কালবৈশাখী
নাটোরে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে তিন শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত
নাটোরে কালবৈশাখী ঝড়ে সিংড়া উপজেলার তিন শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার (৫ জুন) রাতে উপজেলার হাতিয়ান্দহ, কলম, চামাড়ি, ডাহিয়া, শেরকোল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, ঝড়ে অসংখ্য ছোট-বড় গাছ উপড়ে ফেলেছে। ঘরবাড়ির ওপর গাছ ও ডালপালা পড়ে ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের লাইনের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ কারণে ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা।
আরও পড়ুন: ১২ মিনিটের ঝড়: শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু, লন্ডভন্ড ২০টি গ্রাম
হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমানি চঞ্চল জানান, ইউনিয়নের আগলাড়ুয়া, চক লাড়ুয়া, সোনাপাড়া, বড় সাঁঐল ও পাট সাঁঐল গ্রাম বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত হয়েছে। এসব গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রাথমিকভাবে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বলে জানান তিনি।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের তালিকা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ১২৭টি হরিণসহ সুন্দরবনে মৃত প্রাণীর সংখ্যা বেড়ে ১৩২
৬ মাস আগে
সিলেটে শিলাবৃষ্টি-কালবৈশাখীর তাণ্ডব
সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে কালবৈশাখী ঝড়। এতে বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে রাস্তাঘাটে পড়েছে।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১০-১৫ মিনিটের শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর-বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে এবং ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি।
আরও পড়ুন: রাখাইনে আরাকান আর্মির তাণ্ডব, বাংলাদেশে আশ্রয় নিল আরও ৩৭ বিজিপি সদস্য
বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে বিশেষ করে কানাইঘাট সদর এবং ৭ নম্বর দক্ষিণ বানীগ্রাম, ৮ নম্বর ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়ন ও ৯ নম্বর রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে প্রচণ্ড ঝড়ের সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে প্রচুর গাছপালা উপড়ে পড়ে এবং ডালপালা ভেঙে যায়। পাশাপাশি শিলা বৃষ্টির কারণে ফসলেরও ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ার কারণে কানাইঘাট গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে রবিবার দুপুর থেকে গোটা উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। ঝড়ে রাস্তার উপরে উপড়ে পড়া গাছপালা কানাইঘাট ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন সরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় শিলা বৃষ্টির কারণে অনেকের টিনের বাড়ি-ঘরসহ মৌসুমি ফল ও বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সারাদিন থেমে থেমে বজ্রপাত হওয়ার কারণে এবং বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার ইউনিয়নের অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। শক্তিশালী ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখীর তাণ্ডব
৭ মাস আগে
ধামরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে দেয়াল ধসে ২ নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু
ঢাকার ধামরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের ধসে পরা দেয়ালের চাপায় দুই নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন।
এঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩ জন তাদের মধ্যে দুজন সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার (৬ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ইনচার্জ মো. ইউসুফ আলী।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এর আগে রবিবার দিনগত রাতে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের একটি বেসরকারি এগ্রো ফার্মের নিরাপত্তারক্ষীদের শয়নকক্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- নওগাঁ জেলার মান্দা থানার কফিল উদ্দীনের ছেলে আনিসুর রহমান ও গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে শাহারুল আলম।
এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন- আল মামুন ও হামিদ আলী। তারা সবাই ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের আড়ালিয়া এলাকার এসএস এগ্রো লিমিটেডের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের এসএস এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেডের ভিতরের একটি কক্ষে ৭ জন নিরাপত্তাকর্মী অবস্থান করছিলেন। এসময় কালবৈশাখী ঝড়ে প্রথমে ওই কক্ষের চাল উড়ে নিরাপত্তাকর্মীদের উপরে পরে। পরে দেয়ালও তাদের উপর ধসে পরে।
এসময় তাদের মধ্যে ৫ জন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজনের চিকিৎসা চলছে। অপর আরেকজন সামান্য আহত হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ডিউটি ইনচার্জ মো. ইউসুফ আলী বলেন, গতরাতে দেয়াল ধসে আহত চারজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। বাকি দুই জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পাভেল মোল্লা বলেন, গতরাতে দেয়াল ধসে একটি ফার্মে কয়েকজন আহত হন। তাদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম বলেন, দুইজন মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। তারা শঙ্কামুক্ত আছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাক-ভটভটি সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু
গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
৭ মাস আগে
কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরচাপায় ছেলেসহ অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু
কালবৈশাখী ঝড়ে বসতঘরের নিচে চাপা পড়ে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার পাঁচ বছরের ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৫ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিয়ামতপুর ইউনিয়নের হাজীপাড়া ঘোনার বাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহে মৃত্যু-স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকিতে গবাদিপশু, ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা
নিহতরা হলেন- আব্দুল কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপতারা ও তার পাঁচ বছরের ছেলে তাইজুল।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাতে ঝড় বৃষ্টির সময় ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন রুপতারা ও তার ছেলে তাইজুল। এ সময় ঘরের উপরে থাকা একটি রঙিলা কাঠের গাছ ঝড়ে উপড়ে ঘরের উপর পড়ে যায়। এ সময় ঘরের নিচে চাপা পড়েন রুপতারা ও তার ছেলে তাইজুল। ঘটনাস্থলে তাইজুল মারা যায়। স্থানীয়রা আহত রূপতারাকে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দিয়াবাড়ি লেকে পানিতে ডুবে ২ স্কুলছাত্রের মৃত্যু
ময়মনসিংহে ধান উড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
৭ মাস আগে
মৌলভীবাজারে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখীর তাণ্ডব
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও বড়লেখায় শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েক শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া গাছপালা উপড়ে গেছে ও বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে রেললাইনের উপর গাছ পড়ে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, আহত ৮
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে সিলেটগামী আন্তনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনে এবং সিলেট থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর পারাবত এক্সপ্রেস ভানুগাছ স্টেশনে আটকা পড়ে। রেললাইন থেকে গাছ সরিয়ে তারপর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করা হয়।
জানা গেছে, রবিবার বিকালে সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ মৌলভীবাজার সদর শ্রীমঙ্গল, বড়লেখা, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলার উপর দিয়েও কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। প্রায় ৫ মিনিটের স্থায়ী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা রাস্তার উপর পড়ে ও কাঁচাপাকা ঘরের চাল উড়ে যায়।
কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন দোকান ও বাড়ি-ঘরের চাল উড়ে গেছে। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বৈদুতিক লাইন। এরপর থেকে অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব বলেন, কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক তাণ্ডব ঘটায়। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য মাঠে কয়েকটি টিম কাজ করছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন চৌধুরী বলেন, মিনিট ৬ এর কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক তাণ্ডব ঘটায়। নাজিরাবাদ ও গিয়াসনগর ইউপির কাঁচাঘর ভেঙে ১৩ আহত হয়।
ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য মাঠে কয়েকটি দল কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিভাগে কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ৭
কালবৈশাখী ঝড়ে ভোলায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ২
৭ মাস আগে
বরিশাল বিভাগে কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ৭
বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে ৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে পটুয়াখালীর বাউফলে ২ জন ও পিরোজপুরে ২ জন এবং ঝালকাঠিতে ৩ জন নিহত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- রুবি বেগম, অনিল পাল, হেলেনা বেগম, মিনারা বেগম, মাহিয়া আক্তার, রাতুল ও সুফিয়া বেগম।
জানা গেছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পিরোজপুরে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলা।
এ সময় ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে গাছচাপায় রুবি বেগম নামে এক নারী মারা যান। এছাড়াও ঝড় থেমে যাওয়ার পর গ্রামের একটি খাল থেকে অনিল পাল নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শারিকতলা ডুমুরিতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজমির হোসেন মাঝি বলেন, রবিবার সকালে ঘর থেকে বের হয়ে অনিল পাল ঝড়ের তাণ্ডবের মধ্যে পড়েন। ধারণা করছি, ঝড়ের কারণে সম্ভবত তিনি খালের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন। ঝড় থামার পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে সুনামগঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, আহত ২০
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ে পিরোজপুর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের জন্য শুকনো খাবার ও ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিহত পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে এবং ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করে পরে জানানো হবে।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রমজান আলী বলেন, ঝড়ের পরে রুবি বেগম নামে এক নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এ ঝড়ে এখন পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছ।
এদিকে ঝালকাঠির সদর উপজেলার শেখেরহাট, পোনাবালিয়া ইউনিয়ন ও কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে ঝড়ের সময়ে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে দুই নারী ও এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
তারা হলেন- শেখেরহাট এলাকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী মিনারা বেগম, আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের মৃত আলম গাজীর স্ত্রী হেলেনা বেগম ও পোনাবালিয়া এলাকার মো. বাচ্চুর ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মাহিয়া আক্তার ঈশান।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে ঝড় শুরু হয়।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ঝালকাঠিতে ঝড়ের সময় মাঠে গরু আনতে গিয়ে দুই উপজেলায় এক শিশু ও দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা হবে।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত চলা ঝড়ে ঝড়ে রাতুল নামের এক কিশোর ও সুফিয়া বেগম নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।
রাতুল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাঁতের কাঠি গ্রামের জহির সিকদারের ছেলে। তাকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে- বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে সে মারা গেছে।
আর সুফিয়া বেগম দাশপাড়া ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের মৃত আহম্মেদ প্যাদার স্ত্রী। ঘরের উপর গাছ পড়ে তিনি মারা যান।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারজান বলেন, রাতুলকে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, তার শরীরে বজ্রপাতে ঝলসানোর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারে।
দাশপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘরের উপর গাছ ভেঙে পড়ে সুফিয়া বেগম মারা যান।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখী ঝড়ে ভোলায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ২
৮ মাস আগে
কালবৈশাখীতে বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, আহত ৮
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা ভেঙে ও বজ্রপাতে লিকচান সরদার নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘর-বাড়ি, দোকানপাট ও ফসলের খেত। এদিকে বিদ্যুতের ৩৪টি খুটি ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে ৪ লাখ গ্রাহক।
রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে এই কালবৈশাখী ঝড় ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
এলাকাবাসী জানায়, হঠাৎ করেই শুরু হয় দমকা হাওয়াসহ ঝড়। সঙ্গে চলে বজ্রসহ বৃষ্টি। এই ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রপাতে লিকচান সরদার নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। এসময় ঝড়ে গাছপালা ও ঝুলন্ত বিলবোর্ড পড়ে ৮ জন আহত এবং একটি যাত্রীবাহী বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০০ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঝড়ে বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রামপাল, ফকিরহাট, শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পল্লীবিদ্যুৎ ও ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ৩৪টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়ায় শনিবার সকাল ১০টা থেকে বাগেরহাটের ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।
বাগেরহাট পল্লীবিদ্যুতের এজিএম সুশান্ত রায় বলেন, ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পল্লীবিদ্যুতের কমপক্ষে ২০টি খুটি ভেঙে যায় এবং অসংখ্য স্থানে বিদ্যু্তের তার ছিঁড়ে গেছে। ফলে সকাল ১০ টা থেকে ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের কাজ করছে।
বাগেরহাট ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহি প্রকৌশলী জিয়াউল হক বলেন, ঝড়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ১৪টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে এবং অনেক এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। সকাল ১০টা থেকে শহরের ২০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লাইন দ্রুত মেরামতের কাজ চলছে।
বাগেরহাট বাসাবাটি গির্জার ফাদার ডমিনিক হালদার জানান, কয়েক মিনিটের ঝড়ে মারিয়া পল্লির ২০টি কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। পল্লির বাসিন্দাদের ঘরের মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবাই কষ্টে দিন পার করছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের সময় কচুয়ায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় কিছু কাঁচাঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেশ বিছু গাছপালা উপড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে এবং তার ছিঁড়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বজ্রপাতে মাছচাষির মৃত্যু
সিলেটে বজ্রপাতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
৮ মাস আগে
কালবৈশাখীতে সুনামগঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, আহত ২০
সুনামগঞ্জে তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। এতে লন্ডভন্ড হয়েছে ঘর-বাড়ি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈদ্যুতিক লাইন ও খেতের ফসল।
রবিবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা সদর, বিশ্বম্ভরপুর শান্তিগঞ্জ, দিরাই উপজেলার উপর দিয়ে এই কালবৈশাখী ঝড় ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর স্বস্তি
ঝড়ের কবলে পড়ে নারী শিশুসহ অন্তত ১৫ জন এবং শহরের কালিবাড়ি এলাকায় চলন্ত সিএনজির উপর গাছ ভেঙে পড়ায় চালকসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
আহতরা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের বৈষভেড় গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়।
ঝড়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পাগলা, কান্দিগাঁও, রায়পুর আসামপুর, বাঘেরকোনাসহ একাধিক গ্রামের শতাধিক কাঁচা ও টিনশেডের ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাগলাবাজার। বাজারের সড়কের দুই পাশের অস্থায়ী দোকানপাট লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে সড়কে পড়ে যায়।
এদিকে সুনামগঞ্জ সড়কের হাছন তোরণ এলাকায় একাধিক গাছ ভেঙে সড়কে পড়ায় দুই পাশের পরিবহন আটকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং ঘণ্টাব্যাপী ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের চেষ্টায় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফসলি জমি-বাড়ি বিধ্বস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইন
পাগলা কান্দিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ইয়াকুব শাহরিয়ার বলেন, পাগলাবাসী এমন ঝড় আর দেখেনি। দুমড়েমুচড়ে গেছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এলাকার অনেক ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডা. নিরুপণ রায় চৌধুরী বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে আহত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঁচজন রোগী আসেন। তাদের মধ্যে সাদ্দাম নামের এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। রয়েল নামের আরেক যুবক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কচুয়ায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়, লন্ডভন্ড অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি
৮ মাস আগে
কালবৈশাখীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফসলি জমি-বাড়ি বিধ্বস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালবৈশাখীর আঘাতে অন্তত ৩০-৩৫টি ঘর-বাড়ি ভেঙে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈদ্যুতিক লাইন ও খেতের ফসল।
এছাড়া, উপড়ে পড়েছে গাছ-বৈদ্যুতিক খুঁটি, ঝড়ের কবলে পড়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে কালবৈশাখী ঝড়: তিন উপজেলার দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল দিকে সদর উপজেলা দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়।
সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ওমর ফারুক বলেন, কালবৈশাখীর আঘাতে অন্তত ৩০-৩৫টি ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে৷
এছাড়া, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে উড়শিউড়া এলাকায় সুলতানপুর পল্লী বিদ্যুতের উপকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের বেশ কয়েকটি খুঁটি ও অসংখ্য গাছ। বর্তমানে এই এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কচুয়ায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়, লন্ডভন্ড অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি
৮ মাস আগে
কালবৈশাখীর কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে শার্শার আম চাষীরা
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) কালবৈশাখীর আঘাতে যশোরের শার্শা উপজেলার আম চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
ঝড়ের কারণে ওই এলাকার আমের বাগান সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ আম মাটিতে পড়ে যায়।
জানা গেছে, উপজেলায় ৯ হাজার হেক্টর আমের বাগানের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ১৪০টি ছোট-বড় আম বাগান রয়েছে এবং প্রায় সব বাগানই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আম চাষিরা এখন এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছেন, কেউ কেউ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতির কথা জানিয়েছেন।
আম চাষি জাফর শেখ কালবৈশাখীর কারণে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতির কথা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে বাগুড়ি গ্রামের দিলবার জানান, এ বছর আমের ভালো দাম পাওয়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে।
আরও পড়ুন: ভুরুঙ্গামারীতে কালবৈশাখীর তান্ডবে দুই শতাধিক বসতবাড়ি লন্ডভন্ড
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মন্ডল এলাকার আম চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চাষিদের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ণয় করা যায়নি বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই এলাকায় কালবৈশাখী আঘাত হানে। ঝরে পড়া আম বাগানগুলোকে কার্পেটের মতো ঢেকে দিয়েছে।
ফলে বেশিরভাগ বাগানই উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় কিশোর নিহত
১ বছর আগে