার তৃষ্ণা অধিকারী তিশা।
সাজা শেষে তিশা আগড়তলার জওহরলাল নেহেরু বালিকা নিবাসে এবং বাকিরা নরসিংগড় ডিটেনশন সেন্টারে অবস্থান করছিলেন।
পরিবার ও সহকারী হাই কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১২ জন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরবর্তীতে তারা ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন।
আরও পড়ুন: ২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
তিনি আরও জানান, পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর পর কারাভোগ শেষ করে সেখানে একাধিক সেন্টারে রাখা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, আজকে আমাদের জন্য খুবই আনন্দের দিন যে আমরা ১২ জন বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন করতে পারছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের মানবপাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে জনসচেতনতা আরও জোরদার করতে হবে।
এ সময়ে তাদের প্রয়োজনীয় জরুরি সহায়তা প্রদান করে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।