সীমান্ত
কানাইঘাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বেলা তিনটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশ ভারতের অভ্যন্তরে পড়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
নিহত আব্দুর রহমান (৩০) কানাইঘাট উপজেলার বড়চাতল পূর্ব গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে।
উপজেলার ১ নম্বর পূর্ব লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। আহতরা হলেন, জামিল আহমদ, হুসেন আহমদ, আয়নুল হক ও জুমিল আহমদ। আহতদের পুরো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে চোরাচালানের কাজে ভারত সীমান্তে প্রবেশ করেন আব্দুর রহমানসহ কয়েকজন। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান আব্দুর রহমান। শনিবার বিকাল পর্যন্ত লাশ ভারতের অভ্যন্তরে পড়ে রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
পড়ুন: পরশুরামে বিএসএফের গুলিতে নিহত সেই যুবকের লাশ হস্তান্তর
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, ভারত সীমান্ত থেকে লাশ আনার প্রক্রিয়া চলছে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে বিজিবির (১৯ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার বলেন, এরকম সংবাদ আমরা পেয়েছি। শুক্রবার রাত থেকে লাশ শনাক্ত ও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে কাজ করছি।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল জানান, লাশ গ্রহণের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা পৌঁছালে লাশ হস্তান্তরের কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানান।
৯৬ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে পদ্মা নদী থেকে দুই বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্তে পদ্মা নদী থেকে দুই বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)।শনিবার (২ আগস্ট) বিকালে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের নির্যাতনে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলো- শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের সিরাজুলের ছেলে শফিকুল(৪৫) ও একই এলাকার মৃত মর্তুজার ছেলে সেলিম(৩৫)। তবে বিএসএফের নির্যাতনে তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা—তা নিশ্চিত করেনি বিজিবি।
স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে বাতাসি মোড় এলাকায় পদ্মা নদীতে দুই জনের লাশ ভাসতে দেখে মাসুদপুর বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেওয়া হয়। এরপর লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সমির উদ্দিন জানান, গত বৃহস্পতিবার গরু আনার জন্য ভারতে যান সফিকুল ইসলাম ও সেলিম। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তারা। আজ শনিবার পদ্মা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে লাশ শনাক্ত করা হয়। দুজনের পুরো শরীর অ্যাসিড দিয়ে পোড়ানো এবং শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পড়ুন: পুলিশের ভয়ে নদীতে লাফ, দুদিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়দের দাবি ভারতের বিএসএফ সদস্যরা হত্যাকাণ্ডে কৌশল পরিবর্তন করে অপরাধ ঢাকতে নির্যাতণ করে মৃত্যু নিশ্চিতের পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
এদিকে ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে বিজিবি সদস্যরা বিকাল ৩টার দিকে মাসুদপুর সীমান্তের ৪/২-এস নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে আনুমানিক আড়াই কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পদ্মা নদীতে ২টি লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। লাশ উদ্ধার করে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে লাশ নিয়ে যাবার জন্য। তবে কিভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে এটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিজিবির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিএসএফকে জানানো হলো তারা কিছু জানেনা বলে জানিয়েছে বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।
১২৪ দিন আগে
সাত দিন পর সীমান্ত থেকে ফিরল চুয়াডাঙ্গার কৃষক ইবরাহিমের লাশ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষক ইবরাহিম বাবুর (২৮) লাশ ঘটনাস্থলে পড়েছিল এক সপ্তাহ। অবশেষে ৭ দিন পর তার নিথর দেহ ফিরল নিজভূমিতে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত পৌনে ৯টার দিকে দর্শনা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশটি বাংলাদেশে হস্তান্তর করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বাংলাদেশের ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দর্শনা কোম্পানি কমান্ডার ও ভারতের ৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গেদে কোম্পানির কমান্ড্যান্টের উপস্থিতিতে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পরে ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ নিহতের লাশ দর্শনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদ তিতুমির জানান, ‘লাশটি আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আসিফ।
গত ৩ জুলাই (বুধবার) দুপুরে ইবরাহিম বাবু তার গরুর জন্য ঘাস কাটতে যান স্থানীয় ঝাঁঝাডাঙা সীমান্তের ৭৯ নম্বর পিলারের কাছে। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
নিহত ইবরাহিম বাবু ঝাঁঝাডাঙা গ্রামের মো. নুর ইসলামের ছেলে। সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। এলাকাবাসী ও স্বজনদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, ‘ইবরাহিমের কোনো দোষ ছিল না। সে তো কেবল গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিল। সীমান্তে গুলি ছোড়ে কেন? আমরা বিচার চাই।’
এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত, কূটনৈতিকভাবে প্রতিবাদ এবং সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীরা।
১৪৯ দিন আগে
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ঠেলে পাঠানো দুই পরিবারের ৬ সদস্য আটক
ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জের বৈরচুনা সীমান্ত দিয়ে ৬ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ। শনিবার (৫ জুলাই) ভোরে তাদের আটক করে পীরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবির ৪২ ব্যাটালিয়েন কর্মকর্তারা প্রেস বিজ্ঞপতিতে জানান, ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জের বৈরচুনা সীমান্তে বিএসএফ ৬ জনকে আজ ভোরে বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে। এদের মধ্য দুইজন পুরুষ, ২ জন নারী ও ২ শিশু রয়েছে। পরে তাদরে আটক করা হয়েছে। আটকরা দুইটি পরিবারের সদস্য।
আটকদের মধ্যে সজীব হোসেন (৩০) নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কালডাঙ্গা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। হাবিবুরের স্ত্রী খাদিজা খাতুন (২৮), ৮ বছর বয়সি নাতি ইয়ানুর ইসলাম, ১ বছর বয়সি নাতনি সাদিয়া খাতুন এবং একই এলাকার সাতবাড়ীয়া গ্রামের সিদ্দিক মোল্লার ছেলে ইকরাম মোল্লা (৩১) মেয়ে কহিনুর বেগম (২৯)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিজিবিকে জানিয়েছে, কাজের সন্ধানে দালালের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের মুম্বাই গিয়েছিল। বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র যাচাই বাছাই শেষে তাদরে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এব্যাপারে আজ বিএসএফের সঙ্গে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করেছে বিজিবির সংশ্লিষ্টরা।
১৫২ দিন আগে
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে ঠেলে দিলো বিএসএফ
মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে আরও ১৩ জনকে পুশ-ইন করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে বিজিবির নিউ পাল্লাথল বিওপির টহল দল তাদের আটক করেছে।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৬ শিশু রয়েছে।
এর আগে গত ২৪ মে রাতে বিএসএফ বড়লেখার পাল্লাথল সীমান্ত দিয়ে ১২১ জনকে পুশ-ইন করেছিল। পরে বিজিবি তাদের আটক করে পরিচয় শনাক্তের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর পুলিশ তাদের স্বজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
বিজিবির কড়া নজরদারির পরও বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে বিএসএফের পুশ-ইন অব্যাহত রয়েছে। এতে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। এ নিয়ে বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে এ পর্যন্ত মোট ২৮৫ জনকে পুশ-ইনের সময় আটক করেছে বিজিবি।
আরও পড়ুন: বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে পুশ-ইন বিএসএফের
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে উপজেলার নিউ পাল্লাথল বিওপি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ১৩ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করে বিএসএফ। পরে তারা বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে এলাকাবাসীর সহায়তায় বিজিবি তাদের আটক করে। বিজিবি তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করছে।
উত্তর শাহবাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ শুক্রবার বিকালে বলেন, বিজিবি তাদের স্থানীয় একটি স্কুলে রেখেছে। তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ জানান, শুক্রবার ভোরে নিউ পাল্লাথল বিওপির টহল দল সীমান্ত এলাকা থেকে ১৩ জনকে আটক করেছে। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
১৭৪ দিন আগে
বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে পুশ-ইন বিএসএফের
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার অচিন্তপুর সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ। এদের মধ্যে ৩ জন নারী, ৩ জন পুরুষ ও ৯ শিশু রয়েছে। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে তাদের পুশ-ইন করা হয়।
বিজিবি ও পুলিশ জানিয়েছে, বিজিবির বিরামপুরের অচিন্তপুর বিওপির বিপরীতে ৫৭ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গুলশী বিএসএফ ক্যাম্পের ২৯৫/১নম্বর পিলারের পাশদিয়ে এই ১৫ নাগরিককে পুশ-ইন করে।
পুশ-ইন করা নাগরিকরা হলেন- ১। মো. আশোক মোল্লা (৬০) পিতা মৃত উমর মোল্লা, ২। মোছাম্মাৎ হিরিনা বেগম (৫২) স্বামী মো. আশোক মোল্লা ৩। মো. হাসু মোল্লা (৩৪) পিতা মো. আশোক মোল্লা ৪। মো. বিল্লাল মোল্লা (১৬) পিতা হাসু মোল্লা ৫। মোহাম্মদ মোল্লা (১২) পিতা মো. হাসু মোল্লা ৬। আহমেদ মোল্লা (৮) পিতা মো. হাসু মোল্লা ৭। মোছাম্মাৎ রাবেয়া মোল্লা (৪) পিতা হাসু মোল্লা ৮। মো. মনির মোল্লা (৩০) পিতা মো. আশোক মোল্লা ৯। মোছাম্মাৎ ঝরনা খাতুন (২৮) স্বামী মো. মনির মোল্লা ১০। মোছাম্মাৎ সুমাইয়া খাতুন (১১) পিতা মো. মনির মোল্লা ১১। মো. আলমিন মোল্লা (৮) পিতা মো. মনির মোল্লা ১২। মোছাম্মাৎ হুমাইয়া খাতুন (৬) পিতা মো. মনির মোল্লা ১৩। মোছাম্মাৎ খাদিজা খাতুন (৪) পিতা মো. মনির মোল্লা ১৪। মো. ইব্রাহিম মোল্লা (২) পিতা মো. মনির মোল্লা ও ১৫। মোছাম্মাৎ তাজমা বেগম (৪০) স্বামী মৃত হাফিজুল মোল্লা। তারা নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার শীতলপাটি গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: পুশ-ইন বন্ধে ভারতকে আবারও চিঠি দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
অচিন্তপুর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ভোরে সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় বিজিবি সদস্যরা অচিন্তপুর সীমান্তের অভ্যন্তরে এসব নারী, শিশু ও পুরুষদের এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে। এসময় বিজিবি টহলদল তাদের আটক করে ক্যাম্পে আনে। আটদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিরামপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
মো. আশোক মোল্লা (৬০) জানান, তারা গত বছরের ৭ অক্টোবর যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতের মুম্বাই শহরে যায়। সেখানে তারা দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছিল। ঈদুল আজহার দিন (গত ৭ জুন) ভারতের পারমেল থানা পুলিশ তাদের আটক করে তাদের হেফাজতে রাখে। গত ১২ জুন মুম্বাই থেকে বিমানে করে তাদের শিলিগুড়ি বাগডোগড়া বিমানবন্দরে নিয়ে আসে। এরপর বিএসএফ তাদের বিরামপুরের অচিন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে। তারা সবাই একই পরিবারের বলে জানান তিনি।
১৭৪ দিন আগে
নেত্রকোণা সীমান্তে ৩২ জনকে পুশ ইন বিএসএফের
নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরের বিজয়পুরের জংখল এলাকা দিয়ে ৩২ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)
মঙ্গলবার (৩ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিএসএফের পুশইন রকা ৩২ জন আটক করে বিজিবি। এদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ২২ জন মহিলা ও একজন শিশু রয়েছেন।
৩২ জন পুশইনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নড়াইল জেলার কালিয়া থানাধীন ১১ জন। তারা হলেন- মো. রমজান আলী (১৮), নুর ইসলাম সরদার (৪২), আলম সরদার (১৮), মিরাজগাজী (২৩), রোজিনা বানু (৩৫), ছামিরা গাজি (১৪), সিরাজ গাজী (২২), ফনুফা (২০), মাসুদ সরদার (৯), মরিয়ম (১২) ও নাসরিন বেগম (৩২)।
খুলনা জেলার বৈইটাঘাটনা থানার মো. শাকিল ইজাদ্দার (২২), মোসা. সোনিয়া (১৯) ও হালিমা ইজ্জাদার (০২) এবং একই জেলার রূপসা থানার মোসাম্মাৎ কবিতা খাতুন (২০), মোসাম্মাৎ এলিনা বেগম (৩০)।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে ২২ জনকে পুশ ইন করল বিএসএফ
তিনজন করে বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার। তারা হলেন- বাগেরহাটের রামপাল থানার মোসাম্মাৎ হাসনা খাতুন (২৫), মোংলা থানার মোসাম্মাৎ মাহমুদা বেগম (২৮) ও কচুয়া থানার ইভা শেখ (১৮)। সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া ধানার মোসম্মাৎ টুম্পা খাতুন (২২), মোসাম্মাৎ সায়েরা খাতুন (৩০) ও আসমা খাতুন (২৮) এবং যশোর জেলার মনিরামপুর থানার মোসাম্মাৎ তানিয়া খাতুন (২৬), মোসাম্মাৎ রেখা খাতুন (২৬) ও ঝিকরগাছা থানার মোসাম্মাৎ পরভিনা শেখ (৩০)।
ঢাকা জেলার দুজন দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ফাতেমা (২৫) ও ডেমরা থানার রিতা আক্তার (৩০)। এছাড়া একজন করে রয়েছেন দিনাজপুরের কোতোয়ালী থানার মো. জাকারিয়া (৩০), টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার, মোসাম্মাৎ সাবিনা বেগম (৩৫), শেরপুরের নকলা থানার মো. মনঞ্জুরুল ইসলাম (৩৭), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার জাহানারা বেগম (৪০) এবং জামালপুরের মেলান্দহ থানার জুথি আক্তার (১৭)।
বিজিবি’র নেত্রকোণা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল আওয়াল এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পুশ ইন করার ব্যক্তিদের বাড়ি টাঙ্গাইল, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর নড়াইল, ঢাকা, জামালপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, শেরপুর ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তাদের দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে তিনজন ভারতীয়সহ পুশ ইন করা ৭৮ জন উদ্ধার
১৮৩ দিন আগে
কুমিল্লা সীমান্তে ১৩ নারী-শিশুকে পুশ-ইন বিএসএফের
কুমিল্লা সীমান্তে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৩ বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে ভারত থেকে ঠেলে দিয়েছে(পুশ-ইন) ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বৃহস্পতিবার (২২ মে) কুমিল্লা সদর উপজেলার গোলাবাড়ি সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা ১০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএসএফের পুশইন করার চেষ্টা অনাকাঙ্ক্ষিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি জনান, ভোর ৪টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার গোলাবাড়ি সীমান্ত এলাকার দিয়ে অবৈধভাবে বিএসএফ নারী-শিশুসহ ১৩ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করে।
অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ৬০ বিজিবি টহলদল তাদের আটক করে। এদের মধ্যে পুরুষ ৩ জন, নারী ৩ জন এবং ৭জন শিশু রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে। আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের বিজিবি’র হেফাজতে রাখা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে বিজিবির এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
১৯৬ দিন আগে
সীমান্তে চোরাকারবারিদের হামলায় দুই বিজিবি সদস্য আহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে চোরাকারবারিদের হামলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৭ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে জগতবেড় ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেছে বিজিবি।
আহতরা হলেন— নাজিরগোমানী বিজিবি ক্যাম্পের সদস্য অনুপ কুমার (২৮) ও মনিরুজ্জামান (৩০)। দুজনই বর্তমানে পাটগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিজিবি জানায়, রবিবার দিবাগত রাতে মোহাম্মদপুর সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে মোটরসাইকেল নিয়ে সীমান্তে যান দুই চোরাকারবারী। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় নাজিরগোমানী বিজিবি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা। বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ভারত থেকে পাচার করা মাদকদ্রব্যের ব্যাগ পিঠে নিয়ে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান দুই চোরাকারবারী।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, আটক ১
পরে মোটরসাইকেলটি জব্দ করে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার সময় মোহাম্মদপুর এলাকায় পথরোধ করে বিজিবির সদস্যদের উপর হামলা চালায় চোরাকারবারীদের একটি দল।
এতে ওই দুই বিজিবি সদস্য আহত হন। পরে তাদের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার সরকার (তদন্ত) বলেন, ‘এই ঘটনায় নাজিরগোমানী ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার হাসিবুর রহমান বাদী হয়ে জগতবেড় ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন চোরাকারবারীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।’
১৯৯ দিন আগে
সীমান্তে ভারতের ‘পুশ ইন‘ সুপরিকল্পিত ও ন্যাক্কারজনক: বিজিবি ডিজি
ভারত তাদের দেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়াকে (পুশ ইন) মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে দাবি করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে বিজিবি মহাপরিচালক এ কথা বলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে ভারতের পুশ-ইনের ঘটনা সুপরিকল্পিত ও ন্যাক্কারজনক বলেও মন্তব্য করেন বিজিবি ডিজি।
তিনি বলেন, ‘গত ৭ ও ৮ মে দুই দিনে আমরা ২০২ জনকে পেয়েছি। তাদের বিএসএফ বিভিন্নভাবে জনবসতি নেই—এমন সব জায়গায় পুশ-ইন করেছে। আপনারা জানেন, সীমান্তের প্রতিটি জায়গা শারিরীকভাবে দখলে রাখা যায় না। যেসব জায়গায় কেউ ছিলো না, সেখানেই পুশ-ইন করেছে।’
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ৮১ ভারতীয়কে পুশ-ইন করল বিএসএফ
তাদের নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানতে চাইলে ডিজি বলেন, ‘আমরা পুলিশ ভেরিফিকেশনে যাদের বাংলাদেশি পেয়েছি, তারা গত ২ থেকে ৩ বছর মধ্যে এমনকি অনেকে ২০ থেকে ২৫ বছর আগে নানান কাজে ভারতে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকেরই সন্তান-সন্তানদি আছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ভারতের আধারকার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস ছিল। ভারতের পুলিশ বা বিএসএফ সেগুলো রেখে দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক।
পুশ-ইনের পর বাংলাদেশি নাগরিকদের নিজ নিজ এলাকায় ফেরত পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে আটকদের মধ্যে ৩৯ জন রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে। তারা আমাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। তাদের আমরা ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছি।’
ডিজি বলেন, ‘এরমধ্যে একটি উদ্বেগজনক বিষয় হলো কিছু রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে—যারা ভারতের ইউএনএইচসিআর (জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশন) এর তালিকাভুক্ত শরণার্থী। তাদের আইডি কার্ডও আমাদের কাছে আছে।’
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সামনে ইউএনএইচসিআর-এর পরিচয়পত্রগুলো তুলে ধরেন।
আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সকলকে জানাতে চাই, এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। যে দেশের শরণার্থী সেখানেই তাদের রাখার দরকার ছিল। আমরা এমন পাঁচজন শরণার্থী পেয়েছি।’
বিএসএফ বরাবরের মতো এ অভিযোগ অস্বীকার করছে জানিয়ে ডিজি বলেন, ‘তারা (বিএসএফ) বলছেন, এ বিষয়ে তারা জানেন না। হয়তো তারা নিজেই চলে গিয়েছিল ভারতে, হয়তো তারা নিজেরাই ফেরত আসছে–এ ধরনের কথা বলছে। এটা আমরা মানছি না। আমরা পতাকা বৈঠক করে প্রতিবাদ লিপি দিয়েছি। একই সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেছি৷ তারা যদি বাংলাদেশি হয়—তাহলে আমরা তাদের গ্রহণ করব। তবে সেটি এমন লুকোচুরির মাধ্যমে না হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবেই করা হবে বলে জানান বিজিবির ডিজি।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা জানতে পেরেছি খাগড়াছড়ির দিকে আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনের মতো শরণার্থী ওপারে আছে। যাদেরকে বিএসএফ পুশ-ইন করার চেষ্টা করেছিল। আমাদের টহল বাড়ানোয় ও সীমান্তে সজাগ দৃষ্টি থাকায় গত দুই দিন ধরে তারা চেষ্টা করেও পারছে না।’
ডিডি বলেন, স্থলপথ দিয়ে পুশ-ইন দিতে না পেরে বিএসএফ সুন্দরবনের দুর্গম মান্দারবাড়িয়া চরে ভারতীয় একটি জাহাজে করে ৭৮ জনকে ফেলে গেছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে ভারতের পুশ-ইন: সরকারের নীরবতায় ক্ষোভ ঝাড়লেন রিজভী
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করেছে। তাদের নিজ নিজ এলাকায় পাঠানোর প্রক্রিয়ায় আছে। আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি, একই সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিজিবি ডিজি বলেন, ‘মূলত খাগড়াছড়ির বানছগি, জামিনি পাড়া, খেদাছড়া সীমান্ত ও কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারির চর অঞ্চল এবং সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া দিয়ে পুশ-ইনের ঘটনা ঘটেছে। বিএসএফ যেসব এলাকায় জনবসতি নাই বা টহল যেতে সময় লাগে সেসব এলাকা টার্গেট করে পুশ-ইনের চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।
২০৬ দিন আগে