প্রাণী
মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণ মানুষ, প্রাণী বা উদ্ভিদের ক্ষতি করে না: স্পিকাররা
মোবাইল টাওয়ার থেকে বিকিরণ মানবদেহ বা অন্যান্য প্রাণী বা উদ্ভিদের ক্ষতি করে এমন কোনো প্রমাণ নেই। কিছু মানুষের মধ্যে এক ধরনের কাল্পনিক ভয় কাজ করে যে মোবাইল টাওয়ারের কারণে ক্যান্সারের মতো নানা ধরনের সমস্যা হয়। এটা মোটেও বিজ্ঞানসম্মত নয়।
শনিবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টারস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত এক গোলটেবিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার এবং আলোচনায় সরকারি নীতি নির্ধারকরা ছাড়াও অংশ নেন মোবাইল খাত ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির উপপরিচালক ড. সামসুজ্জোহা। আলোচনা সঞ্চালন করেন টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদী।
বক্তারা বলেন, এগুলো মানুষের কল্পনা। মূলত দুই ধরনের বিকিরণ আছে আয়োনইজড ও নন আয়োনাইজড। অতিবেগুনি রশ্মি, গামা রশ্মি, এক্স-রে ইত্যাদি আয়নিত, যা মানবদেহের ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু মোবাইল ফোন, মোবাইল টাওয়ার, রাউটার সবই নন-আয়নাইজড। এতে ক্ষতিকারক কিছু নেই।
আরও পড়ুন: উদ্ভাবনে অবদানের জন্য দুইটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করল অপো
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে যে ধরনের মোবাইল টাওয়ার ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করা হয়, দুনিয়ার আর সব দেশেও ঠিক একই ধরনের যন্ত্রই ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া বাংলাদেশের সকল অপারেটর মোবাইল টাওয়ার স্থাপনে যে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন অনুসরণ করা হয়, তা মেনে চলে। বিটিআরসি সময়ে সময়ে সারাদেশে এসব টাওয়ারের বিকিরণ মাত্রা পর্যবেক্ষণ করে এবং দেখে যে এগুলো সহনীয় মাত্রার নিচে।
তাই ভয়ের কিছু নেই বলে জানান বক্তারা।
তারা বলেন, রাজধানীর অন্তত তিনশ’ জায়গায় মোবাইল সাইট স্থাপন করা হচ্ছে না, যেগুলো জরুরি। এই ভয় দূর করতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। মানুষ উচ্চ মানের মোবাইল সেবা চায়; তারা সাইট সেট আপ করার অনুমতি দেয় না. এটি সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্যই অভিজ্ঞতা।
বক্তারা উচ্চমানের সেবা পেতে মোবাইল সাইট সম্প্রসারণে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
বক্তারা আরও বলেন, অনেকেই অবৈধভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কে জ্যামার, রিপিটার, বুস্টার বসিয়ে দিচ্ছেন। এগুলো স্থাপন করা যাবে না। এগুলো অবৈধ। এতে নেটওয়ার্কেরও ক্ষতি হচ্ছে। গ্রাহকরা সঠিক সেবা পাচ্ছেন না। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা তরঙ্গ ব্যবহারে অপারেটরদের বাধা দেওয়া হচ্ছে।
আলোচনায় অংশ নেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল আলম, বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এহসানুল কবির, মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি এফেয়ারস অফিসার তাইমুর রহমান, রবির চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, গ্রামীণফোনের কর্পোরেট এফেয়ারস বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর হোসেন সাদাত, হেড অফ নেটওয়ার্ক সলিউশন্স মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা এবং এরিকশন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আবদুস সালাম, নকিয়া বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড আরিফ ইসলাম, হুয়াওয়ে লিমিটেড বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল মার্কেটিং ম্যানেজার এস এম নাজমুল হাসান, টাওয়ার কোম্পানি ইডটকোর হেড অব রেগুলেটরি এফেয়ারস মাসুদা হোসেন, এমটবের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফরহাদ (অব.) প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অগ্রণী ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে নগদে ওয়ালেটে অ্যাড মানি চালু
ডিজিটাল লাইব্রেরি অ্যাপ চালু করল ইউএনডিপি
১ বছর আগে
সুন্দরবনে বাঘের পাশাপাশি গণনা করা হবে হরিণ ও শূকর
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে বাঘের পাশাপাশি হরিণ ও শূকর গণনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন।
‘সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প’ এর আওতায় এটি করা হবে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং প্রকল্পটির সময় চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত।
এর আগে ২৩ মার্চ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ‘সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়।
বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের ইউএনবিকে বলেন, বনের অভয়ারণ্য ও অভয়ারণ্য এলাকার বাইরে এই বাঘ শুমারি করা হবে। বনের কম, মধ্যম ও বেশি লবণাক্ত সব এলাকাই জরিপের আওতায় আসবে।
তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের লক্ষ্য বাঘের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা এবং তাদের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা প্রণয়ন করা।’
তিনি জানান, বাঘ প্রধানত হরিণ, শূকর, বানর ও কাঁকড়া খায়। তাই প্রকল্পটির আওতায় এগুলোও জরিপের আওতায় আনা হবে। তবে তা করা হবে শুমারির শেষের দিকে ২০২৪ সালে।’
২০১৮ সালে করা সর্বশেষ জরিপ অনুয়ায়ী, বাংলাদেশের সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ১১৪টি যা ২০১৫ সালে ছিল ১০৬টি।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পর্যটন: সেবা কার্যক্রম উন্নত করতে অটোমেশনের দিকে নজর
২ বছর আগে
শেরপুরে আরেকটি মৃত বন্যহাতি উদ্ধার
শেরপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী সীমান্ত থেকে একটি মৃত বন্যহাতির উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ভোরে সীমান্তের আঠারোঝোরা এলাকা থেকে হাতিটি উদ্ধার করে বন বিভাগ।
বনবিভাগের ঝিনাইগাতীর গজনী বিট কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ জানান, উদ্ধার করা হাতিটি মাদি হাতি। বয়স আনুমানিক ১১ বছর হবে। হালচাটি গ্রাম থেকে দুই কিলোমিটার পশ্চিমে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন আঠেরোঝোরা এলাকায় মৃত বন্যহাতিটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কৃষকরা জানালে সেটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্য হাতির মৃত্যু
তিনি জানান, হাতিটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত বন্যহাতিটিকে মাটিচাপা দেয়া হবে।
এ নিয়ে গত চার মাসের ব্যবধানে শেরপুর সীমান্তে তিনটি মৃত বন্যহাতির উদ্ধারের ঘটনা ঘটল। এর আগে গত ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী সীমান্তের মালাকোচা এলাকায় এবং ১৯ নভেম্বর নালিতাবাড়ী সীমান্তের পানিহাতা এলাকার মায়াঘাসি গ্রাম থেকে দুটি মৃত বন্যহাতি উদ্ধার হয়েছিল।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
২ বছর আগে
সাফারি পার্কের প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মো. সাহাব উদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ১১ জেব্রা, একটি বাঘ ও একটি সিংহ মৃত্যুর ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, জেব্রা, বাঘ ও সিংহ মৃত্যুর ঘটনায় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদনের জন্য ১০ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন যে বা যারাই জড়িত থাকবে তাঁদের বিরুদ্ধেই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি আশা করি, এই ঘটনা সঙ্গে কেউ জড়িত আছে কিনা বা কারও ইন্ধনে হয়েছে কিনা তা এই তদন্তে বেরিয়ে আসবে। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে সাফারি পার্কের তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরে মন্ত্রী সাফারি পার্কের অভ্যন্তরের বন্যপ্রাণী সমূহের ব্যবস্থাপনা সরেজমিনে পরিদর্শনে যান।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, গাজীপুর ৩ আসনের সাংসদ ইকবাল হোসেন সবুজ, ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ ও সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক মোল্লা রেজাউল করিম ও সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যেকোনো মূল্যেই হাতি হত্যা বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বিশ্ব জলবায়ু কূটনীতিতে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা রাখছে: পরিবেশমন্ত্রী
২ বছর আগে
জীবাণু সংক্রমণে সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, অবহেলায় নয়; গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জীবাণু সংক্রমণে জেব্রা, বাঘ আর সিংহের মৃত্যু হয়েছে।এসময় তিনি বলেন, যে দেশ থেকে বিদেশি প্রাণী আনা হয়, সে দেশের জলবায়ু কিংবা থাকার জায়গা আমাদের দেশের মতো না। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগ ও জীবাণু সংক্রমণও হয়।শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেটে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের স্বরূপ তুলে ধরতে হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, চিড়িয়াখানায় মারা যাওয়া প্রাণীদের একাধিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে- অবহেলায় নয়, সংক্রমণে এসব প্রাণী মারা গেছে। জেব্রার মৃত্যু জীবাণু সংক্রমণে হয়েছে। এছাড়া বিড়াল প্রজাতির প্রাণীও বিভিন্নভাবে সংক্রমিত হচ্ছে।তিনি বলেন, সকল প্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার।বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম ফেরদৌস আলম, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ড. অমলেন্দু ঘোষ, সিলেট আইএলএসটি স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রুস্তম আলী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
২ বছর আগে
উদ্ধারকৃত গন্ধগোকুল কুড়িগ্রাম বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর
কুড়িগ্রাম পৌরসভার নিমবাগান এলাকা থেকে একটি বিলুপ্ত প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার করা পর সেটি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরার উদ্যোগে উদ্ধারকৃত গন্ধগোকুলটিকে বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ২০ ফুট দীর্ঘ অজগর উদ্ধারের পর অবমুক্ত
এ ব্যাপারে বন কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম জানান, উদ্ধারকৃত গন্ধগোকুলটিকে নিরাপদ কোন জঙ্গলে অবমুক্ত করা হবে। আবাসস্থল ও খাদ্য সংকটের কারণে গন্ধগোকুলসহ বিলুপ্ত প্রজাতির বন্য প্রাণি এখন মহাসংকটে রয়েছে।
এসময় বন কর্মকর্তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উৎপল কুমার রায়, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কান মো. শাহরিয়ার, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে শহরের নিমবাগান এলাকায় এক ব্যক্তিকে খাঁচায় করে গন্ধগোকুলটিকে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিউটিরত অবস্থায় সদর থানা পুলিশের একটি টিম লোকটিকে চ্যালেঞ্জ করে। এসময় তিনি খাঁচা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সদস্যরা গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গন্ধগোকুলটিকে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
৩ বছর আগে
ফেনীতে জন্মেছে ৭ পা ওয়ালা বাছুর!
ফেনীর দাগনভূঞার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর মধ্যপাড়া গ্রামে একটি গাভি ৭ পা ওয়ালা একটি বাছুরের জন্ম হয়েছে। গত রবিবার ওই গ্রামের বাসিন্দা রূপধন মিয়ার গাভিটি ওই বাছুরের জন্ম দেয়। এমন খবরে বিভিন্ন গ্রামের মানুষ বাছুরটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন।
বাছুরের মালিক রূপধন মিয়া জানান, গত ১০ বছর যাবৎ তিনি গাভিটি পালন করছেন। এটি গাভিটির চতুর্থ বাছুর। জন্মের পর দেখতে পাওয়া যায় চারটি পা ছাড়াও পিঠের ওপরে আরও তিনটি পা। বিষয়টি দেখে স্থানীয় উপজেলা পশু হাসপাতালের ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অপারেশনের মাধ্যমে তিনটি পা অপসারণ করা যাবে বলে জানান।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ২ মাথা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
তিনি আরও বলেন, জন্মের পর থেকে বাছুরটি দুধ পান করছে না। তবে আলাদাভাবে তাকে দুধ পান করানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
সিন্দুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুন্নবী বলেন, ৭ পা ওয়ালা বাছুরের জন্মের খবরে প্রতিদিন ওই বাড়িতে দর্শনার্থীরা ভিড় করছে।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার মো. তারেক মাহমুদ জানান, বিরল আকৃতির এমন বাছুরের জন্ম নেয়ার পর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একজন কর্মী বাছুরটি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন। তিনি আমাকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ২ মাথা ও ৬ পায়ের বাছুরের জন্ম
তিনি আরও জানান, এটি একটি জন্মগত ত্রুটি। শারীরিকভাবে গরুর বাছুরটি একটু সুস্থ হলে অপারেশন এর মাধ্যমে অতিরিক্ত তিনটি পা সরিয়ে ফেলা যাবে। অপারেশন না করা হলেও তার মূল চারটি পায়ের কোন সমস্যা হবে না।
৩ বছর আগে
ফের ফটিকছড়ির লোকালয়ে মেছো বাঘ
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ফের একটি মেছো বাঘ ধরা পড়েছে।
সোমবার রাতে উপজেলার আজিমনগর এনাম সওদাগর বাড়ির পার্শ্ববর্তী বিল থেকে স্থানীয়রা ওই মেছো বাঘটিকে ধরে। পরে তারা এটিকে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কয়দিন ধরে লোকালয়ে এসে বাঘটি অতর্কিতভাবে এলাকার মানুষের হাস-মুরগীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছিল। সোমবার দিনে ওই বাড়ির কয়েকজন যুবক আম পাড়তে গিয়ে বিলের মধ্যে বাঘটিকে দেখতে পায়। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর রাতে মেছো বাঘটি ধরতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মেছো বাঘের ৩ শাবক উদ্ধার
এদিকে মেছো বাঘটি আটকের খবর দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের সাধারণ মানুষ একনজর দেখতে ছুটে আসে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, এটি একটি বিপন্ন প্রজাতির তালিকার প্রাণি। এগুলোকে মেছো বাঘ বা বনবিড়ালও বলা হয়ে থাকে। এরা সাধারণত নদীর ধারে, পাহাড়ি ছড়া ও জলাভূমির আশপাশে বাস করে। এদের প্রধান খাদ্য মাছ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়োদুল আরেফীন বলেন, আমি বন বিভাগকে জানিয়েছি। তারা মেছো বাঘটি নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের মধুখালীতে মেছো বাঘ আটক
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল উত্তর নিচিন্তাপুর আজম তালুকদার বাড়িতে ৫/৬ টা মেছো বাঘ দেখা যায়। পরে একটি মেছো বাঘ স্থানীয়রা ধরতে সক্ষম হয়।
৩ বছর আগে
পঞ্চগড়ে পাওয়া গেল বিরল প্রজাতির রেড কোরাল কুকরি সাপ
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় দুর্লভ প্রজাতির রেড কোরাল কুকরি সাপ পাওয়া গেছে। এবার সাপটিকে জীবিত এবং অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের টুনিরহাট প্রধানপাড়া এলাকা থেকে মো. শহিদুজ্জামান শহিদ মঙ্গলবার রাতে সাপটি উদ্ধার করেন। সাপটি তার হেফাজতে ছিল।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৭৫ কোটি টাকার সাপের বিষসহ আটক ৬
তিনি জানান, সাপটি তার বাড়ির পাশের বাঁশ বাগান থেকে বাড়ির আঙ্গিনায় আসলে তিনি সাপটিকে উদ্ধার করেন। বুধবার বিকালে বন্য প্রাণী আলোকচিত্রি ও সংরক্ষক ফিরোজ আল সাবা, প্রকৃতিপ্রেমী নাইম মাহমুদ ও সোহাগ আহম্মেদ সাপটিকে নিয়ে আসেন। বনবিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আব্দুল্লাহ সাদিকের পরামর্শক্রমে সাপটিকে বুধবার রাতে জেলার বোদা উপজেলার ঝলই শালশিরী ইউনিয়নের নতুনহাট এলাকার উপযুক্ত স্থানে অবমুক্ত করা হয়।
সাপ উদ্ধারকারী যুবক শহিদুজ্জামান শহিদ বলেন, আমার বাড়ির পাশে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে শাপটি বাদাম খেত থেকে প্রবেশ করলে এসময় প্রতিবেশীর চিৎকারে আমিসহ অনেকে ছুটে যাই তাদের বাড়িতে। পরে আমি শাপটি উদ্ধার করে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। রাতেই স্থানীয় বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রি ও সংরক্ষক ফিরোজ আল সাবাহকে অবহিত করি। বুধবার বিকালে তিনি সাপটি নিয়ে যান।
আরও পড়ুন : ভালো নেই খুলনার সাপুড়ে সম্প্রদায়
ফিরোজ আল সাবাহ জানান, রেড কুরাল কুকরি নামে এই প্রজাতির সাপটি বাংলাদেশের পঞ্চগড়েই প্রথম ও পর পর তিন বার দেখা গেল। সাপটি দিনের বেলা সূর্যের আলো সহ্য করতে পারে না, যার কারণে রাতের আঁধারে তাকে অবমুক্ত করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
বরিশালে চুরি যাওয়া ৭৪টি গরু মহিষ উদ্ধার
বরিশালের হিজলা উপজেলার মাঠিয়াল গ্রাম থেকে চোরাইকৃত ৭৪টি গবাদি পশু উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৩ বছর আগে