সীমান্ত
বিএসএফের গুলিতে লালমনিরহাট সীমান্তে যুবক নিহত
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আহত লিটন মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১১টায় ভারতের কুচবিহার জেলা সদরের এমজেএম নামে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
লিটন মিয়া আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মো. মোকছেদুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
বুধবার(২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, বিএসএফ’র গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মারা গেছেন। দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বাংলাদেশির লাশ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় ভারতের জলপাইগুড়ি-৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বারথার ক্যাম্পের টহল সদস্যদের গুলিতে লিটন মিয়া আহত হন। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে নিয়ে এমজেএম নামক হাসপাতালে ভর্তি করালে বুধবার তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর মেঘনা নদী থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
নাটোরে আনসার সদস্যের লাশ উদ্ধার, ভাবি আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্ত থেকে অস্ত্র ও গাঁজা জব্দ; আটক ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্র ও গাঁজা জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিন সন্ধ্যায় জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চকপাড়া সীমান্তের নলডুবি ব্রিজ এলাকা থেকে অস্ত্র ও গাঁজাসহ ওই ব্যক্তিকে আটক করে বিজিবি।
আটক শফিকুল ইসলাম (৩৫) নলডুবি শান্তিরমোড় এলাকার ভদু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ. লীগ নেতার প্রাইভেটকারে ককটেল হামলা, আহত ২
আটকের সময় তার কাছ থেকে ১টি অবৈধ পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি, ২টি ম্যাগাজিন ও ২ কেজি গাঁজা জব্দ করে বিজিবি।
বিজিবি জানায়, অবৈধ অস্ত্রের চোরাচালান হতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চকপাড়া বিওপির হাবিলদার সানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবির একটি দল ১৮৩/৪ এস নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে বাংলাদেশের আনুমানিক ৩০০ গজ অভ্যন্তরে নলডুবি ব্রিজ এলাকায় যানবাহনে তল্লাশি অভিযান শুরু করে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৯
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যানে থাকা শফিকুলের ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র ও গাঁজা জব্দ করে তাকে আটক করে বিজিবি সদস্যরা।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করার কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার কমেছে আমের মুকুল, লোকসানের আশঙ্কায় কৃষকরা
বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলন: সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার অঙ্গীকার
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হয়েছে।
ঢাকার বিজিবি সদর দপ্তরে ৫ মার্চ শুরু হওয়া সীমান্ত সম্মেলনটি জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন (জেআরডি) দলিল সইয়ের মধ্য দিয়ে আজ শনিবার (৯ মার্চ) শেষ হয়েছে।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে যৌথ বিবৃতি পাঠ করা হয়।
এতে বলা হয়, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিবেচনায় রেখে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী নীতিন আগরওয়ালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
একটি মৌলিক উদ্বেগের পাশাপাশি চোরাচালান, মানবপাচার, অসাবধানতাবশত সীমান্ত অতিক্রম ও যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের পাশাপাশি নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ, সীমান্ত হাট বৃদ্ধি, আটকে থাকা আইসিপি/এলসিপি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সমাপ্তকরণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের সময়াবদ্ধ সম্মতি প্রদানের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিজিবি মহাপরিচালক।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত
গত ২২ জানুয়ারি সিপাহী মো. রইসউদ্দিনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে বিএসএফ মহাপরিচালক আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন।
সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বিএসএফ ও বিজিবির সমন্বিত প্রচেষ্টায় সন্তোষ প্রকাশ করে উভয়েই সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি) কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উভয় পক্ষ যৌথ টহল, নজরদারি, জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার, যথাযথ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ, আন্তর্জাতিক সীমান্তের (আইবি) পবিত্রতা সম্পর্কে সীমান্তের জনগণকে শিক্ষিত করা এবং অপরাধী বা বাসিন্দাদের আইবি অতিক্রম করা এবং সঠিক সময়ে তথ্য আদান-প্রদান করে নেওয়ার মাধ্যমে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বা আহত শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে।
উভয় পক্ষ আইবি লঙ্ঘন বা অবৈধ অতিক্রম বা অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, মানব পাচার, সীমান্ত স্তম্ভ উপড়ে ফেলা এবং অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত অপরাধ থেকে বিরত থাকার জন্য সীমান্তের জনগণকে সংবেদনশীল রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে। সার্বিকভাবে সীমান্তের কাঙ্ক্ষিত পবিত্রতা রক্ষার আশ্বাস দিয়েছে দু'পক্ষই।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ হস্তান্তর
প্রতিনিধি দলের উভয় নেতা আন্তঃসীমান্ত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিষয়ে তাদের বিদ্যমান 'জিরো টলারেন্স' নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তাাৎক্ষণিক তথ্যের মাধ্যমে আন্তঃসীমান্ত চলাচল রোধে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণে সম্মত হন।
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি যশোর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য সিপাহী মো. রইসউদ্দিনের মৃত্যুতে বিএসএফ মহাপরিচালক গভীর শোক প্রকাশ করেন।
তবে সিপাহী রইসউদ্দিনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিএসএফের ডিজি নীতিন আগরওয়াল সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।
সিপাহী রইসউদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, এটি মূলত পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নয়। উভয়পক্ষের অস্পষ্টতা, কুয়াশা ও বিভ্রান্তির মধ্যে এটি ঘটেছে। ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ থেকে ইউনিফর্ম বিজিবি ও বিএসএফ সদস্য বা বাংলাদেশ ও ভারত উভয় বেসামরিক নাগরিকের উপর যেকোনো হত্যা এড়াতে সমস্ত প্রচেষ্টা থাকবে।
বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগরওয়াল বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবং ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিক।
আরও পড়ুন: স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
ভারত সীমান্তের ভেতরে পড়ে থাকা বাংলাদেশি কিশোরের লাশ হস্তান্তর
ভারত সীমান্তের ভেতরে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকা বাংলাদেশি কিশোর মাছুম আহমদের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে আলোচনা করে শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরের লাশ বাংলাদেশে নিয়ে আসে।
শুক্রবার মাছুম আহমদের লাশ বিজিবি, বিএসএফ ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী থানা ও বাংলাদেশের কানাইঘাট থানা পুলিশের উপস্থিতিতে উভয় দেশের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পরিবারের সম্মতিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
কিশোর মাছুম আহমদের (১৪) সিলেটের কানাইঘাটের বাসিন্দা।
নিহতের বাবা কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির সীমান্তবর্তী সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের নুরুল হক জানান, মাছুম আহমদকে পরিকল্পিতভাবে অত্যন্ত পৈশাচিক কায়দায় নির্মমভাবে হত্যা করে তার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করা ডান হাতটিও পাওয়া যায়নি। মাথার সামনে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে।
লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ও সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার ইলিয়াছ হোসেন।
তবে কীভাবে ও কেন মাছুমকে খুন হয়েছে এর সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার ইছামতি নদী থেকে বিএসএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার
পলাশবাড়ীতে ট্রাকচাপায় ভ্যানচালক নিহত, আহত ৪
কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ভারতীয় নাগরিক
মাদক নিয়ে বাংলাদেশে আটকা পড়েছিলেন মো. দিদারুল ইসলাম নামে এক ভারতের নাগরিক। এক বছর কারাভোগ শেষে শনিবার দুপুর ২টায় দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট দিয়ে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
দিদারুল ইসলামকে ভারতের হিলি অভিবাসন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন বাংলাদেশের হিলি অভিবাসন পুলিশ। এসময় সেখানে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দিদারুল ভারতের পশ্চিবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার খারুন (ভীম) গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে।
আরও পড়ুন: ২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
বাংলাদেশের হিলি অভিবাসন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, ভারতীয় নাগরিক দিদারুল সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এসময় বিজিবি সদস্যরা তাকে মাদকসহ আটক করে। এই ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় মাদক মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে দিনাজপুর জেল হাজতে পাঠায়।
ওসি আরও জানান, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত দিদারুলকে অনুপ্রবেশের দায়ে এক বছর ও মাদক মামলায় এক বছর সাজা দেন। একই সঙ্গে দুই মামলার সাজা চলায় এক বছরেই তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। পরে দুই দেশের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় শনিবার দুপুরে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে ভারতের হিলি অভিবাসন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার জানান, বাংলাদেশের হিলি অভিবাসন পুলিশ দিদারুলকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর আমরা আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ২৫ বাংলাদেশি
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১২ বাংলাদেশি
মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার সীমান্তে আগের যে ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তেমন পরিস্থিতি আর তৈরি হবে না বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। প্রতি বছর ৩৫ হাজার নতুন রোহিঙ্গা শিশু জন্মগ্রহণ করে অর্থাৎ প্রতি বছর এই সংখ্যাটা বাড়ছে। আমাদের পক্ষে আর কোনো রোহিঙ্গাকে গ্রহণ কিংবা আশ্রয় দেওয়া সম্ভবপর নয়। মিয়ানমার সীমান্তে এর আগে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, আশা করব সেই ধরনের পরিস্থিতির আর হবে না।'
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি শিরিষ তলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) আয়োজিত অমর একুশে বই মেলায় 'মহান একুশে চসিক স্মারক সম্মাননা পদক' প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসানের সাক্ষাৎ
মিয়ানমারের জান্তা সরকার সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে তারা আবারও অভিযান চালাবে, অনেক রোহিঙ্গা সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে, সরকার এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবে- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘আপনারা জানেন কয়েকদিন আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মিউনিখে সিকিউরিটি কনফারেন্সে গিয়েছিলেন। সেখানেও আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের যেই প্রতিনিধি দল আসছে, এটি আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীরতর করার ক্ষেত্রে সহায়ক। সেখানে নিশ্চিতভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আমরা আলোচনা করব।’
তিনি বলেন, ‘রাখাইনে অভিযান পরিচালনা করাটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, কিন্তু সেটির কারণে আমাদের এখানে উত্তেজনা এর আগে তৈরি হয়েছে, এবং সেখানকার মর্টার শেল আমাদের দেশে এসে পড়েছে, দুইজন নিহতও হয়েছে। ৩৩০ জনের মতো তাদের সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আমাদের দেশে এসেছিল, আবার তাদের ফেরত নিয়ে গেছে। মায়ানমারের রাষ্ট্রদুতকে ডেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সেটির প্রতিবাদ আমরা জানিয়েছি। সুতরাং আমরা আশা করব এর আগে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা আর হবে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের এর আগে মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, তাদের কীভাবে ফেরত পাঠানো যায় আমরা সে নিয়েই কাজ করছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সমস্ত রাষ্ট্রসমূহের সহায়তা কামনা করেছি, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে মিয়ানমারের সরকারের ওপর যাতে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করা হয়, সেজন্য ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমরা আলাপ আলোচনা করেছি।’
বই মেলায় ড. হাছান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করার পর ছাত্রলীগ প্রথম যে ১০ দফা দেয়, তার অন্যতম ছিল- বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে হবে। সেই দশ দফার ভিত্তিতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে তরুণ নেতা শেখ মুজিবসহ ছাত্র নেতারা জেলায় জেলায় সফর করেছিলেন। এই অনুম্মোচিত ইতিহাসগুলো আজকে ধীরে ধীরে উম্মোচিত হচ্ছে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন যে, পাকিস্তান রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যে বাঙালি জাতির মুক্তি নিহিত নেই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম
আমরা আমাদের সীমান্তের ভেতরে আর কাউকে ঢুকতে দেব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের সীমান্তে ভেতরে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘৩৩০ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ, সামরিক বাহিনী এবং সরকারি কর্মকর্তারা যারা আমাদের দেশের সীমান্তের কাছাকাছি ছিল (১০ থেকে ১৫ মাইল), তারা পালিয়ে আমাদের দেশে প্রবেশ করেছিল। আমাদের দেশ তাদেরকে এক জায়গায় রেখে মিয়ানমারকে জানায়। সেই দেশ থেকে ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছি। খুব সুন্দর ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদেরকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছি, তাদেরকেও আমরা বলছি এবং মিয়ানমার সরকারকেও বলছি, বিশ্বের সমস্ত দেশকেও আমরা বলছি, যত দ্রুত এদেরকে আমাদের দেশ থেকে তাদের দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি। আমরা মনে করি আমাদের সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।’
আরও পড়ুন: ট্রাফিক পুলিশের বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে সিটি মেয়রদের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
নির্বাচন ও বিএনপিকে নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'এইবার তো তারা (বিএনপি) নির্বাচনই করেননি। কাজেই তারা তো এখন বিরোধী দল বলে দাবি করতে পারেন না। ছোট ছোট যে রাজনৈতিক দল আছে, বিএনপির অবস্থানও আজ তেমন।’
বিএনপি নেতাদের জামিন প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খান বলেন, 'বিচারক মনে করেছেন তাদের জামিন দিতে হবে, তাদের জামিন দিয়েছেন, এখানে আমাদের কিছু করার নেই, বলারও নেই।'
আরও পড়ুন: কোনো গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দলকে দমনে দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করা হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সীমান্তে নিরাপত্তার অবনতি 'উদ্বেগজনক': এমএসএফ
সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি 'উদ্বেগজনক' বলে মন্তব্য করেছে মেডিসিনস স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স বা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ)।
সংস্থাটি বলছে, এটি কেবল সীমান্তে বসবাসকারীদের সরাসরি প্রভাবিত করে না, বরং অতীতের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দাদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটাতে পারে।
শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে এক বিবৃতিতে এমএসএফ বাংলাদেশের হেড অব মিশন অ্যান্তোনিনো কারাডোনা বলেন, ‘যাদের চিকিৎসা প্রয়োজন তাদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এমএসএফ।’
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, সাধারণ চিকিৎসাসংক্রান্ত সমস্যাগুলো ছাড়াও সহিংসতা সম্পর্কিত আঘাতপ্রাপ্ত আরও বেশি লোককে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্যাম্পে জীবনযাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দৈনন্দিন চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি, সহিংসতার স্বীকার ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবায় প্রাধান্য দেয় এমএসএফ।
প্রয়োজন অনুযায়ী এর পরিধি আরও বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে এমএসএফ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বাংলাভাষী কূটনীতিকদের পেয়ে গর্বিত: রুশ রাষ্ট্রদূত
কক্সবাজারের ১০টি স্থাপনায় এমএসএফ টিমগুলো ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিশাল স্বাস্থ্য চাহিদা মেটাতে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যক রোগীর জন্য বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে আসছে।
কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা, দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসা, মনোসামাজিক সহায়তা ও নারীদের স্বাস্থ্যসেবা।
এমএসএফ রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা মানবিক সহায়তার অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী। এদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে বাস করে।
এমএসএফের মতে, প্রাথমিক জরুরি অবস্থার কয়েক বছর পার হলেও মানুষ এখনও একই জনাকীর্ণ এবং প্রধানত বাঁশের আশ্রয়কেন্দ্রে বাস করছে। এরা প্রায় সম্পূর্ণরূপে সাহায্যের উপর নির্ভরশীল এবং ভবিষ্যতের জন্য খুব সামান্য আশা রয়েছে।ৎ
আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. কামাল চৌধুরীর সঙ্গে প্রবাসীদের মতবিনিময়
পাটগ্রাম সীমান্তে ৪ রোহিঙ্গা আটক
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে চার রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে গেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
আটকরা হলেন- আব্দুল্লাহ, তার স্ত্রী শরিফা বেগম, তাদের মেয়ে রিনুস বিবি ও আমেনা বেগম।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, শুক্রবার বিকালে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের সীমান্তের করিডোর পোস্ট এলাকায় রোহিঙ্গারা ঘোরাফেরা করছিল।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসাশিক্ষক আটক
তাদের সন্দেহ হওয়ায় ৫১টি বিজিবির টহল দল তাদের আটক করে। পরে বিজিবি তাদের পাটগ্রাম থানায় সোপর্দ করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা মিয়ানমারের নাগরিক ও কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে স্বীকার করেছেন।
এর আগে সোমবার বিকালে পাটগ্রাম উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের পানবাড়ি সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরির সময় রমিদা বেগম নামে এক রোহিঙ্গা নারীকে আটক করে আধা সামরিক বাহিনী।
ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ আরও জানান, পুলিশ হেফাজতে থাকা রোহিঙ্গাদের স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রাকচাপায় শিশুর মৃত্যু, চালক আটক
যশোরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দে আতঙ্ক টেকনাফে
মিয়ানমার থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, ‘শুক্রবার রাতে সীমান্তের ওপারে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। শনিবার সকাল থেকেই গুলির মাত্রা বাড়তে থাকে।’
আরও পড়ুন: নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা ‘ইয়াবা কারবারি’ নিহত
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যাচ্ছেন এবং মাছ চাষিরা ঘেরে যেতে পারছেন না।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে একটি মর্টার শেল এসে পড়ে।
তিনি বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে সীমান্ত শান্ত থাকলেও শনিবার থেকে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।’
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে দুই সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তার সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তুমুল লড়াই, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: ২০১৭ সালের চুক্তির ভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অঙ্গীকারবদ্ধ মিয়ানমার: দেশটির মন্ত্রী
সীমান্তে সংঘাতের আশঙ্কায় বুধবার দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমারের তিন শতাধিক সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, সোমবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপায়তলী গ্রামের আকেটি বাড়ির রান্নাঘরে মিয়ানমারের দিক থেকে আসা মর্টার শেল আঘাত করে। এতে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা পুরুষ নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বছরের ২য় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ