কমিটি গঠন
এনবিআর আন্দোলনে সরকারি ক্ষতি নিরূপণে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে দেশের রাজস্ব ও অর্থনৈতিক খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা এক আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ এবং কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আদেশে আরও জানানো হয়, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ও রাজস্ব আদায় ব্যাহত হওয়ার কারণে রাজস্ব হারানোসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রভাব পর্যালোচনা করবে এ কমিটি।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে বদলির আদেশ ছিঁড়ে ফেলায় বরখাস্ত ৮ এনবিআর কর্মকর্তা
আইআরডির যুগ্মসচিব সৈয়দ রবিউল ইসলামকে আহ্বায়ক ও উপসচিবকে (প্রশাসন-১) সদস্যসচিব করে গঠিত এ কমিটিতে অর্থ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় (চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ ও এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব (প্রশাসন-১) কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
ওই আদেশে কমিটির কার্যপরিধি নিয়ে বলা হয়েছে, গত ২৮ ও ২৯ জুন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস বন্ধ থাকার কারণে যে পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ নিরূপণ; দুই মাসব্যাপী চলমান ধর্মঘট ও কর্মবিরতির ফলে কাস্টম হাউস, ভ্যাট অফিস, বন্ড কমিশনারেট, কর অঞ্চল ও আপিল সংস্থাসমূহে রাজস্ব আদায়ে যে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে, তার পরিমাণ নির্ণয় এবং দীর্ঘ ২ মাসব্যাপী কর্মসূচি পালনের কারণে শুল্কায়ন কার্যক্রম এবং সকল স্থলবন্দর ও নৌ-বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ক্ষয়ক্ষতিসহ দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
এদিকে, রাজস্ব কর্মকর্তাদের কর্মবিরতিকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এতে সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘ্ন এবং আমদানি-রপ্তানিকারকদের ওপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন তারা।
১৪১ দিন আগে
কমিটি গঠনের দুই দিনের মধ্যে ফরিদপুরের এনসিপির দুই নেতার পদত্যাগ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় উপজেলার ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) সমন্বয় কমিটি গঠনের মাত্র দুই দিনের মধ্যে দুই নেতা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
শুক্রবার (৬ জুন) বিকালে ফেসবুকে এনসিপির সদ্য ঘোষিত কমিটি থেকে পৃথক স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
তারা হলেন, ভাঙ্গা উপজেলার ১৭ সদস্যের এই কমিটির সদস্যপদ থেকে রিফাত আতিক ও সাজ্জাদ খান পদত্যাগ করেছেন।
গত বুধবার এই কমিটির অনুমোদন দেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
এই কমিটিতে মো. আশরাফ শেখকে করা হয়েছে প্রধান সমন্বয়কারী। যুগ্ম সমন্বয়কারী করা হয়েছে দুজনকে এবং অন্য ১৪ জনকে রাখা হয়েছে সাধারণ সদস্য হিসেবে। কমিটি আগামী ৩ মাস অথবা আহ্বায়ক কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
দত্যাগকারী রিফাত আতিক তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘সদ্যঘোষিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভাঙ্গা উপজেলা (ফরিদপুর) সমন্বয় কমিটি থেকে স্বেচ্ছায় এবং সজ্ঞানে পদত্যাগ করছি!’
তিনি আরও লিখেন, ‘আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম বিবেকের কারণে। কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আমার ইচ্ছা নেই। আমি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সরকারি প্রকল্পে কাজ করি। আমার পরিবারের সদস্যরাও সরকারি চাকরিতে যুক্ত। এ কারণে আমার পক্ষে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। আমার সঙ্গে এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে কোনো যোগাযোগ না করেই কমিটিতে রাখা হয়েছে। আমি যে এনসিপির নেতা হব, তা আমি জানতাম না। কমিটিতে নাম দেখার পরই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সাজ্জাদ খান তাঁ ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আমি মো. সাজ্জাদ খান, সদস্য ফরিদপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আহ্বায়ক কমিটি (ভাঙ্গা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র)। আমি এই কমিটি বয়কট করলাম এবং আমার নাম এই কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। কেন্দ্রের যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের বলতে চাই, যে কমিটিতে বৈষম্য আছে, বিপ্লবীদের বাদ দিয়ে তেলবাজদের জায়গা দেওয়া হয়েছে, সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
এ ব্যাপারে সাজ্জাদ খান বলেন, ‘এই কমিটির দায়িত্ব শুধু একটা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা। ভাঙ্গার আন্দোলনে যারা সংগ্রামী ছিলেন, সেই বিপ্লবীদের জায়গা দেওয়া হয়নি সমন্বয় কমিটিতে। বিপ্লবীরা না থাকলে বিপ্লবীদের খুঁজে বের করবে কীভাবে? তাই আমি অভিমান করে পদত্যাগ করেছি।’
এ প্রসঙ্গে এমসিপির ফরিদপুর জেলার কমিটি গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয় কমিটির অন্যতম নেতা সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ওরা দুজনই তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত কারণ দেখে পদত্যাগ করেছে, তাছাড়া কেউ যদি রাজনীতি করতে না চায়, সেটা তো তার নিজস্ব ব্যাপার।
তিনি বলেন, আগামীতে কমিটি দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা আরও সতর্ক হব।
১৮০ দিন আগে
কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ ড. ইউনূসের
আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, পরিবহন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনকে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, রবিবার (৪ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই নির্দেশ দেন।
অবস্থার পরিবর্তন হওয়া উচিৎ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা দেখছি কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে এসব কাঁচা চামড়া বিক্রির অর্থের ওপর হকদার এই সমাজের দরিদ্র মানুষগুলো সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন।’
কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ন্ত্রণে একটি সিন্ডিকেট রয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কোনো সিন্ডিকেটের কারণে মানুষ যাতে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
কোরবানির পশু পরিবহনের সময় ও লেনদেনের সময় যেন কোনো ধরনের নিষ্ঠুরতা না হয়, সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে ইটিপির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন অধ্যাপক ইউনূস।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের অবস্থার পরিবর্তন না হলে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠন সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বকশ, বেজা ও বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি।
২১৪ দিন আগে
ড্যাপ বাস্তবায়নে সরকারের উপদেষ্টা কমিটি গঠন
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক প্রণীত ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) বাস্তবায়ন মনিটরিং ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধনীর সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করেছে সরকার।
সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কমিটি গঠন করা হয়। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
সাত সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ভূমি উপদেষ্টাকে। এছাড়াও কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সংশোধিত ড্যাপ বাতিলের দাবি আবাসন ব্যবসায়ীদের, আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে মনে করছেন পরিকল্পনাবিদরা
এছাড়া সহায়তাদানকারী কর্মকর্তা হিসেবে কমিটিতে থাকছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব এবং সেতু বিভাগের সচিব।
কমিটিতে ‘সচিব’ বলতে জ্যেষ্ঠ সচিবও অন্তর্ভুক্ত হবেন বলেও জানানো হয়েছে।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক প্রণীত ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) বাস্তবায়ন মনিটরিং ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধনী আনয়নের সুপারিশ করা। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। কমিটির সভা প্রয়োজন অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ড্যাপ ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় সংশোধন চান আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা
৩৫৪ দিন আগে
মিল্ক ভিটার অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন
মিল্ক ভিটা নামে পরিচিত বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের জন্য ছয় সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০২ ও ২০১৩ সালে সংশোধিত সমবায় সমিতি আইন ২০০১ অনুযায়ী সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা তদারকি ও নির্বাচন পরিচালনার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার কাছে ‘অর্থনীতির শ্বেতপত্র’ কমিটির প্রতিবেদন জমা
এতে বলা হয়, কমিটির চেয়ারপারসন করা হয়েছে কমান্ডার জহুরুল আলমকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ থেকে একজন উপসচিব বা সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রতিষ্ঠান-২), মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব এবং সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক।
এছাড়া সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জেড ওয়াই খান মজলিশ ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
৩৬৩ দিন আগে
আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের আদেশ হাইকোর্টের
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির ক্ষেত্রে দরকষাকষির সকল নথিপত্র (ডকুমেন্টস) আগামী এক মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চুক্তিটির সার্বিক দিক বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদানির আলোচিত বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি অসম দাবি করে তা বাতিল অথবা পুনঃমূল্যায়ন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুমের করা রিটের শুনানি শেষে রুলসহ এই আদেশ দেন আদালত।
হাইকোর্ট রুলে জানতে চেয়েছেন, অসম, অন্যায্য ও দেশের স্বার্থ পরিপন্থী বলে দাবি করা এই চুক্তিটি কেন বাতিল করা হবে না।
আরও পড়ুন: আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট
সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ওই কমিটিকে বিদ্যুৎ চুক্তিটির সার্বিক দিক বিশ্লেষণ করে দেশের স্বার্থ পরিপন্থী বিষয়গুলো চিহ্নিত করে আগামী ২ মাসের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরেকটি কমিটি করতে বলেছেন হাইকোর্ট। ওই কমিটিকে চুক্তিটির সম্পাদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে অনুসন্ধান করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম। এসময় রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান, আফরোজা ফিরোজ ও কামরুন মাহমুদ।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম পিডিবির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ বিষয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। সে নোটিশে তিন দিনের মধ্যে চুক্তি সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়। তা না হলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: আদানির সময়সীমা নিয়ে আমরা খুবই মর্মাহত: প্রেস সচিব
এক পর্যায়ে লিগ্যাল নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সে রিটে ‘আদানি গ্রুপের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিকে অসম, অন্যায্য ও দেশের স্বার্থ পরিপন্থী উল্লেখ করে চুক্তির শর্ত সমূহ সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সংশোধন করার কথা বলা হয়। আদানি গ্রুপ তাতে রাজি না হলে চুক্তিটি বাতিল করার জন্য রিটে সরকারের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আদানি গোষ্ঠী ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় এক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই বাংলাদেশে সরবরাহ করে।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে সেই চুক্তি হয়। শুরু থেকেই এই বিদ্যুতের দাম নিয়ে বিতর্ক ওঠে।
আরও পড়ুন: গোপনে আদানি গ্রুপের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা
৩৮০ দিন আগে
দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগে বাছাই কমিটি গঠন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগে সুপারিশ দিতে বাছাই কমিটি গঠন করেছে সরকার। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হককে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার (১০ নভেম্বর) কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আদেশে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ দিতে ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪’ এর ৭ ধারা অনুযায়ী এই বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন দুদক চেয়ারম্যানসহ দুই কমিশনার
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম ও মো. মাহবুব হোসেন (সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব)।
বাছাই কমিটি কমিশনার নিয়োগে সুপারিশ দিতে উপস্থিত সদস্যদের কমপক্ষে ৩ জনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কমিশনারের প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে ২ জন ব্যক্তির নামের তালিকা প্রণয়ন করবে। এরপর আইনের ধারা ৬-এর অধীনে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বা হয়, কমপেক্ষে ৪ জন সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই বাছাই কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে।
‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪’ অনুযায়ী, তিনজন কমিশনারের সমন্বয়ে দুদকের কমিশন গঠিত হয়। তাদের মধ্যে থেকে একজন চেয়ারম্যান হন। পাঁচ বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন কমিশনাররা।
গত ২৯ অক্টোবর দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ও কমিশনার (অনুসন্ধান) মোছা. আছিয়া খাতুন পদত্যাগ করেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আরইবির অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতার আন্দোলন দমাতে দুদকের পদক্ষেপ
৩৮৯ দিন আগে
পলিথিনের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে তদারকি কমিটি গঠন
পলিথিন শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কার্যক্রম তদারকির জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় স্থাপন করা হবে: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
পলিথিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নেতৃত্বে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও আইন বিভাগ)। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- যুগ্মসচিব (পরিবেশ-১), উপসচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ-১ ও ২) এবং সিনিয়র সহকারী সচিব (পরিবেশ-৩)।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন নিষিদ্ধ করতে সারা দেশের কার্যকর কার্যক্রমগুলো তদারকি করবে কমিটি। এটি সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং প্রয়োজনে মাঠও পরিদর্শন করবে।
পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তর আলাদা কমিটি গঠন করবে। এই কমিটি বিকাল ৫টার পর কার্যকরী কার্যক্রমের প্রতিদিনের হালনাগাদ তথ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটির কাছে পাঠাবে।
আরও পড়ুন: যানজট নিরসনে রাস্তা ও পার্কিংয়ের স্থান বাড়ানোর নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
৪০১ দিন আগে
শ্রম-সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন: শ্রম উপদেষ্টা
আরএমজি ও নন-আরএমজি সেক্টরের শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যালোচনার শ্রম-সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আরএমজি ও নন-আরএমজি সেক্টরের শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, উপদেষ্টা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ সংস্কারে শিগগির কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি নিয়ে আজকে ৬ জন উপদেষ্টাকে নিয়ে একটি জরুরি সভা করেছি। সেখানে বেশি কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরআগে কেবিনেট মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল একটি পর্যালোচনা কমিটি বা পর্যবেক্ষণ কমিটি করব। আসলে শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা নিরশনে যেসব কমিটি আছে, সেগুলো বিভিন্ন কারণে বিগত সরকারের আমলে শ্রমঅধিদপ্তর ও শ্রম আদালতের ওপর শ্রমিকরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। সেটা ফিরিয়ে আনতে হবে কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে। সেটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, আপাতত শ্রমিকরা যেসব সমস্যা ফেস করছেন, দাবিগুলো যাতে নিদিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পেস করতে পারেন সে লক্ষ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে। আরএমজি ও নন-আরএমজি সেক্টরের শ্রম অসন্তোষ ও শ্রম পরিস্থিতির বিদ্যমান সমস্যা পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রদানের জন্য, শ্রম সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে শ্রম অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক এবং শ্রম অধিদপ্তরের ট্রেড ইউনিয়ন ও শালিসির পরিচালককে সদস্য সচিব করে এ কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে তিনজন শ্রমিক নেতা, দুইজন সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী এবং মালিক পক্ষের দুইজন সদস্য আছেন।
তিনি বলেন, আমাদের যে শ্রম ভবন আছে বিজয় নগরে সেখানে শ্রমিকরা তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া পেশ করতে পারবেন। কমিটি পর্যালোচনা করে সুপারিশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সংস্থার কাছে পাঠাবে। শ্রমিকদের যেসব ন্যার্য দাবি আছে সেগুলোর মধ্যে যেটা স্বল্প মেয়াদে বা দ্রুত সমাধানযোগ্য সেটা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আজকে উপদেষ্টাদের নিয়ে জরুরি সভায় কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্তগুলো হলো- শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা অবিলম্বে পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মন্ত্রণালয়, শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানাও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে এবং যথাসম্ভবে মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করে সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান কমিটিসমূহ পুনর্গঠন করে হালনাগাদ করতে হবে।
শ্রম সংকান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটির কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে এবং শ্রম অসন্তোষ সংক্রান্ত শুনানির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিনের মাঠ পর্যায়ের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে শ্রম অসন্তোষ নিরসন কমিটি করে স্থানীয় সমস্যা সৃষ্টির প্রাক্কালে/ সৃষ্টির পর কালবিলম্ব না করে সমাধান করতে হবে।
এছাড়া বেক্সিমকো' গ্রুপের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধ করতে হবে, এবং এ সংক্রান্ত সরকারি আর্থিক ঋণ/ প্রণোদনার ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে গ্রহণ করতে হবে। ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে হবে।
তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট ৬টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আন্তঃসমন্বয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা এখানে কোনো গ্যাপ রাখতে চাচ্ছি না। সচিব পর্যায় থেকে সবাই সমন্বয় রাখবেন। যাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারি এবং সমাধানের দিকে যেতে পারি। তথ্য আদান প্রদান করতে পারি।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সবচেয়ে বেশি জরুরি: অর্থ উপদেষ্টা
৪৪৯ দিন আগে
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি বাতিল করে ‘এডহক’ কমিটি গঠন
‘উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি’ বাতিল করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট ‘এডহক’ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ‘এডহক’ কমিটির আহ্বায়ক এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: বিটিসিএলকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা দিতে নাহিদ ইসলামের নির্দেশনা
‘উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি’ গঠন-সংক্রান্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৪ সালের ১২ মার্চের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনটি জারি করেছে।
কমিটির অন্য সদস্য হিসেবে থাকবেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ইন্সট্রাক্টর, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার, উপজেলা প্রকৌশলী। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোনীত নিকটস্থ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইজন প্রধান শিক্ষক (একজন পুরুষ ও একজন নারী)।
পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ‘এডহক’ কমিটি বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: ওএসডি হলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
শিক্ষা একটি মৌলিক মানবাধিকার; জাতি গঠনের প্রধান হাতিয়ার: অধ্যাপক ইউনূস
৪৪৯ দিন আগে