করোনা মহামারি
বিদেশফেরত দুই লাখ কর্মীকে ২৭০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
করোনা মহামারির সময় বিদেশফেরত দুই লাখ কর্মীকে ২৭০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার।
এজন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট (আরএআইএসই বা রেইজ)- শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ভবনে প্রকল্পের বিষয়ে অবহিত করতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
এসময় প্রকল্প পরিচালক ও সরকারের যুগ্ম সচিব সৌমেন্দ্রনাথ সাহাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভার আয়োজন করেপ্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।
সভায় জানানো হয়, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে কাজ হারিয়ে ২০২০ সালে প্রায় পাঁচ লাখ কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। প্রত্যাগত বিদেশফেরত অধিকাংশ কর্মী কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্থকষ্টসহ সমাজে নানা ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
আরও পড়ুন: বোরোতে উফশী ধানের উৎপাদন বাড়াতে ১০৮ কোটি টাকার প্রণোদনা: কৃষি মন্ত্রণালয়
এতে আরও বলা হয়েছে, এই কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হলে সমাজে অস্থিরতাসহ নানাধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তাদের পুনঃএকত্রীকরণের (রি-ইন্টিগ্রেশন) লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় রেইজ প্রকল্পের আওতায় বিদেশফেরত কর্মীদের পুনর্বাসন ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
সহযোগিতার মধ্যে দুই লাখ কর্মীকে এককালীন ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে প্রণোদনা দেওয়া হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এ প্রণোদনা দেওয়া হবে।
এছাড়াও, তাদের আত্মকর্মসংস্থানে সহযোগিতা, ঋণ প্রাপ্তিতে সহযোগিতা, দক্ষতা সনদ প্রদান, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করা হবে।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, প্রণোদনার মূল উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে আমাদের সঙ্গে তাদের যুক্ত করা। শুরুতে যে পরিমাণ রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা আশাব্যঞ্জক। এই প্রজেক্ট তার গন্তব্যে পৌঁছবে। প্রজেক্টটি করোনাকালে যারা ফেরত এসেছে তাদের নিয়ে শুরু করেছি। তবে আমরা ভাবছি করোনা পরবর্তীতেও যারা এসেছে তাদের নিয়েও কাজ করার। আমরা চেষ্টা করি তাদের পাশে দাঁড়ানোর। তবে আমরা শতভাগ তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি না তথ্যের ঘাটতির কারণে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর কতজন কর্মী প্রবাসে যান সেটি আমাদের তালিকায় আছে। কিন্তু কতজন ফেরত আসেন তা কিন্তু আমাদের জানা নেই। তারা হয়তো জানেন না কিভাবে কি করতে হবে। কেউ হয়তো পুনরায় প্রবাসে যেতে চান। সেসব বিষয়ে তাদের সহযোগিতা করাই রেইজ প্রকল্পের লক্ষ্য। শুধু প্রণোদনা দেওয়া নয়, দক্ষতা উন্নয়নেও সহযোগিতা করবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। প্রবাস ফেরতদের কেউ ঋণ চাইলে আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে দেব। কেউ উদ্যোক্তা হতে চাইলেও আমরা সহযোগিতা করবো।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনকারীদের প্রণোদনা দেবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের বিষয়ে ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, প্রত্যাশী মানুষের সংখ্যা কম হওয়ায় আমরা ঋণ দিতে পারছি না। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ২০০ কোটি টাকার ফান্ড আছে। আমরা হয়তো ১৫০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছি। এর মানে এই না, আমরা কার্যক্রম চালাচ্ছি না। আসলে আমরা প্রবাসীদের ঋণের চাহিদা পাচ্ছি না। তবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তো একটা ব্যাংক। এই প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম মেনে চলতে হয়। হয়তো ঋণ পাওয়ার যেসব শর্ত আছে, সেটি কারও জন্য পূরণ করা কঠিন হয়। কিন্তু ঋণ পাচ্ছে না বিষয়টি এমন নয়।
সভায় জানানো হয়, যে সকল কর্মী বিদেশ গমনের পর দক্ষতা অর্জন করেছেন, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক সনদ নেই এ সকল কর্মীদের রিকগনিশন অব প্রিয়র লার্নিং (আরপিএল) এর আওতায় ২৩ হাজার ৫০০ জন কর্মীকে দক্ষতা সনদ প্রদান করা হবে। যা তাদের কর্মসংস্থানে সহায়ক হবে। এ প্রকল্পের সুবিধাভোগী কর্মী সংখ্যা ২ লাখ। এই দুই লাখ কর্মীর প্রত্যেককে এককালীন ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে নগদ প্রণোদনা (ক্যাশ ইনসেনটিভ) দেওয়া হবে।
এছাড়া, রেফারেলের আওতায় কর্মীর চাহিদা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করা হবে। যাতে করে তারা সমাজে নিজেকে পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রশিক্ষণ/আর্থিক কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নিজেই নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে।
এ লক্ষ্যে রেইজ প্রকল্প বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো প্রত্যাগত কর্মীদের একটি তথ্য সমৃদ্ধ ডাটাবেইজ তৈরি হবে। গত ৪ মাসে ৫৯ হাজার জন কর্মীর রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ৩০ জুলাই, ২০২৩ তারিখে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কর্তৃক ৩০টি জেলায় ওয়েলফেয়ার সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ৩০টি সেন্টারের মাধ্যমে সারা দেশে প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেন্টারের কার্যক্রম বাস্তবায়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইওএম বাংলাদেশ এবং সাব কনসালট্যান্ট হিসেবে আরো ৭ টি বেসরকারি সংস্থা (রামরু, ওকাপ, ব্র্যাক, প্রত্যাশী, বিএসএসকে, ওয়্যারবি, কেএনইউএস) সহায়তা করছে।
আরও পড়ুন: রবি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১৮৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
১ বছর আগে
২০২১ সালের মে পর্যন্ত এক বছরে ৪ লাখ ৪৩ হাজার অভিবাসী শ্রমিক দেশে ফিরেছেন: মন্ত্রী
করোনা মহামারি চলাকালীন এপ্রিল ২০২০ থেকে মে ২০২১ এর মধ্যে মোট ৪ লাখ ৪৩ হাজার অভিবাসী শ্রমিক দেশে ফিরে এসেছেন।
বুধবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: দালালদের হাত থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের রক্ষা করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশে ফিরে আসা অভিবাসী শ্রমিকদের আর্থ-সামাজিক পুনর্বাসনের জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ১৫ হাজার ৭০৬ জনকে পুনর্বাসন ঋণ হিসেবে দেয়া হয়েছে ৪২৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এছাড়া ৫২ হাজার ৭৪ জন অভিবাসী শ্রমিককে আবার বিদেশ যাওয়ার জন্য স্বল্প সুদে ঋণ হিসেবে দেয়া হয়েছে এক হাজার ১০৬ কোটি টাকা।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সংসদে বলেছেন, ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি খাদ্য গুদামে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মোট খাদ্যশস্যের মধ্যে তিন লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন গম, ১৪ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও এক হাজার ৩৮১ টন ধান রয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে সরকারের ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে ভারত, ভিয়েতনাম ও মায়ানমার থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে তিন লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার: নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর্যবেক্ষণ চায় জাতিসংঘ
অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান বিধান নিশ্চিত করুন: ব্রুনাইয়ের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
২০২২ সালে ১০০ কোটির ক্লাবের ভারতীয় সিনেমা কোনগুলো
করোনা মহামারির কারণে ভারতীয় সিনেমা শিল্পে প্রায় ধস নামে। তবে ২০২২ সালে আরআরআর, কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২ এবং ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান- শিবের মতো ব্লকবাস্টার সিনেমাগুলো আশার আলো দেখায়। ২০২২ সালে ১০০ কোটির ক্লাবে নাম লেখানো ভারতীয় সিনেমাগুলো হলো-
ভুল ভুলাইয়া ২
আনিস বাজমি পরিচালিত ভুল ভুলাইয়া ২ সিনেমাটি একটি হরর কমেডি ঘরানার। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন-কার্তিক আরিয়ান, কিয়ারা আদভানি ও টাবু। ২০২২ সালের সবচেয়ে বড় হিট সিনেমাগুলোর মধ্যে এটি একটি। ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শের মতে, ছবিটি মুক্তির এক মাসের মধ্যে ১৭১ কোটি রুপি সংগ্রহ করে।
২ বছর আগে
বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত সাড়ে ৫৪ কোটি ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারিতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৫৪ কোটি ছাড়িয়েছে। বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ কোটি ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭২৯ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭১ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি ৮২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৭০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৯০০ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৭ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৮৯০ জনে।
ব্রাজিলে এ পর্যন্ত তিন কোটি ৩১ লাখ ৮২ হাজার ৪২২ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি মৃত্যুবরণ করেছে ছয় লাখ ৬৯ হাজার ৪৩৬ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৭৪ জনের এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩৩ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮০ পরীক্ষাগারে সাত হাজার ৮৯৩ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় সাত হাজার ৯২৭ নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক তিন শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৮৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ পাঁচ হাজার ৯৮৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ৮৭৪
২ বছর আগে
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত সাড়ে ৫২ কোটি ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারিতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৫২ কোটি ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ কোটি ৫২ লাখ ৫৯ হাজার ৪৮৯ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৬২ লাখ ৮৩ হাজার ৩২৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি ২৯ লাখ ৫১ হাজার ৩৭৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ এক হাজার ২৬৯ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৯ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ২৯৩ জনে।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ায় বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও ২ লাখ ৬২ হাজার ২৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে এপি জানিয়েছে।
পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী করোনা পজিটিভ
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১০৩ জনে পৌঁছেছে। তবে একই সময় দেশে করোনায় কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জন অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭৯ পরীক্ষাগারে চার হাজার ৮৯০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় পাঁচ হাজার এক জনের নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৪১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ১৩৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ।
পড়ুন: দেশে আরও ২২ জনের করোনা শনাক্ত
২ বছর আগে
উৎসাহের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ
করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বিরতির পর পূর্ণ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সারাদেশে বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ পালিত হচ্ছে।
ভোরে ছায়ানটের শিল্পীরা রমনার বটমূলে ঠাকুরের বিখ্যাত গান ‘এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো’ দিয়ে দিনটিকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়।
বাংলা নববর্ষ ১৪২৯কে স্বাগত জানাতে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় ও ঐতিহাসিক স্পটগুলোতে নতুন আশা ও আকাঙ্খা নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ ভিড় করছে।
তবে পবিত্র রমজান মাসে পহেলা বৈশাখ পালিত হওয়ায় উৎসবে কিছুটা ভাটা পড়েছে।
মহামারির কারণে গত দুই বছর সীমিত পরিসরে নববর্ষ উদযাপন করতে হয়েছে। এ বছর করোনা পরিস্থিতি শিথিল হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নববর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে।
পড়ুন: বাঙালি সংস্কৃতি ধারণ করেই আমরা এগিয়ে যাব: মেয়র তাপস
২ বছর আগে
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৪৫ কোটির কাছাকাছি
বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ কোটি ৯৫ লাখ ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ কোটি ৯৫ লাখ ১৬ হাজার ৬২৩ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬০ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৩ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ৯৩ লাখ ৬৯ হাজার সাত জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৯ লাখ ৬১ হাজার ৮৪৩ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬০ লাখ ছুঁইছুঁই
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ২৯ লাখ ৭১ হাজার ৩০৪ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ২১০ জনে।
এদিকে, ব্রাজিলে এই পর্যন্ত দুই কোটি ৯১ লাখ ৫২ হাজার ৩১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছেন ছয় লাখ ৫৩ হাজার ১৩৪ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ পাঁচ জন ও দু’জন নারী।
নতুন মৃতদের নিয়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪৬ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৮ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭৮ পরীক্ষাগারে ২০ হাজার ১৫৪ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ১৯ হাজার ৯৬৪ নমুনা।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৪৪ কোটি ৩৩ লাখ ছাড়াল
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দুই দশমিক ২৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও তিন হাজার ৬২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমকি ৯৬ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর একই বছরের ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২ বছর আগে
মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি পালন শক্তি ফাউন্ডেশনের
দেশব্যাপী নিজস্ব কর্ম এলাকায় ৪৪৫টি শাখার মাধ্যমে বিনামূল্যে প্রায় ৫ লাখ মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে শক্তি ফাউন্ডেশন। জনগণকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে শক্তি ফাউন্ডেশনের ৩ হাজারেরও বেশি কর্মী স্বতস্ফূর্তভাবে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
শক্তি ফাউন্ডেশন করোনা মহামারির শুরু থেকেই করোনা আক্রান্তদের স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। এছাড়াও সংক্রমণের বিস্তার রোধে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
শক্তি ফাউন্ডেশন বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে ঢাকা শহরের ছয়টি জনসমাগমপূর্ণ স্থানে এক মাসব্যাপী মাস্ক বিতরণ এবং জনসচেতনতা কর্মসূচি ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার’ বাস্তবায়ন করছে। এই কর্মসূচিতে শক্তি ফাউন্ডেশন, ইয়ং বাংলা ও বিডিক্লিনের স্বেচ্ছাসেবকরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। এ উদ্যোগে শহরভিত্তিক জনসাধারণের আচরণগত পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ও ইনোভেশন ফর পোভার্টি অ্যাকশন (আইপিএ) এবং অর্থায়ন করছে সিটি ফাউন্ডেশন এবং ফুডপান্ডা বাংলাদেশ।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ (১১ সেপ্টেম্বর) শক্তি ফাউন্ডেশন নর্ম মডেলের ভিত্তিতে দেশব্যাপী এ উদ্যোগ গ্রহণ করে।
শক্তি ফাউন্ডেশনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইমরান আহমেদ বলেন, ‘দেশব্যাপী এ উদ্যোগ জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করবে এবং করোনা সংক্রমণ রোধ করে জনজীবন ও অর্থনীতিকে স্বাভাবিক করে তুলতে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: করোনা: মৃত্যু ৪৮, শনাক্ত ১৩২৭
টিকার অর্থ আত্মসাত: অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে
৩ বছর আগে
করোনা মহামারি: মাটি কাটার কাজ করছেন শিক্ষকরা!
নন-এমপিভুক্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি করেন নুরুল ইসলাম। দীর্ঘ নয় বছর ধরে বিনা বেতনে ওই এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন তিনি। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এতে চরম বিপাকে পড়েন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আত্মমর্যাদা জলাঞ্জলি দিয়ে নুরুল ইসলামের মতো আরও চার শিক্ষক কাজ নেন সরকারের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পে। কিন্তু সেখানে তারা প্রতারিত হয়েছেন। পাননি ন্যায্য মজুরিও। যাও পেয়েছেন তাতে উপজেলা চেয়ারম্যান থাবা বসিয়েছেন। এর প্রতিকার চেয়ে নুরুল ইসলাম জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় এমপি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: মহামারি-পরবর্তী বিশ্ব: বন্ধ হবে কি শ্রম অধিকার লঙ্ঘন?
ঘটনাটি ঘটেছে জেলার উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ বিচ্ছিন্ন সাহেবের আলগা ইউনিয়নে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ৯ বছর আগে দুর্গম চরাঞ্চল ব্রহ্মপুত্র নদ বিচ্ছিন্ন উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের ১০ জন শিক্ষক নিয়ে ‘দৈ খাওয়ার চর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়’ গড়ে তোলেন। তখন থেকে এসব শিক্ষকরা বিনা বেতনে চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠদান করে আসছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন জাতি গড়ার এসব কারিগররা। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসে সব কিছু বন্ধ হয়ে গেলে, নুরুল ইসলামসহ তার বিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষক সরকারের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পে মাটি কাটার কাজ নেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই ধাপে ৮০ দিন কাজ করেন তারা। দুইশ টাকা মজুরি হারে তাদের ১৬০০০ টাকা পাওয়ার কথা। গত ৩০ জুলাই ওই ইউনিয়নে শ্রমিকদের মজুরির টাকা বিতরণ করা হয়।
নুরুল ইসলামের অভিযোগ, ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মজুরির টাকা নিয়ে বের হতেই বারান্দায় বসে থাকা আলী হোসেন, ইউসুফ আলী ও আয়নাল হক মৃধা ওই তিন ব্যক্তি উপকারভোগীদের কাছ থেকে জোর করে চার হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেয়। শিক্ষকরা চার হাজার করে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, ইউসুফ আলী গংরা নানান হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। সেই সাথে তারা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টুর নির্দেশে টাকা তুলতেছি। টাকা না দিলে এর পরিণাম ভালো হবে না বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি। নিরুপায় হয়ে তিনিসহ তাঁর স্কুলের শিক্ষক মনসুর আলী, শাহীন আলম, শহিদুল আলম ও, শহিদুল ইসলাম তাদের হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দিতে বাধ্য হন। পরে তাদের প্রদেয়ও ২০ হাজার টাকার ১০ হাজার ফেরত চেয়ে হাতে পায়ে ধরলেও মন গলেনি ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানের। বরং তারা উল্টো তাদের হুমকি দেন।
নুরুল ইসলাম আরও বলেন, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি মোবাইল নাম্বার থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের পরিচয় দিয়ে অশ্লীল গালাগালিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় এমপি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ভিডিও ফুটেজ দেখে সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে, জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ওই শিক্ষকের লিখিত অভিযোগ এখনও পাইনি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মহামারির বছরে আকাশ থেকে খসে পড়া তারারা
স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, একজন শিক্ষক কতটুকু অসহায় হলে শ্রমিকের কাজ করেন। আর তাদের ন্যায্য মজুরি জোর করে হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি অত্যন্ত ঘৃণিত। শুধু এসব শিক্ষকদের নয়, সেখানে বেশিরভাগ উপকারভোগীর কাছ থেকে একইভাবে চার হাজার করে টাকা নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে এর সত্যতা পাই। এ বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করব।
৩ বছর আগে
করোনা মহামারি থেকে বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের নিরাপদ রাখবেন কিভাবে?
প্রথম থেকেই বয়স্কদের উপর কোভিড-১৯ সংক্রমণের সম্ভাবনার হার বেড়েছে বিধায় করোনাকালীন বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বেশি জোর দেয়া দরকার। বয়স সাধারণত ৫০ এর কোঠায় থাকার সময় করোনা ঝুঁকি শুরু হয়ে ৬০, ৭০ এবং ৮০ এর দশকে ক্রমাগত বাড়তে থাকে। চলুন জেনে নিই, আপনার প্রিয় বায়োজ্যেষ্ঠকে কিভাবে আপনি করোনা মহামারি থেকে নিরাপদে রাখবেন।
করোনাকালীন বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায়গুলো
শারীরিক অবস্থার প্রতি সার্বক্ষণিক খেয়াল রাখুন
সাধারণত পঞ্চাষোর্ধদের বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা থাকায় এসময় থেকে তারা ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবেই সেই জটিলতা নিরসনে ডাক্তার দেখানো, সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা, সময় মতো ওষুধ খাওয়া, ব্যায়াম ইত্যাদি সব মিলিয়ে একটা নির্দিষ্ট রুটিনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
এই নিয়মগুলো ঠিকভাবে বজায় রাখতে তাকে সাহায্য করুন। বিশেষ করে এই সময়ে যে কোনও জটিলতা বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। তাই উপসর্গ দেখামাত্রই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করুন। তার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করুন। নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার সময়টা মনে করিয়ে দিন। দিন শেষে একটি সুন্দর ঘুম হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন।
আরও পড়ুন: কঠোর ডায়েটের স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ জেনে নিন
জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যাবার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন
বায়োজ্যেষ্ঠদের প্রায়ই ডাক্তারদের সাথে দেখা করার রুটিন থাকে। এই করোনা মহামারির সময় খুব বেশি প্রয়োজন না থাকলে তাদেরকে নিয়ে বাইরে বেরবার দরকার নেই। পারিবারিক ডাক্তার থাকলে বাসায় এসেই দেখতে পারবেন, কিন্তু না থাকলে চেষ্টা করুন ডাক্তারের সাথে জরুরি আলাপ ফোনেই সেরে ফেলতে।
প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ফোন করে ডেলিভারি নিন। নিতান্তই কোনও টেস্ট করাতেই হলে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার নিয়ে বের হন। হাসপাতালে সরবহাকৃত আলাদা সুরক্ষা ড্রেস ব্যবহার করুন। হাঁচি-কাশি অথবা ঘাম মুছার ক্ষেত্রে সাথে পরিষ্কার টিশ্যু রাখুন। দুর্বলতার কারণে আপনাকেও যেহেতু সাথে সাথে থাকতে হচ্ছে তাই একই স্বাস্থ্যবিধি আপনাকেও অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সহায়তা করুন
খাবারের আগে ও পরে অন্তত ২০-৩০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, কনুইয়ে মুখ গুঁজে হাঁচি-কাশি দেয়া ইত্যাদি প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি পালনে আপনার বায়োজ্যেষ্ঠকে সাহায্য করুন। সামাজিক দূরত্ব পালনের ব্যাপারটি ভালো করে বুঝিয়ে বলুন। পরিবারে কারো করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তাদের থেকে বয়স্কদের দূরে রাখুন। ঠিক একই ব্যাপার বয়স্কদের ক্ষেত্রেও মেনে চলুন। এ অবস্থায় অবশ্যই তার নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ সরবরাহ বজায় রাখবেন। যেহেতু এখনও সারা দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসেনি তাই ভ্যাকসিন নেয়ার পরেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আবশ্যক।
আরও পড়ুন: বর্ষা মৌসুমে যেসব পুষ্টিকর সবজি খেতে পারেন
ব্যবহার্য জিনিসপত্র ও জায়গা স্যানিটাইজ করুন
যে কোনও খাবার গ্রহণের আগে ও পরে খাবারের জায়গাগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে দিন এবং সেই খাবারগুলোও পরিষ্কার করে দিন। তার ব্যবহৃত কাপড়, চেয়ার-টেবিল, লাঠি, বিছানা, ওষুধপত্র রাখার জায়গা ইত্যাদি পরিষ্কার করুন। পরিষ্কারের পর অবশ্যই আপনার পরনের কাপড় ধুয়ে ফেলুন এবং গোসল করে নিন। তার ঘরের মেঝে পরিষ্কার রেখে তাকে প্রতিদিন ব্যায়াম করার সুযোগ করে দিন। চশমা ও লাঠির পাশাপাশি ব্যক্তিগত স্যানিটাইজার এবং মাস্ক বহন করতে উৎসাহিত করুন।
যোগাযোগের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করুন
করোনাকালীন আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ব্যবহারে সাহায্য করুন। সাধারণত বয়োজ্যেষ্ঠরা প্রযুক্তি ব্যবহারে একটু কম অভ্যস্ত হন। অনেকে ব্যবহারও করতে চান না। তাদেরকে সহজভাবে স্মার্টফোনে ম্যাসেজ দেয়া, ভিডিও কল করা শিখিয়েন দিন। চেষ্টা করুন অনলাইন সামাজিক মাধ্যমগুলো সহজে ব্যবহার করা শেখানো। এতে তার সময়গুলো ভালো কাটবে। আর আপনিও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবসময় তার সাথে একটা নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বর্ষাকালে ভ্রমণের পূর্বে কিছু সতর্কতা
শেষ কথা
সর্বোপরি করোনাকালীন বয়স্কদের নিরাপত্তা রক্ষার্থে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং পথ্যসেবা চালিয়ে যেতে হবে আরো সতর্ক হয়ে। খেয়াল রাখবেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে যেয়ে যেন তাকে সামাজিকভাবে পৃথক করে দেয়া না হয়। শারীরিক যত্নের পাশাপাশি প্রিয়জনদের নিয়ে একসাথে থাকাটাও এই মহামারির সময়ে তাদের মানসিকভাবে প্রফুল্ল থাকার শক্তি যোগাবে।
৩ বছর আগে